ময়মনসিংহ মিনি চিড়িয়াখানা ভ্রমণ। (শেষ পর্ব)
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। আসলে সুস্থ থাকাটা এখন অনেক বড় চ্যালেঞ্জ, হাসপাতালে গেলে বোঝা যায় সৃষ্টিকর্তা কতটা ভালো রেখেছেন। যাইহোক আমরা সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবো।
গত কিছুদিন আগে আমি ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ানোর চেষ্টা করেছিলাম। তবে সবথেকে ভালো লেগেছিল ময়মনসিংহ মিনি চিড়িয়াখানা। ছোট্ট একটা জায়গায় এই চমৎকার চিড়িয়াখানাটা তৈরি করেছে। আমি তাদের সাজানো গোছানো পরিবেশ আর আয়োজন দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। যাইহোক আমার বাচ্চাদের আনন্দ ছিল বাঁধভাঙা, বেশ চমৎকার সময় কাটিয়েছিলাম। যাইহোক এর আগেও চিড়িয়াখানাটা নিয়ে পোস্ট করেছি, আজ অন্তিম পর্ব নিয়ে উপস্থিত হলাম।
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
কাঠ গনেশ নামটা যেমন সুন্দর তেমনি দেখতে অসাধারণ এই পাখিটি। আমি নামটি দেখে বেশ অবাক হয়েছিলাম, আমার এদের সম্পর্কে ধারণা একদমই কম। তবে কাছ থেকে দেখে এতোটাই ভালো লেগেছে বলে বোঝাতে পারবো না। বাচ্চারা দেখে ভীষণ খুশি হয়েছিল পাখিটা দেখে। এর ঠোঁট অনেক বড় আর দেখতে অসম্ভব সুন্দর।
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এটার নাম মনে হয় মেছো বিড়াল। আসলে নামটা ঠিক মনে করতে পারছিনা, তবে এটা আকারে বেশ বড়। দেখতে বেড়ালের মতো হলেও, বেশ শক্তিশালী মনে হয়েছে আমার কাছে। ইলমা বেশ চেঁচিয়ে ডাকতে শুরু করেছিল এই বিড়ালটিকে।
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
অজগর সাপ দেখতে বরাবরের মতো ভয়ানক। সাপ আমার ভীষণ ভয় লাগে। এটা খাঁচার ভেতরে পানির মধ্যে ছিল তবুও আমার ভয় লাগছিলো। আমি ছবিগুলো বেশ দূর থেকে তোলার চেষ্টা করেছি। যদিও সাপটি আকারে তেমন বড় বলে মনে হয়নি।
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
বক, দেখতে বেশ সুন্দর। বেশ কয়েকটি বক দেখতে পেলাম, তবে বক বন্দি অবস্থায় দেখতে ভালো লাগেনি আমার। মাঠে ঘাটে এবং উন্মুক্ত জায়গায় এই বকগুলো দেখতে আমার অসাধারণ লাগে।
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
আমার সবথেকে পছন্দের প্রানী গুলোর মধ্যে খরগোশ একটি। আমি মাঝে মাঝেই খরগোশ দেখলে ছবি তোলার চেষ্টা করি। ইদানিং আমার বাচ্চারা ঠিক আমার মতো খরগোশ পছন্দ করতে শুরু করেছে। যাইহোক চিড়িয়াখানাতে এদের দেখে সবাই বেশ খুশি ছিলাম।
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
গাধা আমি আমার লাইফে খুব কম দেখেছি। তবে চিড়িয়াখানাতে দেখে এককথায় দারুন লাগলো। খুব কাছ থেকে ছবি তুলেছিলাম।
যাইহোক সময়টা এতোটাই দারুন কাটিয়েছি তা বলে বোঝাতে পারবো না। আমি একটু আত্মভোলা মানুষ আর ঘুরে বেড়াতে ভীষণ পছন্দ করি। তাইতো এধরনের আনন্দের ফুরসত পেলে ভালোই লাগে, যাইহোক অনুভূতিগুলো গুছিয়ে উপস্থাপন করার চেষ্টা করলাম। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
প্রথমেই আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। ময়মনসিংহ মিনি চিড়িয়াখানা ভ্রমণ এর পর্ব গুলো দেখেছি শেষ পর্বের অপেক্ষায় ছিলাম। কাঠ গনেশ পাখিটি আজকে প্রথম দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অজগর সাপ আমি দেখেছিলাম অনেক বড় একটি সার্কাসে। তবে এই অজগর টি অনেক ছোট। বক নদীতে এব খাল বিলে দেখতে বেশি ভালো লাগে। আসলে এধরনের প্রানী গুলোকে বন্দি দেখতে একটু বেশি খারাপ লাগে। খরগোশ আমার ও পছন্দের প্রানী। ইলমা খরগোশ পছন্দ করে জেনে খুশি হলাম। এক জোড়া খরগোশ কিনে দিয়েন আশাকরি ভীষণ খুশি হবে। সব মিলিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট উপভোগ করলাম। আপনার পুরো পরিবারের জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
হ্যা এই প্রানীগুলো উন্মুক্ত থাকলে আরো বেশি ভালো লাগতো। যাইহোক বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি। ধন্যবাদ তোমাকে চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1762891872467636320?t=edX3Q-a3P0aPPIJEG9bn3A&s=19
ময়মনসিং চিড়িয়াখানায় ভ্রমণের মুহূর্তগুলো অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করেছেন। সেই মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।আসলে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। এরকম চিড়িয়াখানায় ভ্রমণের মুহূর্তগুলো অনেক ভালো লাগে আমারও।
প্রথমে মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। যিনি আমাদেরকে সুস্থ রেখেছেন। আমাদের চারপাশে অনেক মানুষ অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন। তাদের জন্য আমি সুস্থতা কামনা করছি। আপনি ময়মনসিংহ মিনি চিড়িয়াখানা ভ্রমণ করেছেন এবং অনেক চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রতিটি ফটোগ্রাফির সাথে বেশ ভাল বর্ণনা দিয়েছেন। আমার কাছে অজগর সাপের এবং কাঠ গনেশ এর ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভাল লাগেছে। ময়মনসিংহ মিনি চিড়িয়াখানা ভ্রমণের পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকবেন।
প্রথমেই মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি তিনি আমাদেরকে সুস্থ রেখেছেন। ময়মনসিংহ মিনি চিড়িয়াখানা ভ্রমণ করে পরিবার নিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। তার পাশাপাশি আজকে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। তবে আমার কাছে কাঠ গনেশ পাখি এবং খোরগোশ এর ফটোগ্রাফি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
চিড়িয়াখানা ভ্রমণ করতে আমাদের সকলের অনেক ভালো লাগে। এই চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন ধরনের জীবজন্তু থাকে যা আমরা কখনোই দেখিনি। এমনও থাকে যা পৃথিবী থেকেও বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে৷ তা চিড়িয়াখানাতেই দেখতে পাওয়া যায়। ময়মনসিংহের এই চিড়িয়াখানায় গিয়ে আপনি খুব সুন্দর সুন্দর কিছু মুহূর্ত উপভোগ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। প্রত্যেকটি পর্বের মাধ্যমে চিড়িয়াখানার সবকিছু দেখে নিচ্ছি, তা দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ পরবর্তী পর্বগুলোতে আরো কিছু দেখার আশায় রইলাম৷