বাঙালি রেসিপি: শিমের বিচি, বেগুন এবং টমেটো দিয়ে শিং মাছ রান্না। || Delicious Bengali Recipe 😋
শিমের বিচি, বেগুন এবং টমেটো দিয়ে শিং মাছ রান্না |
---|
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। আমরা বাঙালিরা খেতে ভীষণ পছন্দ করি, তাইতো সবসময়ই চেষ্টা করি ভিন্ন ধরনের খাবার খেতে। শিমের বিচি আমার বাসার সবাই বেশ পছন্দ করে, তাই গতকাল শিমের বিচি, টমেটো, বেগুন দিয়ে শিং মাছ রান্না করা হয়েছিল। এটা এতোটাই সুস্বাদু খাবার যা খেয়ে সবাই মোটামুটি তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছিলাম। আরো একটা বিষয় হচ্ছে এখানে আমার গাছের বেগুন এবং টমেটো 🍅 আমার নিজের গাছের। প্রথমেই গাছ থেকে এগুলো সংগ্রহ করলাম। এটাই আমার অনেক আনন্দের একটা ব্যাপার ছিল।
শিমের বিচি | ৫০০গ্রাম | শিং মাছ | ৩০০ গ্রাম |
---|---|---|---|
টমেটো | ২০০ গ্রাম | বেগুন | দুটো |
কাঁচামরিচ | স্বাদমতো | পেঁয়াজ কুচি | এক কাপ |
হলুদ গুঁড়া | এক চামচ | মরিচ গুঁড়া | এক চামচ |
জিরা গুঁড়া | এক চামচ | রসুন বাটা | এক চামচ |
লবণ | স্বাদমতো | সোয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
ধনিয়া পাতা | স্বাদমতো | মনের মাধুরী | ভরপুর |
প্রথমেই শিমের বিচি গুলো ত্রিশ মিনিট ভিজিয়ে রেখে খোসা ছাড়িয়ে নিলাম।
প্রথমেই গাছের টমেটো এবং বেগুন কেটে টুকরো কর নিলাম। এরপর বাটিতে উঠিয়ে নিলাম। এরপর শিং মাছ কেটে টুকরো করে নিলাম।
এবার একটি ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি ভেজে নিলাম।
এবার একে একে সমস্ত মসলা দিয়ে কষিয়ে নিলাম। এরপর সামান্য পানি দিয়ে ঘন ঝোল করে নিলাম।
এই ধাপে শিং মাছগুলো মশলার মিশ্রনে দিয়ে ভালভাবে কষিয়ে নিলাম। এরপর একটি বাটিতে উঠিয়ে নিলাম।
এবার শিমের বিচি দিয়ে দিলাম এবং মসলার সাথে ভালোভাবে কষিয়ে নিলাম।
এরপর একে একে টমেটো, বেগুন এবং কাঁচামরিচ দিয়ে ঝোল দিয়ে দিলাম। এরপর পনেরো মিনিটের জন্য ঢাকনা দিয়ে দিলাম।
এবার কষিয়ে রাখা শিং মাছগুলো দিয়ে দিলাম এবং আরো পনেরো মিনিট রান্না করলাম। ঝোল অনেকটা শুকিয়ে এলে ধনিয়া পাতা কুচি ছড়িয়ে দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিলাম। ব্যাস আমাদের অসাধারণ খাবার তৈরি। এবার জাষ্ট পরিবেশন করে খাওয়ার পালা।
🍱 পরিবেশন করলাম 🍱
প্রথমে তরকারিটা দুবেলার জন্য রান্না করা হলেও, খেতে এতোটাই স্বাদের ছিল যে একবেলাতেই মোটামুটি শেষ 😄
তাহলে বুঝে নিন এটা খেতে কতটুকু সুস্বাদু ছিল 😋
জাষ্ট অসাধারণ খাবার। যাইহোক আমার পরিবেশন কৃত রেসিপি আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে মন্তব্যের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না।
ছবি যন্ত্র | রিয়েলমি সি-২৫ |
---|---|
ছবির কারিগর | @emranhasan |
ছবির অবস্থান | ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ। |
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
নিজের গাছের সবজি দিয়ে আর শিমের বিচি দিয়ে শিং মাছের রেসিপি সত্যিই অসাধারণ লেগেছে।খেয়েছেন ও মজা করে। শিমের বিচি আমার ও ভীষণ পছন্দ। শিমের বিচি দিয়ে যেকোনো মাছ রান্না করলে ভালো লাগে খেতে।রেসিপিটি চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে দারুন স্বাদের এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
