মানুষ সহযোগিতা করে না বরং দূর্বলতা খোঁজে।
আজকাল মানুষের মানসিকতার ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একটা সময় মানুষের প্রতি মানুষের আন্তরিকতা এবং মমতা কাজ করতো, তবে এখন সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে স্বার্থপরতা এবং নিষ্ঠুরতা। দিনকে দিন পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, মনে হচ্ছে বিশ্বাস আর আন্তরিকতা হয়তো একসময় জাদুঘরে সংরক্ষিত করতে হবে।
আপনারা এমন ঘটনা শুনেছেন কিনা জানিনা তবে আমি আমার এলাকায় দেখেছি দুই বন্ধু পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে যাওয়ার মুহূর্তে অপর বন্ধু তার জীবনের মায়া ত্যাগ করে তাকে বাঁচাতে গিয়ে দুজনেই ডুবে মারা যায়। আর এখনকার সময়ে কেউ বিপদে পড়লে ছবি তুলে সেটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে নিজের দায়িত্ব শেষ করে এবং বাহবা কুড়ায়।
আপনি হয়তো দেখেছেন কোন বাড়িতে আগুন লাগলে মানুষ পানি নিয়ে ছুটে যেতো আগুন নেভাতে আর এখন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মোবাইল ফটোগ্রাফারদের জন্য আগুন নিভাতে বিপত্তির মুখে পরে যায়। মানুষ সহযোগিতা তো করেই না বরং চুরি করার মতলব আঁটতে থাকে। দেখা যায় আগুনে পুড়ে যতটুকু না ক্ষতি হয়েছে তার থেকে বেশি চুরি হয়ে গেছে।
নতুন একজন মানুষ চাকরিতে ঢুকলে সবাই মিলে তাকে কিভাবে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরানো যায় সেই পায়তারা করতে থাকে। নতুন মানুষ কাজে যোগদানের পর ভুল করতেই পারে কিন্তু সেই ভুলগুলো বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করে উপর মহলে লাগিয়ে দিয়ে কিছু মানুষ আত্মতৃপ্তি অনুভব করে।
সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে এরকম বিকৃত মানসিকতার মানুষগুলো খুব দ্রুত বিস্তার লাভ করছে যার ফলশ্রুতিতে সমাজের ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সত্যিই দুঃখ লাগে যখন দেখি একজন বয়স্ক মানুষকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে অপমান করা হয় কিংবা তার সব সম্পত্তি কেড়ে নিয়ে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেয়া হয়। নূন্যতম মনুষ্যত্ববোধ কিছু মানুষের ভেতর খুঁজেই পাওয়া যায় না, সমাজে অবলীলায় বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তবুও বলি কিছুটা মনুষ্যত্ববোধ হয়তো টিকে আছে যা এখনও সমাজকে বাঁচিয়ে রেখেছে, না হলে অসামাজিক মানুষগুলো হয়তো মাত্রা ছাড়িয়ে যেতো। আমাদের সুস্থ মানসিকতার চর্চা করতে হবে, কথাটা বলতে বাধ্য হলাম কারন চারিদিকে যে অবস্থা শুরু হয়েছে তাতে মানসিক সুস্থতা হয়তো হারিয়ে ফেলবে মানুষ।
.gif)
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনি আজকে সমাজের কিছু বাস্তব চিত্র নিয়ে আমাদের মাঝে আলোচনা করেছেন। আসলে আমাদের বর্তমান সমাজে এরকমটাই হচ্ছে। মানুষ বিপদে পড়লে সাহায্য করে কম মানুষ ছবি তোলে বেশি মানুষ। তবে হ্যাঁ এখনো এই সমাজে কিছু ভালো মানুষ আছে যার কারণে হয়তো বা সমাজটা এখনো টিকে আছে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর টপিক নিয়ে আমাদের মাঝে আলোচনা করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আমার লিখনীটি পড়ার জন্য।
বর্তমান সময়ে সামাজিক অবক্ষয় দেয়া দিয়েছে মারাত্মকভাবে। তাই লিখতে বাধ্য হলাম।
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1723393605216457118?t=HEcV39GITS6sQ5qJHXYMfw&s=19
ভাই আমি নিজেও দেখেছি যে বাড়িতে আগুন লেগেছে একশ্রেণীর মানুষ সেই বাড়ির আগুন নিভাতে ব্যস্ত আর আর এক শ্রেণীর মানুষ সেই আগুন লাগা ফুটেজ গুলো ফোন ক্যামেরায় তুলতে ব্যস্ত।
এটাই তো এখনকার সময়ের সমস্যা, কেউ বিপদে পড়লে সাহায্য তো করেই না বরং মজার ছলে নেয়।
খুব সুন্দর চিত্র তুলে ধরেছেন আপনি।ঠিক বলেছেন আপনি।মানুষের মানুষত্ববোধ মানবিক দিক গুলো নাই বল্লেই চলে।মানুষ আর বিপদে এগিয়ে আসে না এমন একটা ব্যাপার হয়ে গেছে যে মানুষ বিপদে পড়লে তার ছবি,ভিডিও কে কার আগে পোস্ট, আপলোড করবেও ভিউ কুড়াবে।আসলে এ সব সামাজিক অবক্ষয়। ধন্যবাদ
আসলে কেউ বিপদে পড়লে যখন অন্য একজন মানুষ সহযোগিতা না করে ছবি তোলায় ব্যাস্ত, থাকে এই ব্যাপারটা আমি মেনে নিতে পারিনা। তাইতো লিখনীটি লিখলাম।
কথা ঠিক ভাই। এখনো কিছু মানুষ আছে যাদের মনুষ্যত্ববোধ আছে বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। সেজন্য পৃথিবী টা এখনো সুন্দর। কি এমন মানুষের সংখ্যাই বেশি যারা অন্য মানুষগুলোর পেছনে লাগে তাদের দূর্বলতা খোজে বিপদে ফেলার চেষ্টা করে। আপনার পোস্ট টা বেশ শিক্ষনীয় ছিল ভাই। দারুণ লিখেছেন।
ধন্যবাদ তোমাকে ভাই।
আমি চেষ্টা করেছি বাস্তব প্রেক্ষাপট ফুটিয়ে তুলতে।
খুবই শিক্ষনীয় একটা বিষয় আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। বর্তমান সময়ে আমাদের সমাজে এ ধরনের বিষয়গুলো সব থেকে বেশি লক্ষ্য করা যায়। যে কোন মানুষ বিপদে পড়লে আমরা উদ্ধার করার চেষ্টা না করে সেলফি তুলে সেটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে থাকি। আমার সব থেকে বেশি খারাপ লাগে বয়স্ক মানুষদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসার এই বিষয়টি।
আপনার এই মূল্যবান পোষ্ট টি থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। যদিও আমি ছোট মানুষ তাই এখনও জীবনের অনেক কিছু বুঝি না। তবে আপনার এধরনের লেখা গুলো পড়লে অনেক কিছু জানতে পারি। আপনার এধরনের লেখা গুলো আমি ভীষণ পছন্দ করি। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
সত্যি বলেছেন ভাইয়া বর্তমান মানুষের মানসিকতা মনুষত্ববোধ আসলেই নেই। বর্তমান মানুষ শুধু স্বার্থের পিঁছে ছোটে। আসলে ভাইয়া মানুষ বিপদে পড়লে যতটা না সাহায্য করে তার চেয়ে ক্ষতি বেশি করে। আর সব সময় মানুষের দূর্বলতা জায়গায় আঘাত করে। ধন্যবাদ আপনাকে বর্তমান সমাজের চিত্র আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।