বিলাতি বিড়াল সমাচার 🐱 সাথে ছোট্ট ভিডিও।
|
---|
ইদানিং মানুষ বড্ড যান্ত্রিক আর একা হয়ে যাচ্ছে। কারন হিসেবে বলা যায়, যুগের আধুনিকতা আর কিছু কিছু ক্ষেত্রে অতিরঞ্জিত কার্যকলাপ। এখন আর চাইলেও কেউ কারোর সাথে বসে দুটো কথা মন খুলে বলতে পারে না, এর কারন অনেকগুলো। যাইহোক আমি ঐদিকে যাবো না কারন তাহলে আমার পোস্টের শব্দ ফুরিয়ে যাবে কিন্তু লিখা শেষ হবে না। যাইহোক মানুষ দিন দিন মানুষকে আপন না ভেবে বিভিন্ন যান্ত্রিক জিনিস কিংবা অন্য কিছুর দিকে ধাবিত হচ্ছে।
আসলে নিজের ঘরের জিনিস তেমন আমাদের ভালো লাগে না, কেমন যেন বিদেশি সবকিছুর প্রতি অতিরিক্ত চাহিদা কাজ করে। ধরুন আমাদের দেশীয় একটি বিড়ালের বাচ্চা যদি কোনভাবে পাতিলের এক টুকরো মাছে মূখ দিয়েছে তাহলে সেটাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। অথচ দশ থেকে পনেরো হাজার টাকা দিয়ে বিড়াল কিনে সেটাকে ব্রয়লার মুরগির মাংস আর মাছ ফ্রাই করে খাওয়াতে আমাদের সত্যিই ভালো লাগে। অথচ আমাদের দেশীয় বিড়াল ঠিকমতো লালন পালন করলে সেটা ভীষণ ভদ্রভাবে থাকে, তাছাড়াও ইঁদুর মেরে যেমন ঘর ঠিক রাখে, তেমনি বিভিন্ন ছলাকলা করে বেশ আনন্দ দেয়। আর এদের জন্য আলাদা কোন খরচ করতে হয়না, বাড়ির উচ্ছিষ্ট খেয়েই বেশ আনন্দে দিন পার করে দেয়। কিন্তু এরা কখনোই কদর পায় না, একটু এদিক সেদিক হলেও বাড়ি পরে পিঠে। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
যাইহোক ইদানিং একটা ব্যপার খেয়াল করছি বিলাতি বা বিদেশী প্রানী পোষা হচ্ছে। এরমধ্যে বিড়াল এবং কুকুর অন্যতম। তবে বিড়ালকে খুব সহজেই পরিচ্ছন্ন রাখা যায় তাই এর প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি। কিছু কিছু পরিবারে দেখলাম বেশ নিজের বাচ্চার মতো পালন করা হচ্ছে, সুন্দর নাম রাখা হচ্ছে, জন্মদিন পালন হচ্ছে, লোক দিয়ে পরিচর্যা, আরো কত কি।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
যাইহোক আমাদের ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিড়াল পালন করা দোষের কিছু নয়, তবে অতিরঞ্জিত কোন কিছু করা মোটেও উচিত নয়। দেখুন বাংলাদেশের মানুষ কখনো এমন অনেক জায়গা রয়েছে ঠিকমতো দুবেলা দুমুঠো খেতে পারে না, আর এমন অনেক এতিমখানা রয়েছে যেখানে এতিম বাচ্চারা খেতে পর্যন্ত পারছেনা। আর সেই দেশে বসবাস করে আপনার টাকা রয়েছে বলেই আপনি ফানুসের মতো উড়াবেন এটা একদমই ঠিক নয়। আপনি আপনার অতিরিক্ত টাকা যাকাত ফেতরা আদায়ের মাধ্যমে গরিব অসহায় মানুষকে দান করে অনেক বড় মানসিকতার পরিচয় দিতে পারেন।
শখের দাম কোটি টাকা আমি জানি আপনারা সেটাই বলবেন। কিন্তু তাই বলে বিড়ালকে বিড়ালের জায়গায় থাকতে দেন, সেটাকে নিয়ে অতিরঞ্জিত কিছু করবেন না। যদি সেটা করেন তাহলে সত্যিই একসময় অধঃপতন নেমে আসবে।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
আমার বাসার পাশেই ঠিক রকম বিলাতি বিড়াল নিয়ে বেশ ঢাকঢোল আর অতিরঞ্জিত কার্যকলাপ চলছে। আসলে এগুলো দেখে আমি বিরক্ত। সেই বিড়ালের নাম রাখা, আকিকা করা 😄 ঘর তৈরি করে দেওয়া, চিকেন ফ্রাই, ফিশ ফ্রাই খাওয়ানো ছাড়াও আরো কত কি যে ব্যাপার। যাইহোক এগুলো দেখে রিতিমত ইলমা বাসায় যুদ্ধক্ষেত্র বানিয়ে ফেলেছে, তাকে বিড়াল এনে দিতেই হবে। যাইহোক আমি সাফ জানিয়ে দিয়েছি এগুলো আমার পছন্দ নয়।
