বাঙালি রেসিপি :) ছোট মাছের চচ্চড়ি। || Bengali Recipe 😋
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। আমি আজকে একটি রেসিপি পোষ্ট নিয়ে হাজির হলাম। আমরা বাঙালিরা খেতে পছন্দ করি, আমিও তার ব্যাতিক্রম নই। আর মাছে ভাতে বাঙালি বলে একটা কথা তো রয়েছেই। আমিও পাতে মাছ পেলে খাবারটি বেশ তৃপ্তি সহকারে খেয়ে থাকি। যাইহোক ছোট মাছ আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের বেশ পছন্দের। সেদিন কিছু ছোট মাছ কিনেছিলাম, আর সেটা দিয়েই তৈরি করা হয়েছে এই ছোট মাছের চচ্চড়ি। আমি খুব সহজ করে রেসিপিটি দেখাবো, আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন শুরু করি।
ছোট মাছ | ৩০০গ্রাম | টমেটো | ১০০ গ্রাম |
---|---|---|---|
ধনিয়া পাতা | স্বাদমতো | পেঁয়াজ কুচি | এক কাপ |
হলুদ গুঁড়া | এক চামচ | মরিচ গুঁড়া | এক চামচ |
জিরা গুঁড়া | এক চামচ | রসুন বাটা | এক চামচ |
লবণ | স্বাদমতো | সোয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
![]() | ![]() |
---|
প্রথমেই ছোট মাছগুলো কেটে ধুয়ে নিলাম। এরপর একটি বাটিতে উঠিয়ে নিলাম।
![]() | ![]() |
---|
এরপর টমেটো কেটে টুকরো করে নিলাম এবং পেঁয়াজ কেটে টুকরো করে নিলাম। এরপর রান্নার সমস্ত উপকরণ গুছিয়ে নিলাম।
![]() | ![]() |
---|
এবার একটি পাতিল নিয়ে তাতে মাছগুলো দিয়ে দিলাম। এরপর একে একে সব মসলা এবং লবণ দিয়ে দিলাম। এবার সবকিছু একসাথে মাখিয়ে নিলাম।
![]() | ![]() |
---|
এইধাপে পেঁয়াজ কুচি এবং টমেটোর টুকরো দিয়ে পরিমাণ মতো সোয়াবিন তেল ঢেলে দিলাম। এরপর সবকিছু একসাথে ভালো করে মাখিয়ে নিলাম।
![]() | ![]() |
---|
এই ধাপে পরিমাণমতো ঝোল দিয়ে পাতিল চুলায় চাপিয়ে দিলাম।
![]() | ![]() |
---|
এবার চুলায় মধ্যম আঁচে বিশ থেকে পঁচিশ মিনিট তরকারি রান্না করলাম। ঝোল বেশ শুকিয়ে এলে ধনিয়া পাতা ছড়িয়ে দিলাম।
ঝোল যখন একদমই শুকিয়ে মাখা মাখা হবে তখন চুলা বন্ধ করে দিলাম। আমাদের লোভনীয় স্বাদের তরকারি তৈরি, এবার পরিবেশনের পালা।
🍱 পরিবেশন করলাম 🍱
জাষ্ট লোভনীয় স্বাদের খাবার এবং আমি এটাকে তৃপ্তিদায়ক খাবার বলে থাকি। আসলে এধরনের খাবারগুলো বেশ পেট পুরে খাওয়া যায়।
আশাকরি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লেগেছে, যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আশাকরি মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।
ছবি যন্ত্র | রিয়েলমি সি-২৫ |
---|---|
ছবির কারিগর | @emranhasan |
ছবির অবস্থান | ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ। |
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
আমি তো মনে করি ছোট মাছ খেতে পছন্দ করে না, এরকম মানুষ খুবই কম পাওয়া যাবে। ছোট মাছ বিশেষ করে আমার অনেক বেশি পছন্দের। ছোট মাছের চচ্চড়ি রেসিপি তৈরি করলে তো কোন কথাই নেই একেবারে। আপনি খুবই মজাদার এবং লোভনীয়ভাবে ছোট মাছের চচ্চড়ি রেসিপিটা তৈরি করেছেন। নিশ্চয়ই অনেক বেশি মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছিল। মনে হচ্ছে খুব মজা করে খেয়েছিলেন এই মজাদার রেসিপিটা। পরিবেশনটাও অনেক সুন্দর করে করলেন। দুপুরবেলায় দেখে বেশি লোভ লেগেছে।
