"আমার জীবনের প্রথম প্রেমের অনুভূতি" || আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা - ২০।
❤️ আমার জীবনের প্রথম প্রেমের অনুভূতি ❤️
প্রিয় #amarbanglablog বাসী 🤗 সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি। ভালোলাগার অপর নাম আমার বাংলা ব্লগ কারন প্রতিনিয়ত যে কাজ গুলো করছি তা হৃদয় দিয়ে আর চমৎকার সব অনুভূতি দিয়ে করার চেষ্টা করছি। আজকের যে বিষয়টি নিয়ে লিখবো তা আমার জীবনের প্রথম প্রেমের অনুভূতি। প্রেম ভালোবাসা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত একটি অনুভূতি যা সবার ভেতরে রয়েছে, কেউ প্রকাশ করতে পারে আবার কেউ পারেনা। আসলে ভালোবাসা হলো এমন একটি জিনিস যা দেখা বা ছোঁয়া যায়না, শুধুমাত্র হৃদয় দিয়ে গভীর হৃদস্পন্দনের সাথে অনুভব করা যায়। আর কিছু ভালোবাসা বেশ গোপন রয়ে যায়। আমার কাছে মনে হয় ভালোবাসাটা যত গোপন থাকে ততই এটা খাঁটি হয়ে থাকে। যাক এখন বিষয়টি হলো আমার জীবনের সাথে ভালোবাসার অনুভূতি কতটুকু জড়িয়ে আছে এটাই আজকের মূল আলোচ্য বিষয়। একদমই মন থেকে বলি আমার জীবনে দুটি ভালোবাসার অনুভূতি ছড়িয়ে আছে এক প্রথম ভালোবাসা আমার সূপর্না আর দ্বিতীয় ভালোবাসা জীবনের প্রয়োজনে আমার স্ত্রী। তবে আমার স্ত্রী সূপর্নার বিষয়টি জানে কারন আমি তাকে বিয়ের আগে বলেছি। তাকে এভাবে বলেছি তুমি আমার স্ত্রী তবে আমার হৃদয়ের একটি কোনে সূপর্নার জায়গা আছে আর থাকবে তা কখনো কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করবে না। তাহলে বুঝতেই পারছেন তার প্রতি কতটা তীব্র ভালোবাসা রয়েছে হৃদয়ের মনিকোঠায়। আর বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি আমার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার প্রতি আমার ভালবাসার অনুভূতি এক চুল পরিমান কমবে না।
" প্রথম প্রেমের অনুভূতি "
আমি ছোটবেলা থেকেই বেশ দুষ্টু প্রকৃতির ছিলাম আর সারাদিন খেলা ধুলায় মেতে থাকতাম। পড়াশুনা আর খেলাধুলা এই দুটোই ছিল মূল পেশা। তবে মাকে ভয় পেতাম ভীষণ কারন অতিরিক্ত দুষ্টুমির কারনে নিমের চিকন বেতের মার খেতাম প্রচুর। আমি বলবো এই শাসনের কারনে আজ আমি মানুষ হয়েছি কারন মায়ের প্রতিটা মারের মধ্যে এক অদ্ভুত ঔষধ থাকতো যার ফলে দ্বিতীয়বার ঐ কাজ করতে গেলে অন্তত দশবার ভাবতাম। যাক এভাবেই এসএসসি পর্যন্ত পার করলাম তবে স্কুল জীবনে তেমন প্রেম পিরিতি বুঝতে পারলাম না কারন খেলাধুলা আর পড়াশোনা নিয়ে ব্যাস্ত থাকতাম। যেইনা এসএসসি পরীক্ষা দিলাম কেমন যেন সিনিয়র একটা ভাব চলে আসলো মনে হলো আমি এখন বড় হয়েছি।
