সুস্বাদু রেসিপি: মাছের মাথার মুড়িঘণ্ট। || স্বাদটাই আলাদা।
শুভ বিকেল আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি। আমি আজকে আবারো এটি চমৎকার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছে। আমরা বাঙালিরা ভীষণ ভোজনরসিক, তাই বিভিন্ন রকমের সুস্বাদু খাবার তৈরি করে খেতে পছন্দ করি। আমার গত কয়েকদিন থেকেই মাছের মাথার মুড়িঘণ্ট খেতে ভীষণ ইচ্ছে করছিল, তাই গতকাল হঠাৎ করেই মাছের মাথার মুড়িঘন্ট তৈরি করে নিলাম। খাবারটি এতটাই সুস্বাদু হয়েছিল যা বলে বোঝাতে পারবো না, তাই চিন্তা করলাম আপনাদের সাথে এই চমৎকার রেসিপিটি ভাগ করি। আশা করি আমার রেসিপিটি দেখে যে কেউ এই চমৎকার স্বাদের মাছের মাথার মুড়িঘণ্ট তৈরি করতে পারবেন। তো চলুন শুরু করি আমার আজকের রেসিপি।
মুগ ডাল | ২৫০ গ্রাম | মাছের মাথা | দুটি |
---|---|---|---|
কাঁচামরিচ | স্বাদমতো | পেঁয়াজ কুচি | এক কাপ |
হলুদ গুঁড়া | এক চামচ | মরিচ গুঁড়া | এক চামচ |
জিরা গুঁড়া | এক চামচ | রসুন বাটা | এক চামচ |
লবণ | স্বাদমতো | সোয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
টমেটো | চারটি | শুকনা মরিচ | দুটি |
তেজপাতা | দুটি | দারচিনি | এক টুকরো |
এলাচ | দুইটি | গোলমরিচ | তিনটি |
আদা বাটা | এক চামচ | মনের মাধুরী | ভরপুর |
প্রথমে মাছের মাথাগুলো মাঝ বরাবর কেটে ধুয়ে নিলাম।
এবার মাছের মাথা গুলোর মধ্যে হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া এবং সামান্য পরিমাণ লবণ দিয়ে মাখিয়ে নিলাম। এরপর একটি কড়াই চুলায় চাপিয়ে দিয়ে তাতে পরিমাণমতো সয়াবিন তেল ঢেলে দিলাম। এবার মাছের মাথাগুলো সেই গরম তেলে ভালোভাবে ভেজে নিলাম। সবশেষে একটি বাটিতে মাছের মাথাগুলো উঠিয়ে নিলাম।
এই ধাপে মুগ ডালগুলো একটি কড়াইয়ের মধ্যে দশ মিনিট সময় নিয়ে নেড়ে চেড়ে ভেজে নিলাম।
এবার একটি পাতিল চুলায় চাপিয়ে দিয়ে তাতে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল ঢেলে দিলাম। এরপর একে একে লং দারচিনি এলাচ এবং পেঁয়াজকুচি দিয়ে ভেজে নিলাম।
এবার এই পেঁয়াজ ভাজার মধ্যে একে একে হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, রসুন বাটা, আদা বাটা, জিরা গুড়া এবং স্বাদমতো লবণ দিয়ে দিলাম। এবার মসলাগুলো কিছুক্ষণ সময় নিয়ে কষিয়ে নিলাম।
এবার আগের থেকে ভেজে রাখা মুগডাল গুলো এই কষানো মসলার মধ্যে দিয়ে দিলাম। এবার মসলার সাথে মুগডাল গুলো কিছুক্ষণ কষিয়ে নিলাম। এবার পরিমাণ মতো জল দিয়ে দিলাম।
এই ধাপে দশ মিনিট সময় নিয়ে মুগডাল গুলো সিদ্ধ করে নিলাম এরপর শুকনা মরিচ, কাঁচামরিচ এবং টমেটো দিয়ে দিলাম।
এবার আগে থেকে ভেজে রাখা মাছের মাথাগুলো দিয়ে দিলাম এবং আরও দশ মিনিট তরকারিটা রান্না করলাম। ঝোল কিছুটা শুকিয়ে এলেই আমাদের তরকারিটি তৈরি হয়ে গেছে। এবার পরিবেশনের পালা
🍱 পরিবেশন করলাম 🍱
আহা, বেশ লোভনীয় স্বাদের খাবার 😋 আমি তো বেশ কব্জি ডুবিয়ে খেলাম। আর স্বাদটা সত্যি অতুলনীয় হয়েছে। এভাবে মাছের মাথা দিয়ে মুড়িঘন্ট খেতে কিন্তু অসাধারণ লাগে।
আমার রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো আশা করি মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত বিদায় নিলাম।
বিষয়বস্তু | মাছের মাথার মুড়িঘণ্ট |
---|---|
ছবি যন্ত্র | রিয়েলমি সি-২৫ |
ছবির কারিগর | @emranhasan |
ছবির অবস্থান | উত্তরখান, ঢাকা, বাংলাদেশ |
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
এটা আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন বাঙালি মানেই যেন ভোজন রসিক। মাছের মাথা দিয়ে মুড়ি ঘন্ট রান্নার দারুন একটা রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এই ধরনের মুড়ি ঘন্ট গুলো খেতে আমারও অনেক ভালো লাগে।
অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনি মাছের মুড়িঘন্ট খেতে পছন্দ করেন জেনে ভীষণ খুশি হলাম। ভালো থাকুন দোয়া রইল।
ওয়াও আপনি অনেক সুন্দর করে মাছের মাথার মুড়িঘণ্ট রেসিপি বানিয়েছেন। মাছের মাথা দিয়ে এভাবে মুড়িঘণ্ট করে খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে মাছের মাথার সাথে আপনি মুগ ডাল দিয়ে রান্না করেছেন খেতে মনে হয় অনেক মজাই হয়েছে। অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাই আমরা মুগ ডাল দিয়ে মুড়িঘন্ট খেয়ে থাকি।
খেতেও বেশ সুস্বাদু হয়েছে খাবারটি।
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1637052115888533506?t=LB0nEdsqOSdVPDGRu1WCzQ&s=19
মাছের মাথা দিয়ে মুড়িঘন্ট খেতে খুব মজার হয়।আমিও এভাবে রান্না করি।আপনার রেসিপিটি বেশ লোভনীয় হয়েছে ভাইয়া ।খুব মজা হয়েছে খেতে তা খুব বুঝতে পারছি।রেসিপিটি খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে তুলে ধরেছেন। এজন্য খুব ভাল লাগলো। রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক ধন্যবাদ আপু। আপনিও এভাবে মাছের মাথা দিয়ে মুড়িঘন্ট রান্না করেন জেনে ভীষণ খুশি হলাম।
মুড়িঘণ্ট দেখলে আমার একটা প্রশ্নই আগে মাথায় আসে,
মুড়ি না দিলেও এর নাম মুড়িঘন্ট কোনদিক থেকে রাখা হলো?
আমার খুব প্রিয় একটা রেসিপি এটা।বাড়িতে মাঝে মাঝেই মা বানায়।সুন্দর ছিল উপস্থাপনা।বিশেষ করে ছবিগুলো।শুভ কামনা রইলো।
অনেক ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্যের জন্য। আসলে আমার মাথায়ও এই প্রশ্নটা মাঝে মাঝে কাজ করে, আপনি যদি কোথাও এই প্রশ্নের উত্তর জানতে পারেন আমাকেও একটু জানাবেন হা হা 😄
ঠিক বলছেন ভাইয়া বাঙালিরা তো অনেক ভোজন রসিক ভিন্ন ধরনের খাবার খেতে অনেক পছন্দ করি সবাই। এক ধরনের খাবার আসলে খেতে একঘেয়েমি লাগে। সুন্দর করে মাছের মাথা দিয়ে মুড়িঘন্টা করেছেন কালার কম্বিনেশনটা অসাধারণ হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ মজাদার রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সত্যিই এক ধরনের খাবার সবসময়ই খেতে ভালো লাগে না।
আমার তরকারিটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভীষণ খুশি হলাম ।
ধন্যবাদ আপু চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
আগে মুড়িঘণ্ট মানে বুঝতাম মুড়ি দিয়ে হয়ত রান্না করে,বড় হওয়ার পর বুঝতে পারলাম মুড়িঘণ্ট কাকে বলে।যাই হোক ভাইয়া আপনার পরিবেশন টা কিন্তু দারুণ হয়েছে। কালার এবং ধাপ গুলো দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ ভালো হয়েছে।প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
সত্যিই তাই, আমিও মনে করতাম মুড়ি দিয়ে তৈরি করে 😄
যাক এখন তো জানি এটা মাছের মাথা দিয়ে রান্না হয়। ধন্যবাদ আপু আমার রেসিপি পছন্দ করার জন্য।
আপনি নিজে কব্জি ডুবিয়ে খেয়েছেন আর আমাদের লোভ লাগিয়েছেন। 😕😕
এটা একদমই ঠিক না ভাইয়া। যাই হোক আমি কালকেই বলবো আম্মুকে মাছের মাথার মুড়িঘন্ট
করতে।
ধন্যবাদ আপু চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
আশাকরি আন্টি আপনাকে বেশ স্বাদের করে মুড়িঘণ্ট তৈরি করে দেবে।
খুব ভালো থাকুন দোয়া রইল।
ভাইয়া আপনি সত্যি খুবই সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন। অবশ্য কখনো আমি নিজে এই রেসিপি তৈরি করিনি কিন্তু আমার মায়ের হাতে অনেক বার খেয়েছি। আমারও এই রেসিপি অনেক পছন্দ। এখনও আমার মা এই রেসিপি তৈরি করলে আমার বাসায় নিয়ে আসে। আপনার রেসিপি দেখতে খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার ও সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
আশাকরি একদিন নিজের হাতে তৈরি করে খেয়ে দেখবেন।
দোয়া রইল আপু।