ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক ভ্রমন।
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আজকের আয়োজন। আজকে আবারো একটি ভ্রমণ পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। ইদানিং সময় পেলেই বিভিন্ন জায়গায় পরিবার নিয়ে ছুটে যেতে ইচ্ছে করে, আসলে দুনিয়া খুব ক্ষনিকালয়। যাইহোক আমাদের যেখানে থাকি তার ঠিক পাশেই রয়েছে ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক। গত কিছুদিন আগে সেখানে বেড়াতে গিয়েছিলাম, ইতিমধ্যে বেশ কিছু পর্ব উপস্থাপন করেছি। আজকে আরো একটি পর্ব নিয়ে হাজির হলাম।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
আমাদের ইয়ানের সবথেকে পছন্দের রাইড হলো স্লিপার। কিছুটা সময়ের জন্য যখন তাকে ছেড়ে দিলাম, ঠিক তখনই নিজে সাহস করে উচু স্লিপারের সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেছে।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
ইয়ান আমাদের অবাক করে দিয়ে নিজেই স্লিপার বেয়ে নিচে নেমে এসেছে। এরপর আরো কয়েকবার একই কাজ করলো। মনে হলো সে এই জিনিসটা বেশ এনজয় করছে।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্কের সবথেকে বড় ব্যাপার হলো এর বিভিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, যেখানে রয়েছে বড় বড় সব গাছপালা। সত্যিই নয়নাভিরাম দৃশ্য।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
পার্কের ভেতরের সবকিছু টিপটপ এবং সুন্দর। মনে হবে যেন ছবির মতো সাজানো গোছানো। বেশ ভালই লাগছিল সবকিছু।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
বেকেল গড়িয়ে যখন সন্ধ্যা হয়ে আসছিল, তখনকার পরিবেশ আরো মনোরম হয়ে উঠছিল। একটি গাছের উপর মানুষের ভাস্কর্য এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন মনে হচ্ছে সত্যিই কোন একটা মানুষ তালের রস সংগ্রহ করছে। যাইহোক সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে দৃশ্যটা সত্যিই অসাধারণ লাগলো।
যাইহোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন, আগামী পর্বে আরো দারুন কিছু নিয়ে উপস্থিত হবো। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত বিদায় নিলাম।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক ভ্রমন করতে গিয়ে পরিবার নিয়ে সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন। ইয়ান বাবু তো দেখছি খেলা নিয়ে ব্যাস্ত। আসলে ছোটরা বাসা থেকে বের হতে পারলে ভীষণ খুশি হয়। পার্কের পরিবেশ আমার কাছে ভালো লেগেছে। চমৎকার একটি পোস্ট উপহার দিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
পরিবার নিয়ে ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক ভ্রমণ করে দারুণ সময় উপভোগ করেছেন আপনি। আমি অফিসে কাজে গাড়ি দিয়ে যাওয়ার সময় এই পার্কটি দেখতি পাই। কিন্তু কখনো যাওয়া হয়নি। ইয়ান অনেক খুশি হয়েছিল দেখেই বুঝতে পারছি, সবথেকে পছন্দের স্লিপার রাইড পেয়ে। তবে মানুষের ভাস্কর্য দেখে মুগ্ধ হলাম। আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।