শিক্ষনীয় পোষ্ট:- হঠাৎ হ্যাকারের খপ্পরে পরা ✨(পর্ব -০২) || কিভাবে হ্যাকার থেকে ফোনটি বাঁচালাম?
শিক্ষনীয় পোষ্ট:- হঠাৎ হ্যাকারের খপ্পরে পরা ✨
(পর্ব -০২)
(পর্ব -০২)
হ্যালো বন্ধুরা 💝 আশাকরি ভালো আছেন। আবারও চলে এলাম আমার আরো একটি লিখা নিয়ে। গত পর্বে আমি আপনাদের হ্যাকিং সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছিলাম এবং জানিয়েছিলাম আমার বোনের ফোনটি হ্যাক হয়েছিল। আপনারা চাইলে আমার প্রথম পর্বটি দেখে আসতে পারেন। যারা আমার গত পর্ব পড়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই , আসলে এরকম পরিস্থিতি যে কেউ পরতে পারে, তাই হয়তো আমার তথ্যগুলো আজ কাজে না লাগলেও কোন একদিন এই তথ্যগুলো হয়ত আপনার কাছে মূল্যবান হবে। যাক আজকের পর্বে আমি জানাবো কিভাবে আমি ফোনটা হ্যাকার থেকে বাঁচালাম এবং হ্যাকিং নিয়ে আরো কিছু তথ্য আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো। তো চলুন শুরু করি।
যখন ফোনটি হ্যাক হয়েছে ঠিক তার পরপরই একটি বার্তা পাঠায় হ্যাকার। বার্তাটি হলো - "আমি বহুদিন থেকে আপনার ফোনটি হ্যাক করার চেষ্টা করছিলাম, আজ সফল হলাম।" সত্যি বলতে আমরা অবাক হলাম এবং কিছুটা ভয়ও পেলাম। কিভাবে কি করবো 😞 তবে আমার এক বন্ধু সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সে একবার আমায় বলেছিল ফোন হ্যাক হলে কি করতে হবে। আমি তার কথাগুলো মনে করে কাজে নেমে পড়লাম। কিন্তু ভয়ের ব্যাপার হলো মোবাইলের স্ক্রিন কাঁপছিল এবং বারবার ফোনের আলো বন্ধ করে দিচ্ছিল এবং কোন এপস এ ক্লিক করলে সেখান থেকে বের করে দিয়ে হোম পেজে পাঠিয়ে দিচ্ছিল। প্রথমেই যেটা করার চেষ্টা করলাম তা হলো তা ফোনে কোন হ্যাকিং এপস রয়েছে কিনা সেটা বের করার চেষ্টা করলাম। কিন্তু সে আমাকে কোন ভাবেই এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ওপেন করতে দিচ্ছিলো না। আমি বেশ ঘাবড়ে গেলাম। তবে আমি এবার সিদ্ধান্ত নিলাম যেভাবেই হোক ফোনটি রিসেট করতে হবে। কিন্তু আমি সেটিং অপশনের ঐ পর্যন্তই পৌঁছাতে দিচ্ছিলো না, সে স্ক্রিনের আলো বারবার বন্ধ করে দিচ্ছিলো। এখন চেষ্টা করলাম ফোনটি বন্ধ করার কিন্তু সে তাও করতে দিচ্ছেনা। হঠাৎ মাথায় বিকল্প বুদ্ধি এলো ব্যাটারিটা খুলে মোবাইলের পাওয়ার বিচ্ছিন্ন করলাম। মাথায় পরিকল্পনা এলো বেশ কিছুক্ষণ ফোন বন্ধ করে তাকে বিভ্রান্ত করবো এবং হঠাৎ ফোনটি অন করে রিসেট করে নেবো। কারন রিসেট হলো সবথেকে বড় ঔষধ এই রোগের। যেই কথা সেই কাজ। বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ রাখার পর হঠাৎ ফোনটি চালু করে দ্রুত কয়েক সেকেন্ড এর মধ্যে ফোনটি রিসেট করে ফেললাম এবং পুনরায় সেটি কনফিগার করে নিলাম। ভাগ্য ভালো তার সমস্ত দরকারি তথ্য গুগল ড্রাইভে সংরক্ষণ করা ছিল। মোটামুটি এক ঘন্টার মানসিক যুদ্ধের পর তার ফোনটি হ্যাকারের থেকে ছাড়িয়েছি।
হ্যাকার থেকে ফোন ছাড়ানোর কিছু টিপস :-
হ্যাকিং ছাড়ানোর সবথেকে কার্যকরী উপায় হলো ফোনটির ফেক্টোরি ডাটা রিসেট করতে হবে। তবে অবশ্যই তার আগে আপনাকে আপনার তথ্যগুলো সঠিক জায়গায় সংরক্ষিত করতে হবে। না হলে আপনার সমস্ত তথ্য হারিয়ে যাবে।
হ্যাকার সবসময়ই কোন একটি এপস ফোনে ইন্সটল করে এবং এর মাধ্যমে তথ্য চুরি করে তাই ঐ এপস খুঁজে বের করতে হবে। মোবাইলে থাকা এন্টিভাইরাস দিয়ে প্রথমে স্ক্যান করে তা খুঁজে বের করে আনইন্সটল করতে হবে।
যদি আপনাকে হ্যাকার কোন কিছু করতেই না দেয় তাহলে মোবাইলের পাওয়ার যেকোনো ভাবে বন্ধ করার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে ব্যাটারি 🔋 খুলে ফেলুন। কিছু সময় বন্ধ রেখে হঠাৎ চালু করে দ্রুত ফোনটি রিসেট করে ফেলুন। ব্যাস আপনি একদমই নিরাপদ এখন।
ভাইয়া, এটি খুবই ভয়ানক ব্যাপার।আমার ফোনে প্রতিদিন অনেক লিংক আসে এবং কয়েকবার তো এইরকম মেসেজও এসেছে যে আমি কয়েক লক্ষ টাকা লটারি জিতেছি তার জন্য একটি লিঙ্ক দিয়ে তাতে ক্লিক করতে বলে।কিন্তু আমি সবসময় এইসব ম্যাসেজ এড়িয়ে চলি এবং সাথে সাথে ওই নাম্বারগুলি ব্লকলিস্টে ফেলে দিই।অনেকেই ধোকা খেয়েছে এভাবে তাই সাবধান হওয়া উচিত আমাদের সকলের।ধন্যবাদ ভাইয়া, সুন্দর বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ দিদি চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য 🥀
