একদিন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালায় আমি (পর্ব -০১)। One day I was in Shilpacharya Zainul Abedin Museum.

একদিন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালায় আমি (পর্ব -০১)

_{^{ছবি তোলার যন্ত্র:- রিয়েলমি সি-২৫
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।}}

শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমিও একটু একটু করে সুস্থ হচ্ছি, হয়তো কাল থেকেই অফিসের কাজগুলো যতটুকু সম্ভব করার চেষ্টা করবো। যাইহোক সেদিকে আর না গিয়ে কাজের কথায় ফিরে আসি।

গত কিছুদিন আগে ময়মনসিংহ বেড়াতে গিয়েছিলাম কিছুদিন সময় নিয়ে আর সেখানেই ছুটে বেড়িয়েছি বিভিন্ন জায়গায়। আমাদের ময়মনসিংহ শহরের নদীর ধারে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান যা মানুষের মনের খোরাক জুগিয়ে চলছে। আমি ভাই একটু ভিন্ন ধাঁচের মানুষ একটু নতুন কিছু দেখার সুযোগ থাকলে তা হাতছাড়া করতে রাজি নই। যাইহোক যখন থেকে জানতে পেরেছিলাম এখানে জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালা রয়েছে ঠিক তখন থেকেই ভীষণ ইচ্ছে ছিল জায়গাটা দেখার। যেহেতু এই অসাধারণ জায়গাটা আমি দেখলাম তাই চিন্তা করলাম আমার মাধ্যমে যদি আপনাদের কিছুটা হলেও দেখাতে পারি তাহলে ভালো লাগবে। আজকে মূলত বাইরের দিকটা দেখানোর চেষ্টা করবো এবং পরবর্তীতে ভেতরের দিকে যতটা সম্ভব আপনাদের দেখানোর চেষ্টা করবো।

_{^{ছবি তোলার যন্ত্র:- রিয়েলমি সি-২৫
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।}}

সংগ্রহশালার ঠিক সামনেই আমাদের শহরের মেয়রের পক্ষ থেকে একটি স্মৃতি ভাস্কর্য রাখা হয়েছে যা অত্যন্ত সুন্দর লেগেছে আমার কাছে। আসলে গুনি মানুষকে সবাই কদর করার চেষ্টা করেন।

_{^{ছবি তোলার যন্ত্র:- রিয়েলমি সি-২৫
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।}}

এটাই হচ্ছে প্রধান ফটক, যেখানে পৌঁছানো মাত্র আমার ভেতরে ভীষণ অস্থিরতা কাজ করছিল, ভেতরে ঢোকার জন্য।

_{^{ছবি তোলার যন্ত্র:- রিয়েলমি সি-২৫
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।}}

এখানকার প্রবেশ মূল্য মাত্র বিশ টাকা। সত্যি বলতে যখন টিকিট হাতে নিলাম তখন থেকেই বেশ ভালোলাগা এবং শৈল্পিক অনুভুতি কাজ করছিল।

_{^{ছবি তোলার যন্ত্র:- রিয়েলমি সি-২৫
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।}}

জায়গাটা এমনিতেই নদীর তীরে অবস্থিত আর ভেতরে চমৎকার গাছগাছালি মিলে ভীষণ শীতল একটা পরিবেশ। আমি যতটা ভেতরে যাচ্ছিলাম সত্যিই ভীষণ ভালো লাগছিল। রাস্তার দু'পাশে ফুল বাগান আর বিভিন্ন গাছ লাগানো হয়েছে।

_{^{ছবি তোলার যন্ত্র:- রিয়েলমি সি-২৫
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।}}

ভেতরে হাঁটতে হাঁটতে আমি মূল দালানের সামনে এসে উপস্থিত হলাম, মূলত এখানেই রয়েছে শিল্পীর সব অসাধারণ শিল্পকর্ম। সামনেই আরো চমৎকার একটি ভাস্কর্য দেখলাম আর ছবি তুলে নিলাম। এরপর পুরো দালানের বিভিন্ন এনগেল থেকে ছবি তোলার চেষ্টা করলাম।

_{^{ছবি তোলার যন্ত্র:- রিয়েলমি সি-২৫
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।}}

এটাই হচ্ছে দালানের ঢোকার প্রবেশদ্বার। নিচতলায় সামনের দিকটায় রয়েছে অফিস রুম যেখান থেকে পুরো সংগ্রহশালার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আর এরপরে রয়েছে স্থানীয় শিশু কিশোরদের আঁকা ছবি এবং উপর তলায় শিল্পীর সব কিছু। যাইহোক সামনের পর্বে আমি স্থানীয় শিল্পীদের আঁকা ছবি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো। আজকের মতো সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিদায় নিলাম।

---

---

ছোট্ট পরিসরে পরিচিতি

আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।