পেঁপে দিয়ে মুরগির মাংস রান্না। || Chicken meat has fulfilled the nutritional needs.
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। আমি ভোজনরসিক মানুষ এবং খেতে ভীষণ পছন্দ করি। দুনিয়াতে যদি খাবার খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা না থাকতো তাহলে হয়তো জীবন যুদ্ধের এতো দৌড় ঝাঁপ থাকতো না। যাই হোক খাবার খেতে গেলেই চিন্তা আসে স্বাদের সাথে পুষ্টির ব্যাপারটা। মুরগির মাংস আমার পরিবারের পছন্দের খাবার, তাইতো এটা বিভিন্নভাবে খাওয়ার চেষ্টা করি। তবে এখানে একটি কথা না বললেই নয়, মুরগির মাংস না থাকলে হয়তো মধ্যবিত্ত কিংবা গরিব মানুষ পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারতো না। যাইহোক গতকাল পেঁপে দিয়ে মুরগির মাংস রান্নার মাধ্যমে খাওয়ার চেষ্টা করলাম। চলুন দেখাই সেই সুস্বাদু খাবার রেসিপিটি।
মুরগির মাংস | ১ কেজি | পেঁপে | ৫০০ গ্রাম |
---|---|---|---|
তেজপাতা | দুটি | পেঁয়াজ কুচি | এক কাপ |
হলুদ গুঁড়া | এক চামচ | মরিচ গুঁড়া | এক চামচ |
জিরা গুঁড়া | এক চামচ | রসুন বাটা | এক চামচ |
লবণ | স্বাদমতো | সোয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
লং, দারচিনি | এলাচ | রসুনের কোয়া | কয়েকটি |
প্রথমেই মুরগির মাংস কেটে টুকরো করে নিলাম এবং ভালোভাবে ধুয়ে নিলাম। এখানে একটি ব্যাপার সবার উদ্দেশ্যে বলতে চাই অবশ্যই মুরগির মাংস ভালোভাবে ধুয়ে নেবেন এবং মাংস ধোয়ার পর হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
![]() | ![]() |
---|
এবার পেঁপের উপরের আবরন ছাড়িয়ে কেটে ধুয়ে নিলাম এবং পেঁয়াজ কুচি করে নিলাম। এরপর রান্নার অন্যান্য উপকরণ গুছিয়ে নিলাম।
![]() | ![]() |
---|
এবার একটি পাতিল চুলায় চাপিয়ে দিয়ে তাতে পরিমাণ মতো সোয়াবিন তেল ঢেলে দিলাম। এরপর পেঁয়াজকুচি এবং মশলা দিয়ে দিলাম। এবার বাদামী রঙের করে ভেজে নিলাম।
![]() | ![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
এরপর একে একে হলুদ গুঁড়া মরিচ গুঁড়া জিরা গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে দিলাম। এবার মশলাগুলো কষিয়ে নিলাম।
![]() | ![]() |
---|---|
![]() | ![]() |
এই ধাপে এবার মুরগির মাংস দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিলাম এবং দশ মিনিট কষিয়ে নিলাম সামান্য ঝোল দিয়ে।
![]() | ![]() |
---|
এবার পেঁপের টুকরো দিয়ে আবারো কষিয়ে নিলাম কিছু সময়।
এরপর পরিমাণ মতো ঝোল দিয়ে দিলাম এবং আরো পনেরো মিনিট রান্না করলাম। ঝোল শুকিয়ে এলে চুলা বন্ধ করে দিলাম। এরপর পরিবেশনের পালা।
🍱 পরিবেশন করলাম 🍱
সত্যিই মুরগির মাংস হলে খাওয়াটা জমে যায়, তাইতো পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে মাঝে মাঝেই খাওয়া হয়। আজকের তরকারিটা ভীষণ লোভনীয় স্বাদের ছিল।
বিষয়বস্তু | পেঁপে দিয়ে মুরগির মাংস রান্না |
---|---|
ছবি যন্ত্র | রিয়েলমি সি-২৫ |
ছবির কারিগর | @emranhasan |
ছবির অবস্থান | উত্তরখান, ঢাকা, বাংলাদেশ |
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
Heres a free vote on behalf of @se-witness.