আসলেই বর্তমান যুগে হ্যাকারের উৎপাত বেড়ে গেছে। এই যুগে কেউ কারো নিরাপত্তা দিতে পারে না, নিজের নিরাপত্তা নিজেই করতে হয়। এজন্য আমরা কোন লিংকে প্রবেশ করার আগে বারবার ভেবে দেখবো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্যের জন্য 🥀
স্যার আপনি কিভাবে হ্যাকার থেকে ফোনটি বাঁচালাম তা সুন্দর করে উল্লেখ করেছেন। আমি আপনার এই পোস্ট এর অপেক্ষায় ছিলাম। আজকেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারলাম। আশাকরি পরের পর্বে সব কিছু আরও ভালো ভাবে বুঝতে পারবো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে স্যার আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
ধন্যবাদ লিমন সুন্দর মন্তব্যের জন্য 🥀
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অসাধারণ একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করছেন।পড়ে অনেক ভালো লাগলো,তার সাথে মোবাইলে ফোন হ্যাক হলো কী করতে হবে ,সে বিষয় জানতে পারলাম।অনেক গুরুপ্তপূর্ণ পোস্ট ।অনেক শুভ কামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্যের জন্য ♥️
খুবই ভালো হলো আপনার এই পোস্টটি পড়ার সুযোগ পেয়ে, কারণ এরকম ঘটনা হলে সবাই প্যানিক করে প্রথমে তাই ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে পারে অনেকেই অথচ খুব সহজভাবেই থেকে বেরিয়ে আসা যায়।
আপনার কাছে আমার প্রশ্ন থাকবে, বর্তমানে আমাদের ফোনগুলো ব্যাটারি রিমুভ করা যায় না। সে ক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কি হতে পারে?
সেক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হচ্ছে যতদ্রুত সম্ভব ফোনটির সুইচ অফ করার চেষ্টা করতে হবে।
আসলেই বেশ উপকারী মূলক পোস্ট ছিল কিভাবে হ্যাকিং থেকে ফোনটা নিরাপদে রাখবো। সত্যি বলতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।যারা জানে না তারা এই বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবে আপনার পোস্টটি পড়লে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভাইয়া। খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট ছিল।
অনেক ধন্যবাদ তোমায় চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য 🥀
ফোন হ্যাকিং প্রতিনিয়ত হচ্ছে আমাদের অগচরে। তবে উহা যদি অনলাইন এ না থাকে তবে হ্যাকার কিভাবে ফোন টিকে ব্যবহার করবে তা আমার বোধগম্য হয় না। যতই এপস্ ইন্সটল করুক না কেন অনলাইন এ না থাকলে সে আমার ফোন কখনই ব্যবহার করতে পারবে না। তাই প্রথমেই ডাটা বন্ধ করতে হবে। আর ফোনের ডাটা বন্ধ হয়ে গেলে সে রিমোটলি আর ফোট টিকে ব্যবহার করতে পারবে না। আর যে বার্তা আপনি পেয়েছেন ওগুলো হচ্ছে ভাইরাস জনিত সমস্যা । মূলত হাবিজাবি কিছুতে ক্লিক পড়লে এমন ধরনের ভাইরাস ফোনে ঢুকে পড়ে। কোন এপস্ কোন ফোনে ইন্সটল রিমোটলি কিভাবে করা যায় কিনা আমি জানি না তবে ভাইরাস থেকে বাচার জন্য হ্যান্ডফ্লাস করাটাই শ্রেয়। সেটা করতে ডাটা গুলো অবশ্যই ডিলিট করে দিতে হবে । নতুবা ঐ ডাটা আবার ফোনে ঢুকালে যা তাই হবে। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
খুব ভালো লাগলো ভাই আপনার পোস্টটি পড়ে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এরকম সতর্কতামূলক একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আসলে নিজের অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে আপনি আমাদের মাঝে পোস্ট টি শেয়ার করেছেন এতে আমাদের অনেক উপকার হবে। আপনি খুব সুন্দর করে সবকিছু র্বণনা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। যা দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এরকম একটি সতর্কতামূলক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1505056162210799616?t=LL-jXaLgmr_VH5XVw4kKHw&s=19