যাইহোক বাচ্চা মেয়ে, এগুলো দেখে বায়না ধরা স্বাভাবিক। অবশেষে আমি মাঝে একটু সময় করে কিছু বিলাতি বিড়ালের ছবি আর ভিডিও সংগ্রহ করে তাকে দিয়েছি, পছন্দ করার জন্য। তাকে বলা হয়েছে বিড়াল এনে দেয়া হবে, তবে আদৌ এটা কখনো অন্তত আমার পক্ষে সম্ভব নয়। 😄
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://steemit.com/hive-129948/@emranhasan/a1ee5529baa0a
আপনি দেখছি বিলাতি বিড়াল পালন করেন। অন্যান্য পশু প্রাণীর থেকে বিড়াল পালন করা উত্তম। আমার বাসায় বেশ কয়েকটি বিড়াল রয়েছে। আমরা সেগুলো কে পালন করি না। তবুও ভাত খাওয়ার সময় কাছে চলে আসলে তাদের কে খেতে দেই। আপনার বিড়াল গুলো মাশাআল্লাহ অনেক বেশি সুন্দর।
ভাই কথা গুলো যথার্থ বলেছেন ৷ আমাদের বর্তমান সময়ে সবাই একা জীবন যাপন করছে ৷এটা শুধু যে আধুনিকতার ছোঁয়া না নয় ৷ আমাদের সাধারন মানুষদের মনমানসিকতাও বড় পরিবর্তন হয়েছে ৷
ঠিক সেটা প্রানী জগতে ও হ্যা এটা ঠিক আমাদের দেশীয় যে কোনো কিছুই আমরা প্রায় বর্জন করছি ৷ যেমন বিড়াল আর কুকুরের কথা তুলে ধরেছেন ৷একদম ঠিক বলেছেন এখন তো প্রায় বাসা বাড়িতে বিলেতি বিড়াল কুুকুর পালন করছে ৷ এথচ দেশীয়. কিছু পশু-প্রানী একটু খারাপ কাজ করলে ৷ তাকে বাড়ি ছাড়া ৷
সত্যি বিষয়টা বেশ দুঃখজনক ৷
এটা একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া এখন আর মানুষ মন খুলে কারো সঙ্গে দু চারটি কথা বলে না। সবাই এতটা ব্যস্ততায় দিন যাপন করছে
কেউ কাউকে সময় দিবে তো দূরের কথা
ঠিকভাবে কথাই বলতে পারে না। ধর্মীয় দিক
থেকে বিড়াল পালন করা উত্তম আর বিদেশী
বিড়াল গুলো দেখতেও ভালো লাগে। বিলাতি
বিড়ালের ভিডিওগ্রাফিটি দেখে অনেক ভালো
লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট
আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বিলাতি বিড়াল দেখতে অনেক কিউট লাগতেছে। কম বেশি অনেক লোকজন রয়েছে এধরনের বিড়াল গুলো কিনে বাসায় রেখে দেয়। আমার কাছে দেশি বিড়াল গুলোর খুনসুটি ভীষণ ভালো লাগে। চমৎকার কিছু লেখা আপনার পোস্ট এর মধ্যে তুলে ধরেছেন। ইলমা তো নিতে চাইবে কারন সে তো বুঝে না। ওকে বুঝিয়ে বলেছেন জেনে ভালো লাগলো। ভিডিওটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
আপনার কথাগুলো পড়ে আমার একটা প্রবাদ মনে পড়ে গেল "গৃহযোগী ভাত পাই না, বিদেশী সন্ন্যাসীর আগমন " হা হা। বিড়াল টার ক্ষেএেও তাই। আমাদের দেশী বিড়ালগুলোকে আমরা তাকিয়েও দেখি না। অনেক সময় দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়। আর সেই আমরাই বিলেতি বিড়াল কুকুর নাম শুনলে ঘরে নিয়ে এসে পালন শুরু করি। কী একটা অবস্থা ভাই হা হা।
আপনার পোস্টটি পড়ে ভিষন ভালো লাগলো। আপনি একদম ঠিক বলেছেন আমরা আমাদের দেশীয় জিনিস গুলোর চেয়ে বিদেশি জিনিস গুলোর প্রতি অনেক বেশি আকৃষ্ট হয়ে যাচ্ছি। যাই হোক বিড়াল আমার ও ভীষণ পছন্দের প্রানি তবে দেশি বিড়াল গুলো আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনি ঠিক বলছেন ইদানিং বিলাতি বা বিদেশী প্রানী পোষা হচ্ছে। এরমধ্যে বিড়াল এবং কুকুর বেশি রয়েছে। আজকে আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে আপনার বিলাতি
বিড়ালের বিচরণ দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সুন্দর ভিডিও ধারণ করেছেন আপনি, আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ নাজমুল।
বিদেশি বিড়াল এখন বেশ শখের জিনিস হয়ে গেছে।
অথচ দেশি বিড়াল না খেয়ে মরে।