সত্যিই ছোট মাছ সবাই পছন্দ করে। আমিও সুযোগ পেলেই ছোট মাছ খাওয়ার চেষ্টা করি।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এই ছোট মাছগুলো খেতে ভীষণ মজার। কিন্তু কাটতে ভীষণ কষ্টের।শীতের এই সময়টাতে টমেটো আর ধনিয়া পাতা কুচি দিয়ে রান্না করলে খেতে আরো বেশী মজার হয়।রেসিপিটি খুব লোভনীয় লাগছে ভাইয়া।মজার এই ছোট মাছের চচ্চড়ি রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু ছোট মাছ কাটতে একটু সমস্যা হলেও খেতে সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর। আমরা মাঝে মাঝেই ছোট মাছ খেয়ে থাকি।
ছোট মাছের চচ্চড়ি আমার খুবই পছন্দের। সাথে টমেটো দিলে তো কথাই নেই। আপনার রেসিপিটি দেখে করে খেতে ইচ্ছে করছে। কয়েকদিন আগেই খাওয়া হয়েছে। আপনার রেসিপিটি দেখে খুবই সুস্বাদু কথা হচ্ছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ছোট মাছের তরকারিতে টমেটো দিলে বেশি স্বাদ পাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
ছোট মাছ অনেকটাই সুস্বাদু হয়ে থাকে৷ তাই মাঝেমধ্যে ছোট মাছ খাওয়া হয়ে থাকে। আজকে আপনি এই ছোট মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো৷ এই রেসিপি দেখে আমার মুখের মধ্যে পানি চলে আসলো৷ যেভাবে আপনি এটিকে ডেকোরেশন করেছেন এটিকে এখনই খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে৷
সত্যিই ছোট মাছ ভীষণ সুস্বাদু খেতে। আমিও মাঝে মাঝেই খাওয়ার চেষ্টা করি।
আপনার রেসিপি গুলোর প্রশংসা না করলে হয় না। আমার কাছে বেশ ভালই লাগে আপনার রেসিপির কালার কম্বিনেশন এবং উপস্থাপনা গুলো। আমার কাছে তো খুবই ভালো লাগে ছোট মাছের চচ্চড়ি। বিশেষ করে ঝোল গুলো খেতে তো খুবই ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে অনেক ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ আপু বরাবরের মতো আমার রেসিপি পোস্টে চমৎকার মন্তব্যের জন্য। চেষ্টা করি সবসময়ই গুছিয়ে উপস্থাপন করতে।
পেঁয়াজ কাঁচা মরিচ টমেটো ছোট মাছের সমন্বয়ে এত সুন্দর লোভনীয় আকর্ষণীয় করে রেসিপি করেছেন ভাইয়া। খুব লোভনীয় লাগছে রেসিপিটি। ছোট মাছে অনেক ভিটামিন থাকে এবং ছোট মাছের চচ্চড়ি খেতে দারুন লাগে।ধাপে ধাপে খুব সুন্দর করে রেসিপিটি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ছোট মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। আর চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে ছোট মাছ খাওয়া দরকার।
ছোট মাছের চচ্চড়ি খেতে অনেক মজাদার লাগে। ছোট মাছের চচ্চড়ি করার প্রক্রিয়াটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে ছোট মাছের চচ্চড়িতে ধনিয়া পাতা এবং টমেটো দেওয়াটা দারুন হয়েছে। অত্যন্ত সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ছোট মাছের চচ্চড়ি খেতে অসম্ভব ভালো লাগে। আজকে আপনি খুব সুন্দর করে ছোট মাছের চচ্চড়ি রেসিপি করেছেন। ছোট মাছের চচ্চড়ির মধ্যে টমেটো এবং ধনিয়া পাতা দিলে খেতে আলাদা একটা মজা লাগে। সত্যি বলতে আপনার রেসিপিটি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল। খুব সুন্দর করে রেসিপিটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। সুন্দর করে ছোট মাছের চচ্চড়ি রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।