আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা- ২২ | আমার জীবনে প্রথম মোবাইল হাতে পাওয়ার অনুভূতি।
এনেছো হৃদয়ের কাছাকাছি,
চোখের পলকে হারাই তোমায়
হাতে পেলেই যেন বাঁচি।
প্রথমেই বলি যখন প্রথমদিন মোবাইলটা হাতে পেয়েছিলাম সত্যিই খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছিল আমার। মাথায় শুধুমাত্র তার ভেতরে কি আছে আর কোন ফাংসনটা কি কাজ করে তা দেখার চেষ্টা করেছিলাম।
শুরুতেই বলি আমরা মধ্যবিত্ত পরিবার আর বাবার চাকরির সুবাদে বাইরে বাবা আর আমরা আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে বেশ দূরে থাকতাম। তাই স্বভাবতই সবার সাথে যোগাযোগ রক্ষার জন্য আমাদের একটি মোবাইল ভীষণ প্রয়োজন ছিল। আরো একটা বিষয় আমার ছোট মামা সৌদি চলে যান ২০০২ সালে। তাই সবদিক বিবেচনা করে ২০০৩ সালে যখন নোকিয়া ১১০০ মডেল যখন বাজারে আসে তখন আমি আর বাবা মোবাইলটি ক্রয় করি তখনকার ৬৫০০ টাকা আর গ্রামীণ আইএসডি সিম কিনেছিলাম ২৫০০ টাকা দিয়ে। বাবার মোবাইল সম্পর্কে কোন ধারণা ছিল না কিন্তু আমার কিছুটা ছিল। আমি তখন ক্লাস নাইনে পড়ি, আর আমার এক বন্ধু ছিল যার একটি বাটন মোবাইল ছিল। তার কাছে কিছু জিনিস শিখেছিলাম মোবাইল সম্পর্কে। তাই মোবাইলটি আমার এক্তিয়ারে চলে আসলো 😊
নকিয়া মোবাইলটি হাতে পাওয়ার পর আমার আনন্দের সীমা নেই। কারন আমি বুঝে গিয়েছিলাম এটা সবসময়ই আমার কাছেই থাকবে। শুধুমাত্র যখন কাউকে ফোন দেয়ার প্রয়োজন হতো তখন বাবা-মাকে দিতাম। ব্যাস শুরু হলো মোবাইল নিয়ে আমার অভিযান। প্রথমেই কোন কোন জায়গায় কি আছে তা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলাম। মজার একটি গেমস পেলাম সাপ খেলা। ভীষণ ভালো লাগলো এটা। যখনই সময় পেতাম তখনই এটা খেলতে বসে যেতাম। এক একটা লেবেল পার করতাম আর ইয়েস ইয়েস বলে চিল্লাচিল্লি করতাম। কি যে একটা আনন্দ ছিল আমার এই গেমসটি নিয়ে বলে বোঝাতে পারবো না। আর সামনে ছোট্ট একটি লাইট ছিল খুব কাজে দিত এটা। আর মা বাবা যখন বলতো বাবা একটা কল দাওতো, আহা কেমন একটা গর্ব বোধ করতাম। 😊 যাক বেশ কয়েকদিন আনন্দে কেটে গেল।
বাবা-মা খেয়াল করলেন মোবাইলের প্রতি আমার বেশ আসক্ত হয়ে পরেছি আর সারাক্ষণ এটাই হাতে থাকতো। আর সামনে ক্লাস নাইনের পরিক্ষা ছিল। আমার কাছ থেকে ফোনটি নিয়ে যাওয়া হলো। শুধুমাত্র কাউকে ফোন করার সময় মা ডাকতেন, আর আমি কষ্ট আর বিরক্ত নিয়ে ফোন কল করতাম। আমি ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলাম। কিন্তু পরে বুঝলাম এটা আমার ভালোর জন্য তারা করেছিলেন।
আমি এসএসসি পরীক্ষায় ভালো করায় বাবা একটা ক্যামেরা ওয়ালা ফোন কিনে দিয়েছিলেন। আমি তখন কি যে খুশি হয়েছিলাম বলে বোঝাতে পারবো না। নিজের ব্যাক্তিগত আর পরম বন্ধু পেয়েছিলাম মনে হলো।
মন যেন হারিয়েছে আনন্দের আবেশে,
তুমি যেন আমার পরম বন্ধু
তোমায় পেয়ে রয়েছি যেন সিন্ধু।
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1564896153673793541?t=HV3gY_npg-L7tx3ZNDs0lQ&s=19
মাশাআল্লাহ ভাইয়া আপনার প্রথম মোবাইল চালানো অনুভূতি পড়লাম বেশ ভালো লেগেছে। আমারো প্রথম নোকিয়া ফোন ছিল। সারাদিন শুধু মোবাইল এ সাপ 🐍 গেম ছিল সেটা খেলতাম বেশি। আপনার মতো আমারো বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল মোবাইল পড়ে এসএসসি পরীক্ষার পর ফিরে পেয়েছি। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আপনিও দেখছি ঠিক আমার মতো সাপ খেলাটি পছন্দ করেন। আমি সত্যিই সুযোগ পেলেই এখনো খেলি। ভালোই লাগে।