সত্যি কথা বলতেই রেসিপিটি আমার এত প্রিয় দেখে তো লোভ লেগে গেছে। বিশেষ করে শিমের বিচি এবং সবজি মিক্স করে আমি এভাবে প্রায় সময় তৈরি করি রেসিপি। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগার কাজ করছে আপনার বারান্দার সবজি বাগান থেকে সবজি নিয়ে রান্না করেছেন। অনেক ভালো লেগেছে আপনি অনেক তৃপ্তি নিয়ে খাওয়া দাওয়া করলেন।
শিং মাছ আমার পছন্দের একটি মাছ। আপনার লাগানো টমেটো এবং বেগুন গাছ থেকে টমেটো এবং বেগুন নিয়ে দেখছি চমৎকার একটি পুষ্টিকর রেসিপি তৈরি করেছেন। তরকারি ছিলো দুইবারের জন্য আর তরকারির স্বাদের জন্য সবাই জমিয়ে একেবারেই খেয়ে ফেলেছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার রেসিপি পরিবেশন অনেক সুন্দর ছিলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
তাহলে এই রেসিপিটার আলাদা একটা গুরুত্ব দিতে হবে কেননা, আপনার গাছ থেকে তোলা টমেটো আর বেগুন দিয়ে রেসিপিটা তৈরি করেছেন। শিমের বিচি আর শিং মাছের কম্বিনেশন কখনো টেস্ট করে দেখা হয়নি তবে রেসিপির ছবি দেখে স্পষ্ট বলে দেওয়া যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। বিশেষ করে তেলে ভাজি করা মাছগুলো অনেক লোভনীয় ছিল।
এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে সিমের বিচি আপনাদের পরিবারের সকলেই অনেক বেশি পছন্দ করে, সিমের বিচি আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। যাইহোক নিজের গাছের সবজি দিয়ে আপনি এই রেসিপিটি প্রস্তুত করেছেন নিজের গাছ থেকে সবজি তোলার অনুভূতিটা সত্যিই অন্যরকম। শিং মাছ অনেক রকম ভাবেই রান্না করে খাওয়া হয়েছে তবে আপনার মত করে টমেটো দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল। শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বেশ লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এর আগে কখনো সিমের বিচি এভাবে রান্না করে খাওয়া হয় নাই তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু হয়েছে। আপনি আপনার রান্নার পদ্ধতি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অনেক অনেক শুভকামনা রইল
আপনি আজকে খুবই চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। শিমের বিচি, বেগুন এবং টমেটো দিয়ে শিং মাছ এভাবে রান্না করলে খেতে দারুন সুস্বাদু লাগে। আর শিং মাছ খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার তৈরি রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভীষণ মজা হয়েছিলো। আর আপনারা সবাই অনেক মজা করে খেয়েছিলেন। ধন্যবাদ এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1765086149322961268?t=wz7fOTjBoaO4sNPyFBVvgA&s=19
শিং মাছ শরীরের রক্তের চাহিদা পূরণ করে। আমি শিং মাছ খেতে খুব পছন্দ করি। আপনার বাগানের বেগুন ও টমেটো দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করেছেন। এর মধ্যে শিমের বিচি যুক্ত করাতে স্বাদ মনে হচ্ছে দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে। এভাবে শিং মাছের রেসিপি কখনো তৈরি করা হয়নি। আপনার উপস্থাপনা দারুন হয়েছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার ও ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।