লোভনীয় রেসিপি:) চিকেন চাপ। || Delicious food recipe 😋
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। আসলে মানুষের খাবারের রুচি হঠাৎ হঠাৎ বদলাতে থাকে, আর না বদলিয়ে উপায় কি বলুন। একরকম খাবার প্রতিদিন খেলে কেমন একটা অরুচি এসে যায়। গতকাল গিন্নিকে বললাম আজ একটু স্পাইসি কিছু তৈরি করতে। সে বললো কি খেতে চাও? বললাম চিকেন দিয়ে কিছু একটা তৈরি করতে হবে, তবে ঝাল কমিয়ে কারন ঝাল বেশি হলে বাচ্চাদের খেতে অসুবিধা হয়। আসলে চাইলেই হোটেলে গিয়ে খাওয়া যায় কিন্তু ওগুলো বেশ ঝাল দেয়ার কারনে আমার বাচ্চারা খেতেই পারে না। যাইহোক অবশেষে গিন্নি রাজি হয়ে গেছে আর লেগে পরলো কাজে। আমি তো শুধুমাত্র এটা ওটা এগিয়ে দিলাম আর ছবি তুললাম 😄 তবে আরো একটা ব্যাপার হলো কিছুক্ষণ পর পর দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলাম ওকে খেপানোর জন্য। যাইহোক বেশ কিছুটা সময় নিয়ে আমরা রেসিপি পোষ্ট তৈরি করলাম আপনাদের জন্য, আমি জানি এটা হয়তো বাসায় এভাবে তৈরি করে খেতে অনেকেই পছন্দ করবেন। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক আমার আজকের লোভনীয় রেসিপি।
মুরগির মাংস | ৫০০গ্রাম | তন্দুরি মসলা | দুই চামচ |
---|---|---|---|
কাঁচামরিচ | স্বাদমতো | পেঁয়াজ কুচি | এক কাপ |
হলুদ গুঁড়া | এক চামচ | মরিচ গুঁড়া | এক চামচ |
জিরা গুঁড়া | এক চামচ | রসুন বাটা | এক চামচ |
লবণ | স্বাদমতো | সোয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
টক দই | আধ কাপ | সয়া সস | দুই চামচ |
প্রথমেই মাংসটা একেবারে যতদূর সম্ভব ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নেয়া হয়েছে। এটা আপনি বটি কিংবা ছুরি দিয়ে করতে পারেন।
এরপর প্রয়োজনীয় মসলা এবং তন্দুরি মসলা ঢেলে দেয়া হয়েছে। এখানে আপনার পরিমাণের উপর নজর রাখতে হবে কারন এটার উপর স্বাদ নির্ভর করে।
এই ধাপে টক দই দিয়ে মরিচ গুঁড়া এবং হলুদ গুঁড়া দিয়ে দিলাম।
এবার মাংসের সাথে সমস্ত উপকরণ মাখিয়ে, একঘন্টার জন্য এটাকে ফ্রিজে বিশ্রামে পাঠিয়ে দেবো।
এবার একটি কড়াই চুলায় চাপিয়ে দিয়ে তাতে পরিমাণ মতো সোয়াবিন তেল ঢেলে দিলাম। এরপর পেঁয়াজ কুচি এবং অন্যান্য উপকরণ দিয়ে ভালোভাবে ভেজে নিলাম।
এবার মেরিনেট করা মাংস দিয়ে ভালোভাবে তাতে সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে কিছুটা সিদ্ধ মতোন করে নিয়ে বিশ মিনিট সময় নিয়ে ভেজে নিলাম পুরো মিশ্রনটি। বাহ্ দারুন এটা খাওয়ার উপযোগী হয়ে গেছে। সত্যি বলতে এটাই সেই চিকেন চাপ।
ঘরে তৈরি সুস্বাদু, নিরাপদ এবং রুচিদায়ক খাবার।
🍱 পরিবেশন করলাম 🍱
জাস্ট অসাধারণ লেগেছে খেতে। 😋
সবথেকে বড় বিষয় আমরা চিকেন চাপ তৈরি করার পর নান রুটি তৈরি করেছিলাম। সব মিলিয়ে পরিবারের সবাই বেশ তৃপ্তি সহকারে খাবারটি খেলাম। যাইহোক আমি জানি এভাবে অনেকেই এটা তৈরি করে খেতে পছন্দ করেন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিদায় নিলাম।
ছবি যন্ত্র | রিয়েলমি সি-২৫ |
---|---|
ছবির কারিগর | @emranhasan |
ছবির অবস্থান | ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ। |
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
আমার অনেক পছন্দের একটি খাবারের রেসিপি আজকে আপনি শেয়ার করেছেন। চিকেন চাপ খেতে আমি খুব পছন্দ করি। আজকে আপনার তৈরি করা চিকেন চাপ দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। দেখেই তো জিভে জল চলে এসেছে। যাই হোক এত সুন্দর এবং মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
এই খাবারটি আপনার পছন্দের জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। একদিন এটা তৈরি করে খেতে পারেন।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করার জন্য।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে চিকেন চাপের লোভনীয় রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলো ভাই। দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
