অমর একুশে :) আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি।
গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ভাষা শহীদদের, যাদের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে আজ আমাদের মায়ের ভাষায় কথা বলা। সেই সমস্ত মানুষের প্রতি সম্মান জানাচ্ছি যারা ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন।
বাংলা মায়ের ভাষা, বাংলা আমার প্রানের ভাষা, বাংলা আমার রক্তে রন্ধ্রে ঠাসা।
আমার মেয়ে ইলমা তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে, ইতিমধ্যে একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে জানতে পেরেছে। গতকাল স্কুল থেকে জানানো হয়েছে আজ সকাল সকাল শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাবে, সবাই যেন প্রস্তুতি নিয়ে স্কুলে আসে।
গতকাল দুপুর থেকেই আমার শরীর বেশ খারাপ তবুও সন্ধ্যায় একটা জরুরী কাজে বাইরে আসতে হয়েছে। তখন তার জন্য একটা ফুলের তোড়া কিনে এনেছিলাম, সে যেন শহীদ মিনারে দিতে পারে। ফুল নিয়ে বাসায় ফেরার পর সে তো মহা খুশি। রাতে তাকে আবারো ভাষা আন্দোলনের ব্যাপারটা এবং আমরা কিভাবে বাংলা ভাষা পেলাম সেই বিষয়টি আবারো বুঝিয়ে বললাম, যাতে তার ভেতর ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা বোধ জেগে ওঠে।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
সকালে ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে যায় ইলমা, এরপর তাড়াতাড়ি স্কুলের পথে রওনা দেয়। স্কুলে পৌঁছা মাত্র প্রধান শিক্ষকসহ স্কুলের সমস্ত শিক্ষকগণ ছেলেমেয়েদের শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার জন্য তৈরি করতে থাকে, সারিবদ্ধ করে। বাচ্চাদের মধ্যে একটা বেশ উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে কখন ফুলের তোড়া দেবে এই ভেবে অস্থির।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এরপর ভালুকা পাইলট স্কুলের বড় শহীদ মিনারে সবাই ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে থাকে। একটা চমৎকার দৃশ্য, যেখানে কিছু মানুষ ভাষা শহীদদের স্মরণ করে শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। সবার হৃদয়ে রয়েছে ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ। এরপর শহীদ মিনারে পৌঁছে বেদিতে ফুল দেয়া হয় সবাই একসাথে। আমাদের ইলমা মনি নিজের ছোট্ট ফুলের তোড়া দেয় এবং কিছু সময় শহীদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। এভাবেই আমরা আমাদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষ করি এবং ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা হৃদয়ে গেঁথে নিয়ে বাসায় ফিরে আসি।
শারীরিকভাবে বেশ অসুস্থতার মাঝে রয়েছি, সৃষ্টিকর্তা হয়তো একটু বেশি পছন্দ করেন 😕। যাইহোক দোয়া চাই সকলের, আজ এখানেই বিদায় নিলাম। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1760328922397634881?t=8qlPyiL78Vb3foGsox67ew&s=19
বর্তমান সময় টা খুব খারাপ ভালো থাকাটাই যেনো মুশকিল। প্রথমেই আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। আশাকরি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন ইনশাআল্লাহ 🤲 ইলমা মামুনী তার স্কুলে গিয়ে শহীদ মিনারে ফুল দিয়েছে দেখে অনেক খুশি হলাম। বাঙালিদের গৌরবময় একটি দিন আজ। সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা রইলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
এখন আবহাওয়া একটু খারাপ প্রায় মানুষ অসুস্থ হয়ে পরছেন। আপনার সুস্থতা কামনা করছি সৃষ্টিকর্তা যেনো আপনাকে তারাতাড়ি সুস্থতা দান করেন। ইলমা মামুনি শহীদ মিনারে সবার সাথে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে আমরা যখন ছোট বেলায় স্কুলে পড়তাম তখন এভাবে লাইন ধরে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার জন্য যেতাম। আজকে বাচ্চাদের এই সুন্দর দৃশ্যটি দেখে ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেলো। যাইহোক এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
আপনার মেয়ে দেখতে দেখতে অনেক বড় হয়ে গেল তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ছে, আসলে আপনি একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা সম্পর্কে অনেক কিছু আপনার মেয়েকে ধারণা দিয়েছেন। এটা খুবই ভালো কাজ করেছেন। তাছাড়া আমাদের প্রজন্ম এই ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে না। আজকে টিভিতে দেখতে পেলাম অনেকেই আজকে কি দিবস সেটাই বলতে পারছে না। অথচ ক্লাসের ফার্স্ট বয় নাইন টেনে পড়ে, তারপরেও আজকে কি দিবস সেটাই বলতে পারছে না। আসলে আমরা বাঙালি জাতি হিসেবে লজ্জিত যদি আমরা এই একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের ইতিহাস সম্পর্কে না জানি, একটি ফুলের তোড়া এনে দেওয়াতে আপনার মেয়ে অনেক খুশি হয়েছে এবং দিনটি খুবই আনন্দের সাথে উদযাপন করেছে, এবং এই দিন সম্পর্কে জানতে পেরেছে যেন ভালো লাগলো।
আপনার মেয়ে ইলমার জন্য আশা করি আজকের দিনটি বেশ স্মরণীয় একটি দিন হয়ে থাকবে। আর বেশ ভালো লাগলো যে আপনি আপনার মেয়ের কাছে একুশে ফেব্রুয়ারীর ইতিহাস এবং মাহাত্ম্য আলোচনা করেছেন। এর মাধ্যমে ও আগে থেকেই জানে যে কেন, কীসের জন্য সে পরের দিন শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে যাবে বা আসলে একুশে ফেব্রুয়ারী কেন একটি বিশেষ দিন আমাদের জন্য। ভীষণ ভালো লাগলো ভাই।
প্রথমে মহান একুশে ফেব্রুয়ারীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সেইসব বীর সন্তানদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। আসলে একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে আপনার মেয়েকে অনেক ধারণা দিয়েছেন এটা জানতে পেরে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে আমাদের জাতি যেন একুশে ফেব্রুয়ারি এবং আমাদের ঐতিহ্য সম্পর্কে অনেক কিছুই ভুলে যাচ্ছে। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত তাদেরকে জানিয়ে দেওয়া।
প্রথমে আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। ইলমা মামুনি একুশে ফেব্রুয়ারি দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে যায় শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে। এই অনুভুতি ইলমা মামুনির হয়েছে দেখে ভাল লাগলো। একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটি উদযাপন করেছেন দেখে অনেক ভাল লেগেছে। ইলমা মামুনি এবং আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।