বন্ধুমহল প্রীতি টুর্নামেন্ট। চাইলেও সবকিছু ভোলা যায় না।
চাইলেও সবকিছু ভোলা যায় না |
---|
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
বয়সটা আমাদের একটু বেড়েছে। শুধু একটু নয় আমরা মাঝ বয়সে পৌঁছে গেছি। পেট বলুন আর ভুঁড়ি বলুন এটা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে, সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দায়িত্ব, সংসারের ভার আর ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তা। যাইহোক জীবন তো আর থেমে নেই, কিন্তু বারে বারে পুরনো সেই দিনগুলোর কথা মনে পরে যায়।
আমি একটা সময় বেশ ভালো ক্রিকেট খেলতাম কতটা ভালো বলতে গেলে আমাকে যেকোন টীমের সাথে খেলতে গেলে ওপেনিং এ নামানো হতো। আর স্পিন বোলিং করতাম দারুন। কিন্তু ধীরে ধীরে জীবন থেকে কেমন যেন সব হারিয়ে যাচ্ছে। তবে সবকিছু এখন খুব স্বাভাবিক ভাবে নিতে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
আমার কলিগ হাদী ভাই ভীষণ ভালো একজন মানুষ এবং ইন্জিনিয়ার হিসেবে সুদক্ষ। তাকে নিয়ে মূলত আমার পুরো জোন সামলাতে হয়। আজ সকালে তার স্কুলে অর্থাৎ তিনি যে স্কুলে পড়াশোনা করতেন সেখানকার বন্ধুরা মিলে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছেন। আজ আমি আমার কলিগকে সকালে ছুটি দিয়েছিলাম এবং আমি একাই পুরো জোন সামলাচ্ছিলাম। হঠাৎ কাজ গুছিয়ে নেয়ার পর খুব ইচ্ছে করছিল তাদের খেলাটা একটু দেখে আসার।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
যেই চিন্তা সেই কাজ চলে গেলাম সরাসরি মাঠে। দেখলাম আমার কলিগ ফিল্ডিং করছে। আর তার একমাত্র ছেলে আব্দুল্লাহ মাঠের পাশে বসে খেলা দেখছে। আমি আবদুল্লাহর পাশে বসে গেলাম খেলা দেখতে। আবদুল্লাহ ভীষণ দুরন্ত আর মিষ্টি একটা ছেলে। সে মাঝে মাঝেই বাবার কাছে ছুটে যাচ্ছিল ফিল্ডিং করতে ।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
কিছুক্ষণের মধ্যেই তার সাথে বেশ ভাব হয়ে গেছেন। দুজনে মিলে চিপস আর সেভেন আপ শেষ করলাম।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এরপর খেলা দেখায় মনোযোগ দিলাম। বিপক্ষ দল তেমন বেশি রান করতে পারেনি মাত্র আশি রানে অলআউট হয়ে যায়। মাঝ বিরতিতে আমাদের ক্ষুদে প্লেয়ার মাঠ পরিদর্শনে নামে।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এটা হলো স্কোর বোর্ড। যদিও এনালগ সিস্টেম, তবুও ছেলেগুলো বেশ কষ্ট করে কাজগুলো করছিলো।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এরপর আমার কলিগের টিম ব্যাটিং করতে নামে। প্রথমেই তাদের দেখলাম বেশ সিরিয়াস, খেলা নিয়ে। কে কখন ব্যাটিং করবে সেই বিষয়ে বেশ আলোচনা করে মাঠে নেমেছে।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
খেলায় নেমে ধুমধাম ছক্কা আর চার মারতে থাকে। মাত্র আট ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে একাশি রান করে জয় লাভ করে আমার কলিগের টীম। সবাই বেশ হই হুল্লোড় করতে থাকে। ওদের আনন্দ দেখে সত্যিই আমার ভীষণ ভালো লাগছিলো।
খেলা শেষে সবাই হ্যান্ডশেক করে মাঠ ছাড়ে।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
সবশেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়। যেহেতু ফাইনাল দেরি আছে তাই আজ শুধুমাত্র ম্যান অব দা ম্যান পুরুষ্কার দেয়া হয়।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
যদিও খুব ছোট্ট একটি ট্রফি কিন্তু একটু খেয়াল করলে দেখতে পাবেন সবার মুখে আনন্দের হাসি। যে আনন্দ হয়তো কোটি টাকা দিয়েও কেনা যেতো না।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1758917098628411722?t=lcmZ7XDVPJc8Mqs5T0CjyQ&s=19
গ্রাম বা শহরে এই ধরনের টুর্নামেন্ট এখনো দেখতে পাওয়া যায়। আসলে খেলার একটা বয়স থাকে মানুষ সেই বয়সে প্রচুর খেলাধুলা করে। যখন সংসার জীবন চাকরি জীবনে চলে যায় তখন এই খেলার বয়সটা খেলার মুহূর্তগুলো মিস করে। যেমন আপনি ক্রিকেট খেলেছেন অনেক এখন খুবই মিস করেন। কিছু সময় দেখার সুযোগ পেয়েছেন যেটা আপনাকে মনে করিয়ে দিয়েছে।
আপনি ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করতেন জেনে খুশি হলাম। আপনার কলিক কে ছুটি দিয়ে আপনি পুরো কাজ একাই করেছেন। এবং কাজ শেষ করে তাদের খেলা দেখতে গিয়ে চমৎকার মহূর্ত উপভোগ করেছেন। আপনার কলিক এর ছেলেটা দেখতে অনেক কিউট। ঠিক বলেছেন ম্যাচে জেতার পর তাদের মুখে হাসি দেখা যাচ্ছে। ভালো লাগলো ভিন্ন রকম পোস্ট পরে। ক্রিকেট খেলা আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
ক্রিকেট খেলা আমার অনেক পছন্দের খেলা। আমি বিকেলে প্রায় সব সময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালোবাসি। আপনি অনেক ভাল ক্রিকেট খেলতেন তা যেনে খুশি হলাম। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো হাদি ভাইকে দেখে। হাদি ভাই অনেক ভালো মনের মানুষ। তার সাথে অফিসে কাজে মাঝে মধ্যে আমার দেখা হয। আপনি সুন্দর একটি খেলা দেখার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। যদিও খুব ছোট্ট একটি ট্রফি কিন্তু সবার মুখে আনন্দের হাসি। আপনার উপস্থাপনা খুবই সুন্দর ছিল ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
খেলাধুলা একটা সময় অনেক পছন্দের ছিলো। তবে আপনি ঠিক বলেছেন ধীরে ধীরে জীবন থেকে কেমন যেন সব হারিয়ে যাচ্ছে। যাইহোক আপনার কলিগদের টিম বিজয়ী হয়েছেন। তাদের হাসি মাখা মুখটা দেখে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।