বৈঠকখানা রেস্তোরাঁয় একদিন। || Delicious food with mind satisfaction.
ছবির অবস্থান :-বৈঠকখানা, কাউলা, ঢাকা, বাংলাদেশ।
আমরা বাঙালিরা খেতে ভীষণ পছন্দ করি, হোক সেটা রেস্তোরাঁয় কিংবা বাড়িতে। তবে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে বাইরের খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। কিন্তু মাঝে মাঝে বন্ধু-বান্ধব থাকলে যা হয় আরকি, চেপে ধরেছে ভালো কিছু খাওয়াতে হবে। কারন হিসেবে নতুনভাবে জবে পদার্পণ কিংবা নতুন পথে যাত্রা। তবে যাই বলুন যে দুটি মানুষকে আমার সাথে দেখবেন তারা আমার বিপদের সময় পাশে ছিল এবং অনেক উপকার করেছে। তাদের অবদান এই একবেলা খাইয়ে শোধ করা যাবেনা তবুও কিছুটা আনন্দঘন সময় পার করতে গত শুক্রবার গিয়েছিলাম কাউলা বৈঠকখানা নামক চমৎকার রেস্তোরাঁয়।
ছবির অবস্থান :-বৈঠকখানা, কাউলা, ঢাকা, বাংলাদেশ।
বৈঠকখানা রেস্তোরাঁর প্রথম আকর্ষণ হচ্ছে এর সুন্দর ডেকোরেশন। ভেতরে প্রবেশ করে আমি বেশ অবাক হলাম, উত্তরার ঠিক পাশে এতো চমৎকার দৃষ্টিনন্দন একটি রেস্তোরা সত্যিই অকল্পনীয়। ওদের একপাশে বসিয়ে আমি পুরো রেস্তোরাঁ ঘুরে দেখছিলাম। সবথেকে বড় ব্যাপার ভেতরে আলো ছায়ার একটা চমৎকার খেলা রয়েছে যা আমাকে ভীষণভাবে মুগ্ধ করেছে। ভেতরে বসে আড্ডা দেয়ার জন্য চমৎকার একটি কামড়া রয়েছে মূলত এটাকেই বৈঠকখানা বলা হচ্ছে। জাষ্ট অসাধারণ ডেকোরেশন।
ছবির অবস্থান :-বৈঠকখানা, কাউলা, ঢাকা, বাংলাদেশ।
ছবিতে হয়তো দেখতে পাচ্ছেন হাড়িকেন ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে বিশেষ কায়দায়। প্রথমে আমি একটু অবাক হলেও পরে বুঝতে পারলাম তারা পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে চাইছে। তবে বর্তমান বিদ্যুতের যে অবস্থা তাতে যদি হাড়িকেন জ্বালিয়ে রাখতো তবে খুব বেশি অবাক হতাম না।
ছবির অবস্থান :-বৈঠকখানা, কাউলা, ঢাকা, বাংলাদেশ।
রেস্তোরাঁটার পুরোটা জুড়ে বিভিন্ন রকম ছবি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে যেগুলো দেখলে আমাদের ঐতিহ্য কিংবা শৈশব মনে করিয়ে দেয়।
ছবির অবস্থান :-বৈঠকখানা, কাউলা, ঢাকা, বাংলাদেশ।
ছবি তোলা শেষে এবার খাবার খাওয়ার পালা, যথারীতি খাবারের ম্যানু মূল্য সহ দেয়া ছিল। আমরা প্লেটার-১ অর্ডার করলাম।
ছবির অবস্থান :-বৈঠকখানা, কাউলা, ঢাকা, বাংলাদেশ।
প্লেটার-১ এ ছিল ফ্রাইড রাইস, চিকেন ফ্রাই, ভেজিটেবল এবং গ্রীন সালাড। এর পাশাপাশি অর্ডার করেছিলাম চিকেন সিজলিং আর কোল্ড ড্রিংকস।
খাবার আসতে আমাদের ত্রিশ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে, তবে সময়টা বেশ দারুন উপভোগ করছিলাম সবাই গল্প আর আড্ডায়।
ছবির অবস্থান :-বৈঠকখানা, কাউলা, ঢাকা, বাংলাদেশ।
সিজলিং খাবারটি আমি ভীষণ উপভোগ করেছিলাম কারন এর মাঝে এটা ভিন্ন স্বাদ পাচ্ছিলাম। সত্যি বলতে অধিকাংশ সিজলিং আমার পেটে গেছে 😄
খাবারগুলো এতোটাই সুস্বাদু ছিল বলে বোঝানো যাবে না, একদিন চলে আসতে পারেন কাউলা বৈঠকখানা রেস্তোরাঁয়।
ছবির অবস্থান :-বৈঠকখানা, কাউলা, ঢাকা, বাংলাদেশ।
আমার নিজের ছবি তুলতে কেমন যেন ভালো লাগে না, কি আর করা ওনারা ছাড়লেন না তাই আপনাদের জন্য এই ছবিটি উপহার দিলাম। বলুন তো ওখানে আমি কোনটা?
ছবির অবস্থান :-বৈঠকখানা, কাউলা, ঢাকা, বাংলাদেশ।
তেমন ভিড় না থাকায় আমরা খাবার শেষ করে আরো বিশ মিনিট আড্ডা দিলাম। এরপর বিল চাইলাম ওদের কাছে। সবমিলিয়ে আমাদের ১১৬৫/- টাকা হয়েছিল। বিল মিটিয়ে বাইরে চলে আসলাম তবে বেশ তৃপ্তি নিয়ে।
রেস্তোরাঁ ডেকোরেশন= ১০/৯
খাবারের মান= ১০/৯
আপ্যায়ন = ১০/১০
মানসিক তৃপ্তি= ১০০/১০০
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Heres a free vote on behalf of @se-witness.