এটা খেতে সত্যিই লোভনীয় স্বাদের ছিল।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করার জন্য।
আজকে আপনি চমৎকার একটি লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করেছেন। রেসিপিটি দেখে জিবে জল চলে এসেছে। আপনি ঠিক বলছেন ভাই ঘরে তৈরি খাবার গুলো তৃপ্তি সহকারে খাওয়া যায়। বাহিরের চিকেন চাপ গুলো অস্বাস্থ্যকর ও অতিরিক্ত জাল থাকে। তৈরির ধাপ সমূহ সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আপনি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই লোভনীয় রেসিপি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
সত্যিই লোভনীয় রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার অসাধারণ এই রেসিপি তৈরি করতে দেখে। বেশি দারুন হয়েছে আপনার আজকের এই চিকেন ফ্রাই তৈরি করা। সুন্দর এই রেসিপি দেখে সত্যি খুবই ভালো লাগলো আমার।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া সব সময় একই রকম খাবার খেতে কার ভালো লাগে। এজন্যই তো মানুষের মাঝেমধ্যে খাবারের পরিবর্তন আনতে হয়। আর ইদানিং এরকম খাবার গুলো এত বেশি পাওয়া যায় এবং সবাই খায় যে ভালই লাগে। যাই হোক আপনার চিকেন চাপের রেসিপিটি ভিন্নরকম লেগেছে আমার কাছে। কিন্তু খেতে যে মজাদার হয়েছিল দেখেই বোঝা যাচ্ছে। একদিন রান্না করতে হবে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
আসলে মাঝে মাঝে খাবারে বৈচিত্র্য আনলে সেটা খেতে ভালো লাগে।
চিকেন চাপ রেস্টুরেন্টে অনেক খাওয়া হয়েছে। তবে বাসায় তৈরি করে কখনো খাইনি। আপনার মাধ্যমে রেসিপি শিখে নিলাম। একদমই ঠিক বলেছেন রেস্টুরেন্টের চিকেন চাপ অনেক ঝাল হয়। ছোটরা খেলে পেটে সমস্যা হতে পারে। বাসায় তৈরি করেছেন খুব ভালো হয়েছে। আপনার লোভনীয় রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে সবাই মিলে জমিয়ে খেয়েছেন। আপনার পরিবারের জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ লিমন।
খাবারটা একদিন বাসায় তৈরি করবে, জাষ্ট অসাধারণ লেগেছে খেতে।
চিকেন এর রেসিপি গুলো সব সময় অনেক লোভনীয় হয় আপনি মজাদার লোভনীয় চিকেন চাপ রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আর এই রেসিপিটি কিভাবে পর্যায়ক্রমে প্রস্তুত করেছেন তা তুলে ধরেছেন শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন ভাই চিকেনের রেসিপি সবসময়ই দারুন লাগে। তাইতো চেষ্টা করলাম এটা তৈরি করে খাওয়ার।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
চিকেন চাপ আমার অনেক পছন্দের। আপনারা আবার নান রুটিও তৈরি করেছেন এটার পাশাপাশি, যার কারণে বুঝতে পারছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল খেতে। ঘরে এরকম ভাবে মজার মজার খাবার তৈরি করলে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আমি তো বেশ কয়েকবার চিকেন চাপ তৈরি করেছি নিজের হাতে। ভাবীর হাতে তো তৈরি করে নিলেন, তার পাশাপাশি আবার ভাবিকে খেপানোর জন্য বিভিন্ন কথাও বলছিলেন। তবে যাই হোক মজা করে খেয়েছেন জেনে ভালোই লাগলো।
ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
আসলে রেসিপি পোস্টগুলো তার সহযোগীতা ছাড়া করা সম্ভব না, তাই ওকে একটু ক্রেডিট দেয়ার চেষ্টা করি।।
এ সময় এটা কি যে দেখালেন। দেখেই তো জিভে জল চলে এসেছে আমার। মজার মজার রেসিপি গুলো দেখলে কে পারে লোভ সামলাতে। বিশেষ করে আমি তো একেবারেই পারি না। আর যদি নিজের পছন্দের রেসিপিটা হয় তাহলে তো আরো লোভ লাগে। রেসিপিটা দেখেই তো বুঝতে পারছি কতটা মজাদার হয়েছে। একা একা এতো মজাদার একটা খাবার খেয়ে নিলেন। মাঝেমধ্যে তো আমাদেরকেও দাওয়াত দিতে পারেন। আমার কিন্তু দারুণ ভালো লেগেছে আপনার আজকের রেসিপি পোস্ট।