সবুরে মেওয়া ফলে।

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago (edited)
সবুরে মেওয়া ফলে

ছবিটি কেনভা দিয়ে তৈরি

আমরা জাতি হিসেবে একটু অস্থির প্রকৃতির এবং হুজুকে বিশ্বাস করি বেশি। মানে হলো কোন কিছু অনেক সময় না দেখে, না শুনে এমনকি যাচাই-বাছাই না করেই কোন কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে আনন্দ বোধ করি। এতে সাময়িকভাবে কিছু বোঝা না গেলেও সুদূরপ্রসারী ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে। তাতে কি, আমরা ঠকে গিয়েও আবার শিখি না, ফলস্বরূপ আবারো একই ভুলগুলো বারবার করতে থাকি। আরো একটা ব্যাপার হলো ধৈর্য্য বা সবুর জিনিসটা আমাদের মধ্যে একদমই অপ্রতুল। মানে ধৈর্য্য ধরে কোন কিছু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করা এবং সঠিক সময়ের অপেক্ষা করার গুণাবলী আমাদের মধ্যে দেখা যায় না।

বারংবার বিভিন্ন ভুলগুলোকে না সুধরে এগিয়ে নেয়ার ফলে সমাজে বিভিন্ন ধরনের মানসিক অসুস্থতা ছড়িয়ে পড়ে। যেমন ধরুন কোন একটা কুসংস্কার বা প্রথা এটা ব্যাপকভাবে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পরে। যারফলে সামজিক অবক্ষয় এবং মূল্যবোধের ব্যাপক ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়। সবমিলিয়ে ঠান্ডা মাথায় বাছবিচার না করার ফলে সামাজিক বন্ধনগুলো হালকা হতে শুরু করে, ধীরে ধীরে এটা বিলুপ্ত বা ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যায়।

একটা সমাজ কিংবা পরিবার কখন এগিয়ে যায়?
তখন সেই সমাজ বা পরিবারের মানুষজন নিজেদের মেধা, সৃজনশীলতা এবং সামর্থ্য খুব বিচক্ষণ চিন্তা চেতনার মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা করে। আর এই ঠান্ডা মস্তিষ্কের চিন্তা গুলো পরিবর্তি পরিবার সমাজ এবং দেশের ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করে। আসলে শুধুমাত্র অবকাঠামোগত উন্নয়নকে কখনো টেকসই উন্নয়ন বলা যায় না, কারন একটা সময় সবকিছু ধ্বংসের পথে হাটবে। কিন্তু আপনি যদি মানসিকতা, বিচক্ষণতা এবং কর্মস্পৃহা জাগ্রত করার মাধ্যমে তরুণ সমাজকে দীক্ষা দিতে পারেন তাহলে সেই উন্নয়ন হবে টেকসই উন্নয়ন।

তবে সবকিছু মূলে হলো সবুর, কারন আপনি ধৈর্য্য ধারণ না করলে কোন কাজ সঠিকভাবে এবং বিচক্ষণতার সাথে শুরু বা শেষ কোনটাই করতে পারবেন না। যাইহোক আমাদের সবার উচিত ধৈর্য্য ধারণ করে প্রতিটি বিষয় গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ এবং পরিচালনা করতে হবে। রাগ, হিংসা কিংবা লালসা কোনটাই আপনাকে এগিয়ে যেতে দেবে না, তাই নিজের উপর নিজের নিয়ন্ত্রন রাখুন। আর ধৈর্য্য ধারণ করে সবকিছু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করুন। এরপর ব্যাক্তিগত এবং সামাজিক উন্নয়নে এগিয়ে যেতে পারেন। অবশ্যই ধৈর্য্য ধারণ করা মহৎ গুণের একটি, আর এর ফল সুমিষ্ট হতে বাধ্য।



First_Memecoin_From_Steemit_Platform.png



Black and White Modern Company Presentation (1).gif

ছোট্ট পরিসরে পরিচিতি

আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।

Posted using SteemMobile

Sort:  
 3 months ago 

যে কোন কাজ ধৈর্য্য ধারণ করে করলে কাজটি খুব সুন্দর হয়। যে কোন কাজ ধৈর্য্য সহকারে না করে তাড়াহুড়ো করে করলে কাজটি ভুল হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। ধৈর্যশীল ব্যাক্তি কেও সৃষ্টিকর্তা পছন্দ করে থাকেন। আপনার লেখা জেনারেল রাইটিং পোস্ট গুলো ভীষণ ভালো লাগে। আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে বেশ কিছু তথ্য পেলাম। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।

 3 months ago 

কথায় আছে সবুরে মেওয়া ফলে। যেকোনো কাজের ক্ষেত্রেই ধৈর্য ধারণ করা বুদ্ধিমানের কাজ। হ্যাঁ, রাগ হিংসা কোন কিছুই আপনাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না শুধু সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রেখে ধৈর্য ধারণ করলে সফলতা অর্জন করা সম্ভব।

 3 months ago 

আপনি অনেক সুন্দর একটা পোস্ট লিখেছেন। সত্যি ভাইয়া সবুরে মেওয়া ফলে। আসলে আমাদের সব কিছুর মূলে রয়েছে ধৈর্য্য। আমরা যেকোন কাজে ব্যথা হয়ে ভেঙে পড়লে চলবে না।ধৈর্য ধরে কোন কাজ করলে সত্যি ফল ভালো হয়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর লিখেছেন।

 3 months ago 

সমসাময়িক সময়ে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আমি নিজেও ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেছি। আর নতুন করে আশা দেখতে পারছি না। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা সঠিক সময়ের এবং প্রয়োজনের আগে কাউকেই কিছু দেন না এটা বোঝা উচিত। ধৈর্য্য ধরলে অবশ্যই ভালো কিছু হয়। চমৎকার লিখেছেন ভাই। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য
আপনাকে।।

 3 months ago 

সবুরে মেওয়া ফলে এই কথার সঙ্গে আমিও একমত। কারণ ধৈর্য নিয়ে কাজ করলে সফলতা পাওয়া যায় এবং ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। অধৈর্য হয়ে কোন কাজ করলে লাভ থেকে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সবার উচিত ধৈর্য্য ধারণ করে প্রতিটি বিষয় গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা এবং তারপর কাজ করা। আপনার এই ধরনের পোস্ট গুলো ভীষণ ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.24
JST 0.038
BTC 97120.80
ETH 3374.08
USDT 1.00
SBD 3.13