আপনি বাহিরের খাবার থেকে এখন কিছুটা দূরে সরে আসতেছেন এটা জেনে ভালো লাগলো। যদিও বন্ধুরা থাকলে এরকম হয়, এটা স্বাভাবিক। বন্ধুরা একসাথ হলে শুধু খাওয়ানোর কথা বলে এবং আড্ডা না দিলে মজা লাগে না। বৈঠকখানায় বেশ ভালোই আড্ডা জমিয়েছেন দেখে বুঝতে পারছি। খাবারের আইটেমগুলো ও খুবই ভালো ছিল, দেখেই বোঝা যাচ্ছে বেশ মজা করে খেয়েছিলেন। বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন এবং আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো। সম্পূর্ণটা জাস্ট অসাধারণ ছিল বলতেই হয়।
ধন্যবাদ আপু চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করার জন্য।
খাবারগুলো সত্যিই সুস্বাদু ছিল।
বৈঠকখানা রেস্তোরাঁয় সবাই মিলে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো। খাবার গুলো দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে ভাই। বন্ধুরা সবাই মিলে খাওয়ার চমৎকার মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আসলে ভাই বন্ধুরা যেখানে একত্র হবে সেখানে আনন্দ আড্ডায় খাওয়া-দাওয়া তো হবে।বৈঠকখানা রেস্তোরাঁয় কাটানো মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ ভাই মন্তব্যের জন্য।
একদিন চলে আসুন উত্তরার এই চমৎকার রেস্তোরাঁয়।
এরকম সুন্দর একটা জায়গা এবং পরিবেশে বন্ধুরা মিলে আড্ডা দেওয়ার মজাটাই একেবারে অন্যরকম হয়। আপনার বন্ধুরা মিলে বৈঠকখানায় খুবই ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন দেখেই বুঝতে পারছি। যদিও বাহিরের খাবার দেওয়া বন্ধ করে দিচ্ছেন, কিন্তু বন্ধুরা একসাথে হলে তো বিভিন্ন রকমের খাবার খেতেই হয়। আপনার নতুন পথচলা শুরু হয়েছে এর জন্য বন্ধুদেরকে খাইয়েছিলেন এটা দেখে ভালো লাগলো। আমার গুলো দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু ছিল এবং খুব মজা করে খাওয়া হয়েছিল। বেশ উপভোগ করলাম আপনাদের কাটানো মুহূর্তটা এবং খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত।
ধন্যবাদ ভাই।
আসলে বাইরের খাবার তেমন খেতে ইচ্ছে করে না, সেদিন ওরা ধরেছে তাই চলে গেলাম খেতে।
প্রথম কথা হচ্ছে রেস্টুরেন্ট এর নামটিই দারুন লেগেছে।তারপর আপনার মত আমিও রেস্টুরেন্ট এর ইন্টেরিয়র এর সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি।নামের মতই সুন্দর এর ইন্টেরিয়র,দারুন সময় কাটবে এখানে। আর খাবারের স্বাদ যেভাবে বললেন তাতে রেস্টুরেন্ট টি তে যাওয়ার ও সিজলিং খাবার ইচ্ছা জাগছে।ধন্যবাদ ভাইয়া দারুন রেস্টুরেন্ট রিভিউ টি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।
সিজলিং খাবারটি খেতে জাষ্ট অসাধারণ।
একদিন চলে আসুন উত্তরায়।
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1666277793204932608?t=TVFLYaR2ZB4_ST20x85euA&s=19
ভাইয়া আমার কাছে মনে হচ্ছে, আপনি কালো গেঞ্জি গায়ে দিয়ে বসে থাকা মানুষটি হলো আমাদের প্রিয় ইমরান ভাইয়া। রেস্টুরেন্টে খুবই সুস্বাদু খাবার খাওয়ার মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই।
আপনি খুব সহজেই আমাকে চিনতে পারলেন ।
বন্ধুদের নিয়ে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে বেশ বুঝতে পারছি। খাবারগুলো খুব লোভনীয়।আর সিজলিং খাবারটা আমার ও খুব পছন্দের। আমি প্রথম রেস্টুরেন্টে খেয়ে এসে বাসায় রান্না করেছিলাম।সবাই খুব ভালো বলেছিল।আর আপনি হলেন কালো টি শার্ট পরা।হয়েছে ভাইয়া??? জানাবেন তো?? ধন্যবাদ আপনাকে অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
হা হা 😄
হ্যা আমি কালো টিশার্ট পরে ছিলাম।
আপনি বাম থেকে ১ম জন! রেস্টুরেন্টের নামটা বেশ সুন্দর। বৈঠকখানা ! আপনার পোস্টকৃত ছবি দেখে মনে হচ্ছে দারুণ সব ইন্টেরিয়র করা। হারিকেন, বায়োস্কোপের পোস্টার সাবেকি আমেজ বিদ্যমান। মাঝে মাঝে বন্ধু বা পরিবারের সাথে বাইরে খাওয়া-দাওয়া করা বেশ মজার। আপনিও বেশ মজা করেছেন। সুন্দর এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু, আপনি তো খুব সহজেই আমাকে চিনে ফেলেছেন। রেস্তোরাঁর পরিবেশ এবং খাবারের মান এককথায় অসাধারণ।