সুস্বাদু রেসিপি: চিংড়ি মাছ দিয়ে ঝিঙে রান্না। || Delicious Recipe.
চিংড়ি মাছ দিয়ে ঝিঙে রান্না |
---|
শুভ দুপুর আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি। নিশ্চয়ই সবাই ঈদের পরে বেশ ঘুরাঘুরি নিয়ে ব্যস্ত, আমিও আজকে পরিবার নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আসলে এবারের ঈদে বাড়িতে যাওয়ার তেমন ইচ্ছে ছিল না কিন্তু একটি বিশেষ প্রয়োজনে হুট করেই যেতে হচ্ছে বাড়িতে। আর সেই কারণেই এখন যাত্রা পথে বসেই কষ্ট করে আপনাদের জন্য এই পোস্টটি করছি। আজকে আমার পূর্বে করে রাখা একটি রেসিপি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
ঝিঙে আমার খুব প্রিয় সবজি গুলোর মধ্যে একটি। আর চিংড়ি দিয়ে ঝিঙে রান্না করলে অত্যন্ত সুস্বাদু হয় খেতে। এই সবজিটির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা মোটামুটি সবাই জানি। তো চলুন শুরু করি আমার আজকের রেসিপি।
ঝিঙে | ৫০০গ্রাম | চিংড়ি মাছ | ১০০ গ্রাম |
---|---|---|---|
দেশী আলু | ২০০ গ্রাম | পেঁয়াজ কুচি | এক কাপ |
হলুদ গুঁড়া | এক চামচ | মরিচ গুঁড়া | এক চামচ |
জিরা গুঁড়া | এক চামচ | রসুন বাটা | এক চামচ |
লবণ | স্বাদমতো | সোয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
আদা বাটা | এক চামচ | কাঁচামরিচ | স্বাদমতো |
প্রথমেই চিংড়ি মাছগুলোর মাথার অংশ ফেলে দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিলাম। এরপর একটি বাটিতে উঠিয়ে নিলাম।
এবার ঝিঙ্গে এবং আলু কেটে ধুয়ে নিলাম এবং ঝুড়িতে উঠিয়ে রাখলাম।
এই ধাপে চিংড়ি মাছগুলোর মধ্যে সামান্য হলুদ গুঁড়া মরিচ গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে মাখিয়ে নিলাম।
এরপর একটি পাতিলে পরিমাণমতো সোয়াবিন তেল দিয়ে চিংড়ি মাছগুলো ভেজে নিলাম।
এই ধাপে পাতিলে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিলাম। তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচিগুলো দিয়ে ভেজে নিলাম।
এই ধাপে একে একে হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, রসুন বাটা, আদা বাটা এবং লবণ দিয়ে একসাথে সমস্ত মসলা কষিয়ে নিলাম। এরপর সামান্য পানি দিয়ে দিলাম।
এবার কসানো মসলার মধ্যে আলু এবং ঝিঙের টুকরোগুলো দিয়ে দিলাম। এরপর সবজিগুলোকে পাঁচ মিনিট মসলার সাথে কষিয়ে নিলাম।
এই ধাপে আগে থেকে ভেজে রাখা চিংড়ি মাছগুলো সবজির মধ্যে দিয়ে দিলাম। এরপর পরিমাণ মতো ঝোল দিয়ে দিলাম।
এবার ১৫ মিনিট সময় নিয়ে সময় নিয়ে রান্না করলাম। ঝোল কিছুটা শুকিয়ে এলে আমাদের সুস্বাদু তরকারি রান্না হয়ে গেছে। এবার পরিবেশনের পালা।
🍱 পরিবেশন করলাম 🍱
সত্যি বলতে এ ধরনের খাবার ভীষণ সুস্বাদু এবং রুচিবর্ধক। ঝিঙের তরকারি আমি সবসময়ই খেতে ভীষণ পছন্দ করি। আপনারাও চাইলে এভাবে ঝিঙে দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না করতে পারেন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত বিদায় নিলাম।
বিষয়বস্তু | চিংড়ি মাছ দিয়ে ঝিঙে রান্না |
---|---|
ছবি যন্ত্র | রিয়েলমি সি-২৫ |
ছবির কারিগর | @emranhasan |
ছবির অবস্থান | উত্তরখান, ঢাকা, বাংলাদেশ |
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
চিংড়ি মাছ দিয়ে ঝিঙে রান্নার দারুন একটা রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এই রেসিপিটা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। চিংড়ি মাছ দেবার ফলে রেসিপিটা যেন আরো বেশি সুস্বাদু হয়ে যায়।
অনেক ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্যের অনুপ্রাণিত করার জন্য।
জি চিংড়ি মাছ দেয়াতে তরকারি দারুন স্বাদের হয়ে ওঠে।
চিংড়ি আমার অনেক পছন্দের একটি মাছ আর চিংড়ি মাছের রেসিপি মানে আমার কাছে অসাধারণ লাগে। আর সেই চিংড়ি মাছের রেসিপির কালার দেখে মনে হচ্ছে এখনই খেয়ে ফেলি।
অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করার জন্য। চিংড়ি মাছ আমার বরাবরই ভীষণ ভালো লাগে।