আপনার প্রথম মোবাইল পাওয়ার অনুভূতি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনি খুব সুন্দর ভাবে অনুভূতিগুলো লেখার মাধ্যমে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। সুন্দর উপস্থাপনের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
হ্যা চেষ্টা করেছি ভালোভাবে উপস্থাপন করার।
আসলে বাবা মা যা করে ভালোর জন্যই করে। হয়তোবা মোবাইল দিয়ে আপনার কাছে থাকলে আপনার আসক্ত তা আরো বেড়ে যেত এবং পরীক্ষায় আপনি খারাপ রেজাল্ট করতেন। যাইহোক বহু আগের কথা আমার জন্মের সময়। তখন অবশ্য বাটন ফোনে ছিল শুধু আমার আম্মুও নাকি তখন ফোন ইউজ করত।যাইহোক আপনার পুরো অনুভূতি পড়ে ভালই লাগলো।
ধন্যবাদ আপু।
ঐ সময়ে বাটন মোবাইল বেশ জনপ্রিয় ছিল।
মোবাইল এখন একটি জীবনের অঙ্গ। আপনার প্রথম মোবাইল পর অনুভূতি শুনি বেশ ভালই লাগলো। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
দারুন বলেছেন।
মোবাইল এখন সত্যিই জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে।
আপনার প্রথম মোবাইল হাতে পাওয়ার অনুভূতিটা পড়ে বেশ ভালো লাগে। বাটন ফোনে এই সাপ গেমসটাই অনেক জনপ্রিয়। তবে আপনার সাথে ফোনের বিচ্ছেদ টা যদিও ভালোর জন্য তাও খারাপ লাগা টা স্বাভাবিক। মোটামুটি সবার ফোনের সাথে এরকম বিচ্ছেদ হয়। আমারও হয়েছে🤭
এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু।
এই সাপ খেলা শীতকালে কাঁথার নিচে শুয়েও খেলেছি 😀
দারুন একটা জিনিস।
আপনার জীবনে প্রথম মোবাইল হাতে পাওয়ার অনুভূতি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। সত্যিই নতুন কিছু পেলে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার গল্প পড়ে আমার নতুন ফোন হাতে পাওয়ার গল্প মনে পড়ে গেলো। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার উপরের লাইন গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।
নতুন জিনিস হাতে পেলে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগে আর মোবাইল হলে তো কথাই নেই। অনুভূতিগুলো সত্যিই দারুন।
ভাই আপনার প্রথম মোবাইল পাওয়ার অনুভূতি পড়ে খুব ভালো লাগলো। বিশেষ করে বাটন সেটের সাপ খেলার বিষয়টি শুনে খুবই ভালো লাগলো। কারণ আমিও এরকম সাপ খেলা অনেক খেলতাম আর বিশেষ করে কেউ দেখবে করে কাঁথা মুড়িয়ে দিয়ে খেলতাম। আপনি খুব সুন্দর ভাবে অনুভূতিগুলো লেখার মাধ্যমে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। সুন্দর উপস্থাপনের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রতিযোগিতার জন্য শুভকামনা অবিরাম।
ধন্যবাদ ভাই।
এই সাপ খেলাটা আমি দীর্ঘদিন খেলেছি, যা ভীষণ ভালো লাগতো।
আমার পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভীষণ খুশি হলাম।
দোয়া রইল ভাই।
আপনার গল্পের সাথে আমারও কিছুটা মিল আছে দেখি😁।যাইহোক সুন্দর ছিলো ভাই আপনার উপস্থাপনা।আর আমিও আপনার মতই এসএসসি পরীক্ষার পর অফিসিয়ালি ফোন হাতে পেয়েছিলাম।
যাক আমার গল্পের সাথে আপনার বেশ মিল রয়েছে। আমিও এসএসসির পর মোবাইল হাতে পেয়েছিলাম।