বাঙালি রেসিপি :) কালবাউস মাছ দিয়ে ডাটা এবং কাঁঠালের বিচি রান্না। || Bengali Recipe:) truly delicious 😋
কালবাউস মাছ দিয়ে ডাটা এবং কাঁঠালের বিচি রান্না |
---|
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। আমি ভাই ভীষণ ব্যাস্ত মানুষ, সারাদিন বেশ ব্যাস্ত থাকতে হয় অফিসের কাজে। যখনি একটু সময় পাই ছুটে আসি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারে নিজের পোস্ট নিয়ে। বলতে পারেন এটা প্রতিদিনের রুটিনের একটা অংশ। আজ বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত দশটা বেজে গেছে, এরপর দ্রুত রাতের খাবার শেষ করে পোস্ট করতে বসে গেলাম।
আজ রেসিপি পোষ্ট নিয়ে হাজির হলাম, আমি বাঙালি খাবারগুলোর রেসিপি তৈরি করতে বেশি পছন্দ করি। সত্যি বলতে এধরনের খাবারগুলোকে আমি তৃপ্তিদায়ক খাবার বলে থাকি। যাইহোক কিছুদিন আগে একটা বড় কালবাউস মাছ কিনেছিলাম, চিন্তা করলাম কাঁঠালের বিচি আর ডাটা দিয়ে খেতে কেমন লাগবে তাই দেখবো। আসবে এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি, তবে রান্নার পর খেতে গিয়ে ভীষণ তৃপ্তি পেলাম। যাইহোক আজকের রেসিপি ভীষণ সহজভাবে দেখাবো, তো চলুন শুরু করা যাক।
ডাটা | ৫০০গ্রাম | কালবাউস মাছ | ২০০ গ্রাম |
---|---|---|---|
দেশী আলু | ২০০ গ্রাম | কাঁঠালের বিচি | ১০০ গ্রাম |
পেঁয়াজ কুচি | এক কাপ | কাঁচামরিচ | স্বাদমতো |
হলুদ গুঁড়া | এক চামচ | মরিচ গুঁড়া | এক চামচ |
জিরা গুঁড়া | এক চামচ | রসুন বাটা | এক চামচ |
লবণ | স্বাদমতো | সোয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
![]() | ![]() | ![]() |
---|
রান্নার শুরুতে সমস্ত উপকরণ গুছিয়ে নিলাম। সবকিছু কেটে ধুয়ে আলাদা আলাদা বাটিতে উঠিয়ে নিলাম।
আমরা মূলত রান্নাটা খুব শর্টকাট করবো এবং সবকিছু একসাথে মাখিয়ে চুলায় বসিয়ে দেবো। তাই প্রথমেই একটি পাতিলে আলু এবং ডাটা দিয়ে দিলাম।
এই ধাপে কাঁঠালের বিচি এবং মাছের টুকরোগুলো দিয়ে দিলাম।
এবার একে একে হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, রসুন বাটা, কাঁচামরিচ এবং লবণ দিয়ে দিলাম।
![]() | ![]() |
---|
এই ধাপে পরিমাণ মতো সোয়াবিন তেল ঢেলে দিয়ে ভালোভাবে সবকিছু হাত দিয়ে মাখিয়ে নিলাম।
এবার পরিমাণ মতো ঝোল দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিলাম।
![]() | ![]() |
---|
এবার পনেরো থেকে বিশ মিনিট চুলায় মধ্যম আঁচে রান্না করলাম। ঝোল অনেকটাই শুকিয়ে এলে চুলা বন্ধ করে দিলাম। আমাদের সুস্বাদু খাবারটি তৈরি হয়েছে এবার পরিবেশনের পালা।
🍱 পরিবেশন করলাম 🍱
আমি এধরনের খাবারগুলোকে তৃপ্তিদায়ক খাবার বলে থাকি কারণ পেট ভরে খাওয়া যায়। সবথেকে বড় বিষয় এই খাবারগুলো পেটে গোলযোগ তৈরি করে না বরং খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়। তাছাড়াও পুষ্টির দিক থেকে এই খাবারগুলোর জুড়ি মেলা ভার।
তাহলে আজ এই পর্যন্তই, যদি ভালো লেগে থাকে আমার আজকের আয়োজন তাহলে ঝটপট মন্তব্যের মাধ্যমে জানান। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিদায় নিলাম।
ছবি যন্ত্র | রিয়েলমি সি-২৫ |
---|---|
ছবির কারিগর | @emranhasan |
ছবির অবস্থান | ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ। |