ভাইয়া আপনি তো বেশ লোভনীয় স্বাদের রেসিপি শেয়ার করেছেন ৷ আপনার রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো আমার ৷ আসলে ঝিঙে আমারও অনেক পছন্দের একটি সবজী ৷ চিংড়ি মাছ দিয়ে ঝিঙে দরুণ ভাবে রান্না করেছেন ৷ দেখতে অনেক সুন্দর এবং লোভনীয় হয়েছে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ৷
অনেক ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
ঝিঙে আমার সবথেকে পছন্দের সবজির মধ্যে একটি।
সত্যি ভাইয়া অনেক অনেক দারুন দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন এই রেসিপিতে যা আমাকে খুবই মুগ্ধ করেছে। তবে এই ঝিঙ্গেটা রান্না হলে কেমন যেন আমার কাছে মিষ্টি মিষ্টি মনে হয় তাই খুব একটা খেতে ভালো লাগে না। কিন্তু আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে এতটা সুস্বাদু হয়েছে এতটা সুস্বাদু হয়েছে এখনই নিয়ে চেটেপুটে খেয়ে ফেলি। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত চমৎকার ফটোগ্রাফি নিয়ে এত সুস্বাদু একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সত্যি বলতে ঝিঙে কিছুটা মিষ্টি লাগলেও বেশ ভালো লাগে আমার কাছে খেতে। 😊
আপু একদিন এভাবে খেয়ে দেখবেন আশাকরি বেশ ভালো লাগবে।
পরিবার নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। প্রয়োজনে হুটহাট করেই বাড়িতে যেতে হয়। যাই হোক চিংড়ি মাছ দিয়ে যেকোন রেসিপি তৈরি করলে খেতে ভালো লাগে। চিংড়ি মাছ দিয়ে ঝিঙে রান্না করলে খেতে খুবই মজার হয়। আপনার রেসিপি দারুণ হয়েছে ভাইয়া। দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সত্যিই হুট করে বাড়ি চলে এলাম।
যাক আমার রেসিপি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভীষণ খুশি হলাম।
যে কাজে হোক না কেন শহর থেকে গ্রামে গেলে অনেক ভালো লাগে কারণ গ্রামের পরিবেশে বড় হয়েছি তাই মনে হয়। আপনার চিংড়ি মাছ দিয়ে ঝিঙ্গে রান্না করেছেন এত সুন্দর হয়েছে সত্যি বলার মত না। আপনার কালার কম্বিনেশন এবং ডেকোরেশনটা অসাধারণ ছিল। অনেক মজাদার একটি রেসিপিটি শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ।
সত্যিই গ্রামীণ পরিবেশ দারুন লাগে।
ধন্যবাদ আপু আমার রেসিপি পছন্দ করার জন্য।
আমি নিজেও মাঝেমধ্যে ট্রেনে, বাসে জার্নি করতে করতে পোস্ট লিখে ফেলি। সময়টাও খুব সুন্দর কাটে এবং কাজটাও হয়ে যায়।
যাই হোক আপনার রেসিপিটা খুবই কমন একটা রেসিপি। আমরা কম বেশি সকলেই বানিয়ে খাই, তবে আপনার উপস্থাপনা এবং ডেকোরেশন খুব সুন্দর ছিল এজন্য দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে রেসিপিটা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটা রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করার জন্য।
আমি আবার নিরিবিলি পরিবেশ ছাড়া পোস্ট করতে পারিনা। আজ বাধ্য হয়ে বাসে বসে পোস্ট করলাম। আসলে রেসিপি উপস্থাপনার উপর সবকিছু নির্ভর করে। চেষ্টা করেছি সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে।
ভাইয়া রেসিপিটি বেশ লোভনীয় লাগছে। চিংড়ি মাছ দিয়ে ঝিঙ্গে খুব মজার হয় খেতে। আমার ভীষণ পছন্দ এমন সবজি।আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। মজার এই রেসিপিটি ধাপে ধাপে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
আমার ঝিঙের তরকারি বেশ ভালো লাগে খেতে।
আপনি খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু একটা রেসিপি তৈরি করেছেন যা দেখে বোঝা যাচ্ছে বেশ মজা করে খাওয়া হয়েছে রেসিপিটা। চিংড়ি মাছ দিয়ে ঝিঙে রান্না করলে তা একটু বেশি সুস্বাদু হয়। রেসিপির কালার কম্বিনেশন দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছে। পরিবেশনটা খুবই সুন্দরভাবে করেছেন ইচ্ছে করছে মোবাইল থেকে বের করে খেয়ে নিতে। যাইহোক ভালোই ছিল আপনার আজকের রেসিপিটা।
সত্যিই আপু তরকারিটা খেতে অসাধারণ ছিল।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করার জন্য।