বাঙালি রেসিপি: পটল দিয়ে কাতলা মাছের ঝোল।
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। আজকে রেসিপি পোষ্ট করার সিদ্ধান্ত নিলাম। সত্যি বলতে রেসিপি পোষ্ট করতে ভীষণ ভালো লাগে, আর আপনাদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায়। যাইহোক কাতলা মাছ আমার ভীষণ প্রিয় একটা মাছ, বিশেষ করে এর স্বাদ অতুলনীয়।
সেদিন আড়াই কেজি ওজনের একটা কাতলা মাছ কিনেছিলাম, মাছটা দেখেই ভীষণ কিনতে ইচ্ছে করলো, যাইহোক মাছটা একদমই তাজা এবং লাফাচ্ছিল। এরপর সেই কাতলা মাছ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে লোভনীয় স্বাদের খাবারটি। তো চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি।
পটল | ৫০০গ্রাম | কাতলা মাছ | ৫০০ গ্রাম |
---|---|---|---|
আলু | ২০০ গ্রাম | পেঁয়াজ কুচি | এক কাপ |
হলুদ গুঁড়া | এক চামচ | মরিচ গুঁড়া | এক চামচ |
জিরা গুঁড়া | এক চামচ | রসুন বাটা | এক চামচ |
লবণ | স্বাদমতো | সোয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
প্রথমেই পটল এবং আলু কেটে টুকরো করে ধুয়ে নিলাম।
এরপর কাতলা মাছের টুকরোগুলো ভালোভাবে ধুয়ে একটি বাটিতে উঠিয়ে নিলাম।
প্রথমেই একটি পাতিল নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো সোয়াবিন তেল ঢেলে দিলাম। এরপর তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভেজে নিলাম।
এরপর একে একে সমস্ত মসলা দিয়ে দিলাম এবং ভালোভাবে কষিয়ে নিলাম। এরপর সামান্য পানি যোগ করলাম।
এই ধাপে কাতলা মাছগুলো মসলার মধ্যে দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিলাম। মাছ কষানো হলে একটি পাত্রে মাছগুলো উঠিয়ে নিলাম।
এই ধাপে পটল এবং আলুর টুকরোগুলো দিয়ে দিলাম।
এরপর দশ মিনিট সময় নিয়ে ভালোভাবে মসলার সাথে কষিয়ে নিলাম।
এরপর সামান্য ঝোল দিয়ে দিলাম।
এরপর আগে থেকে কষানো মাছগুলো দিয়ে দিলাম। এরপর তরকারিটা বিশ মিনিট রান্না করলাম। আমাদের সুস্বাদু তরকারি তৈরি, এবার পরিবেশনের পালা।
🍱 পরিবেশন করলাম 🍱
জাষ্ট লোভনীয় স্বাদের খাবার এটি, পটল দিয়ে কাতলা মাছ বেশ তৃপ্তি সহকারে খেলাম। আমি জানি আপনারাও এভাবে খেতে পছন্দ করেন।
ছবি যন্ত্র | রিয়েলমি সি-২৫ |
---|---|
ছবির কারিগর | @emranhasan |
ছবির অবস্থান | ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ। |
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে পটল দিয়ে কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আসলে সবজি দিয়ে যেকোনো মাছ রান্না করলে খেতে বেশ ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরীর প্রসেস আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু ছিল। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আসলে কাতলা মাছ আমার বেশ ভালো লাগে। আর পটল দিয়ে খেতে অসাধারণ লেগেছিল।
ধন্যবাদ তোমাকে মন্তব্যের জন্য।
আড়াই কেজি ওজনের কাতলা মাছ কিনেছিলেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। অনেক সময় বাজারে গেলে পছন্দের মাছ দেখতে পাওয়া যায়। আর মাছ যদি সতেজ হয় তাহলে কেনার আগ্রহ বেড়ে যায়। পটল দিয়ে মাছের ঝোল করলে খেতে ভালোই লাগে।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
আসলে একটু বড় আকারের মাছগুলো বেশ ভালো লাগে খেতে।
পটল দিয়ে কাতলা মাছ কখনো খাইনি। চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। তাজা মাছ গুলো খেতে একটু বেশি সুস্বাদু লাগে। বেশ বড় একটি কাতলা মাছ কিনেছেন। এধরনের খাবার গুলো তৃপ্তি সহকারে খাওয়া যায়। ইউনিক একটি রেসিপি ছিলো। আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে শিখে নিলাম। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ লিমন।
সত্যিই বেশ তৃপ্তি সহকারে খাবারটি খেয়েছিলাম।
কাতলা মাছের মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন।এই রেসিপি দেখতে পেয়েই ভালো লাগলো। আসলে পটল দিয়ে কাতলা মাছের রেসিপি খেতে অনেক মজা লাগে।রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
আমার রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভীষণ খুশি হলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে।
পটল দিয়ে কাতলা মাছের ঝোল দেখে জিবে জল চলে এসেছে। বাঙালি রেসিপি গুলো আপনি সব সময় আমাদের মাঝে শেয়ার করতে চেষ্টা করেন। তবে আড়াই কেজি ওজনের কাতলা মাছ বেশ বড় এবং খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়। রন্দন প্রণালীর প্রতিটি ধাপ সমূহ সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপনা করেছেন আপনি। এত সুন্দর লোভনীয় রেসিপি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
পটল দিয়ে কাতলা মাছের মজাদার ঝোল রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া। এরকম ভাবে কাতলা মাছ রান্না করলে খেতে ভালই লাগে।আসলে মাছের তরকারিতে একটু ঝোল ঝোল রাখলে খেতে একটু ভালো লাগে।আজকে আপনার তৈরি মজাদার এই রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপিটি আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
সত্যিই এভাবে খেতে অসাধারণ লাগে ভাই।
যাইহোক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ওয়াও আপনি দারুণ একটি রেসিপি শেয়ার করছেন ভাই। কাতলা মাছ খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে কাতলা মাছের ঝোলটা দারুণ লাগে।আপনি পটল দিয়ে সুন্দর করে কাতলা মাছ রান্নার রেসিপি শেয়ার করছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ তোমাকে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করার জন্য।
তরকারিটা খেতে দারুন লেগেছে।
এই ধরনের পটল দিয়ে কাতলা মাছের রেসিপি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। কেননা এই ধরনের রেসিপি কিন্তু অনেকটা পুষ্টিকর হয়। আপনি খুব সুন্দরভাবে এই রেসিপি তৈরির বর্ণনাটা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।
কাতলা মাছ দিয়ে এভাবে পটল রান্না করে খেতে অসাধারণ লাগে। বেশ তৃপ্তিদায়ক খাবার এটা।
বাহ ভাইয়া আপনি তো দেখতেছি আড়াই কেজি ওজনের কাতলা মাছ কিনেছেন। তবে কাতলা মাছ খেতে বেশ মজাই লাগে আমার কাছে। আজকে আপনি পটল এবং কাতলা মাছ দিয়ে চমৎকার ঝোল রেসিপি করেছেন। আপনার রেসিপির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। এই ধরনের রেসিপি দিয়ে গরম ভাত এবং গরম রুটি খেতে বেশ মজাই লাগে।
ধন্যবাদ ভাই।
মাছটা বড় হবার কারনে স্বাদ বেশি ছিল।
হ্যা গরম ভাতের সাথে খেতে দারুন লেগেছে।