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
কাঁঠালের বিচি আমার অনেক প্রিয় খাবার তবে এই অসময়ে কাঁঠালের বিচি গুলো দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। আপনি ডাটা কাঁঠালের বিচি এক সাথে রান্না করেছেন খেতে নিশ্চয় অনেক মজা হয়েছে। কালিবাউশ মাছ আমাদের এদিকে তেমন দেখা যায় বলেই চলে। আসলে যে কোন তরকারিতে কাঠালের বিচি দিলে স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1726313156132450620?t=6AQlvDHkx29irlvffxMp3A&s=19
ডাটা এবং কাঁঠালের বিচি দিয়ে কালবাউশ মাছের খুব সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া। আমরাও প্রায়ই এভাবে কাঁঠালের বিচি এবং ডাটা দিয়ে বিভিন্ন মাছের তরকারি রান্না করে থাকি। খেতে খুবই মজা লাগে। আপনার তৈরি রেসিপি কালার এবং রন্ধন প্রণালী দেখে মনে হচ্ছে খুবই টেস্টি হয়েছে খেতে। রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু।
তরকারিটা ভীষণ সুস্বাদু ছিল খেতে।
কাঁঠালের বিচির রেসিপি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয়। কালবাউশ মাছ দিয়ে ডাটা এবং কাঁঠালের বিচি রান্না করেছেন আর সেটা পরিবেশন দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমিও কাঁঠালের বিচি ভীষণ পছন্দ করি।
তরকারিতে দিলে খুব ভালো লাগে খেতে।
আপনার রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে।
আজকে আপনি এই রেসিপি যেভাবে রান্না করেছেন তা সুস্বাদু তো হতেই হবে৷ এরকম একটা রেসিপি যদি সুস্বাদু না হয় তাহলে আর কোন রেসিপি সুস্বাদু হবে না। আপনি যেভাবে কাঁঠালের বিচির এই মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন তা দেখে খুবই ভালো লাগলো। আর আপনিও এটি খেয়ে অনেক মজা পেয়েছেন।
আপনি এ ধরনের খাবারগুলোকে তৃপ্তি দেওয়ার খাবার বলে থাকেন জেনে ভালো লাগলো ভাই। আমিও ওই ধরনের খাবার গুলো অনেক বেশি পছন্দ করে থাকি। কালবাউশ মাছের সাথে ডাটার কাঁঠালের বিচি দিয়ে বেশ সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন যা দেখতে অসাধারণ লাগছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট বিস্তারিতভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাই এধরনের তরকারি আমি তৃপ্তিদায়ক খাবার বলে থাকি কারন পেট পুরে খাওয়া যায়।
সেদিন আমাদেরও একটি কালিবাউশ মাছ এনেছিল। এই মাছ অনেকটা রুই মাছের মত লাগে খেতে। ডাটা এবং কাঁঠালের বিচি দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। ডাটা অবশ্য আমার তেমন পছন্দ না। কিন্তু আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছিল। এরকম ডাটার রেসিপি হলেও খাওয়া যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
কালবাউস মাছটা খেতে দারুন।
আমি ডাটা আর কাঁঠালের বিচি দিয়ে এভাবে প্রথম খেলাম, আর সত্যি বলতে দারুন লেগেছে খেতে।
কাঁঠালের বিচি দিয়ে কালবাউশ মাছের সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন। এই রেসিপির পরিবেশনে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে শেয়ার করলেন যার মাধ্যমে শিখতে পারলাম।
ডাটা আলু ও কালবাউশ মাছে দিয়ে খুব মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছে। ধাপে ধাপে খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।