ভাই খুব মজার একটি রেসিপি শেয়ার করে দিলেন তো লোভ লাগিয়ে। পেঁপে দিয়ে মুরগির মাংস রান্না খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আর আপনার তৈরি রেসিপি দেখেতো লোভ সামলানো বড়ই মুশকিল হয়ে পড়ছে। কেননা রেসিপির কালারটা খুবই লোভনীয় লাগছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, খুবই সুস্বাদু ও মজার এই রেসিপিটির প্রতিটি ধাপ শেয়ার করার জন্য।
সত্যিই ভাই এটা লোভনীয় খাবার এবং এর পুষ্টিগুণ অনেক। ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করার জন্য।
পেঁপে দিয়ে মুরগির মাংস রান্নার দারুন একটা পদ্ধতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন ভাইয়া। এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে তাই আমাদের সকলেরই উচিত বেশি বেশি করে পেঁপে খাওয়া।
ধন্যবাদ ভাই। সত্যিই এধরনের পুষ্টিকর খাবার সবার খাওয়া উচিত।
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1681331372458397696?t=mpZGeyix7UoazdgJlfiD2w&s=19
পেঁপে দিয়ে খুব সুন্দর করে মুরগি মাংস রান্না করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে ফেঁপে দিয়ে কখনো মুরগির মাংস রান্না করা খাওয়া হয় নি। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। মসলা জাতীয় সকল উপাদান সঠিক ভাবে প্রয়োগ করেছেন দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। এত চমৎকার রেসেপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
পেঁপে কিংবা লাউ দিয়ে মুরগির মাংস রান্না করলে দারুণ লাগে খেতে। যাইহোক পেঁপে দিয়ে মুরগির মাংসের রেসিপিটা দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে ভাই। কালারটাও খুব সুন্দর এসেছে। নিশ্চয়ই খুব মজা করে খেয়েছেন। রেসিপির উপস্থাপনা এবং পরিবেশনাও এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। ধাপে ধাপে রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যিই ভাইয়া রেসিপিটি দারুন।কারন আমিও পেঁপে দিয়ে মুরগির মাংস রান্না করি।খেতে ভীষণ মজার হয়।আপনার রান্না করা মুরগির মাংস খুব লোভনীয় লাগছে ভাইয়া।রেসিপিটি ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আমারও আসলে তাই মনে হয়, পৃথিবীতে যদি ভালোবাসা আর খাওয়া-দাওয়ার ফাংশন না থাকতো তাহলে মানুষের জীবনে এত টেনশন থাকত না। আমরা সাধারণত আলু দিয়ে মাংস রান্না করে খাই, পেপে দিয়ে আসলে কখনো মাংস রান্না করে খাওয়া হয়নি। এদিক থেকে আপনার রেসিপিটা কিছুটা ইউনিক ভাই।
আসলে মাংস বিভিন্নভাবে রান্না করা যায়। আমি স্বাদের দিকটা চিন্তা করে পেঁপে দিয়ে তৈরি করার চেষ্টা করেছি এবং এটি সত্যিই সুস্বাদু খাবারে পরিণত হয়েছে।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন পেঁপে দিয়ে মুরগির মাংস রান্না রেসিপি। আসলে কিছুদিন আগে আমি বাড়িতে গিয়ে এই রেসিপি খেয়েছিলাম বেশ মজা লেগেছিল। আপনার রেসিপি তৈরির পদ্ধতি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই বরাবরের মতো সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করার জন্য। দোয়া রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া আপনি খুবই মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন। আমি পেঁপে দিয়ে মুরগির মাংস খেতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝেই এই রেসিপি তৈরি করি। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনি মাঝে মাঝেই খাবারটি খেয়ে থাকেন জেনে খুশি হলাম। দোয়া রইল আপনার জন্য।