চিন্তা করলাম নিজেকে স্মার্ট হিসেবে তৈরি হতে হবে। প্রথমেই বলি আমরা বাবার চাকরির সুবাদে দিনাজপুরে একটি আবাসিক এলাকায় থাকতাম আর পুরো এলাকা ছবির মতো সুন্দর ছিল। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম এই ছুটির সময়গুলো বিভিন্ন কাজের মধ্যে ব্যায় করবো যা আমাকে স্মার্ট এবং জ্ঞানী করে তুলবে। বাবা-মাকে জানালাম আমি কম্পিউটার, মার্শাল আর্ট এবং ছবি আঁকা শিখতে চাই। তারা মোটামুটি আকাশ থেকে পড়লেন বললেন আর খেলাধুলার কি হবে ? বললাম সাময়িক স্থগিত আর নিজেকে বদলাতে চাই। তারা অনুমতি দিলেন তবে মার্শাল আর্ট হবেনা। মেজাজ খারাপ করে একবেলা ভাত খেলাম না। যাক পরদিন অনুমতি পাওয়া গেছে। শুরু করলাম নিজেকে পরিবর্তন তিন দিক থেকে সকালে কম্পিউটার শেখা, বিকেলে মার্শাল আর্ট আর সন্ধার পর অংকন শিখতাম এক ভাইয়ের কাছে। এক মাস পর আমার নিজের মধ্যে আমি কেমন যেন একটা পরিবর্তন খেয়াল করলাম প্রথমত আমার শারীরিক এরপর মানসিক। আমি মনে করি আজকের আমি সেই তিন মাসেই তৈরি হয়েছিলাম অনেকটাই। বিশেষ করে এলাকার মেয়েরাও কেমন যেন আড়চোখে চাইতো, হয়তো কিছু বলতে চাইতো। তবে শোনার সময় নেই কারণ আমি নিজেকে পরিবর্তন করার লড়াইয়ে নেমেছি। ইতিমধ্যে বাবার বন্ধুর মেয়ে একটি প্রেমপত্র পাঠালো কিন্তু তেমন মনে ধরলো না।
যাক এভাবেই মোটামুটি বেশ কয়েক মাস কেটে গেল। আমি ইন্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হয়ে এলাকা ছাড়লাম। প্রতি দু-তিন মাস পর পর বাড়িতে আসতাম। মিডটার্ম পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর মোটামুটি পনেরো বিশ দিনের একটি ছুটি ছিল বাসায় আসলাম। বেশ আনন্দ নিয়ে বন্ধুদের সাথে ঘোরাঘুরি করছি এলাকায়। এখানে আর একটু বলি আমাদের তিন তলা বিশিষ্ট দালানের মাঝে তিনটি সিড়ি ঘর ছিল এবং সবগুলো দিয়েই একই ছাদে ওঠা যেত। আমি নিয়মিত ছাদে আসতাম সকাল এবং সন্ধ্যার পর। মূলত ছাদ ছিল আমার আবেগ অনুভূতির জায়গা। আর সন্ধ্যার পর হেরে গলায় গান গাইতাম, আমাকে কেউ বারণ করতেন না কারন গলা মোটামুটি ভালো ছিল। একদিন সকালে ছাদে এসেছি হঠাৎ দেখলাম পুরো ছাদে লাল ইট দিয়ে কি সব লিখা আর একটি গন্ধরাজ ফুল। আমি পড়ার চেষ্টা করলাম। লিখা ছিল-
ইতি,
তোমার সূপর্না
আমি তো রিতিমত অবাক আর মনে হলো আকাশ থেকে পড়লাম। আমি স্পষ্ট বুঝতে পারলাম আমাদের সিঁড়িতে উঠতি বয়সী ছেলে একমাত্র আমি। এখানে E অক্ষর লিখা আর ছাদে গান একমাত্র আমি গেয়ে থাকি। তাই বুঝতে বাকি রইলো না এটা আমাকে উদ্দেশ্য করে লিখা। আমি তাড়াতাড়ি মুছে দেয়ার চেষ্টা করলাম কারন মান ইজ্জতের প্রশ্ন কেউ দেখলে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে। আর ফুলটি স্বযত্নে রেখে দিলাম। সারাদিন খুঁজেও মাথামুণ্ডু খুঁজে পেলাম না, কে হতে পারে ? সন্ধ্যায় আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে খবর পেলাম নতুন একটি মেয়ে এসেছে বেড়াতে আমাদের দালানের অন্য সিড়িতে আর দেখতে ভীষণ সুন্দর। তবে নাম সে জানে না এটাই সমস্যা।
দ্বিতীয় দিন সকালে আবার ছাদে চিঠি।
লিখেছে-
ইতি,
তোমার সূপর্না
লিখনীর সাথে আবার একটি ফুল। এবার আমার মধ্যে কেমন একটা ভালোলাগার অনুভূতি কাজ করলেও অবাক হলাম সে আমাকে চেনেনা জানেনা তাহলে কিভাবে আমাকে এভাবে ভালোবাসতে পারে ?
আমি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম যেভাবেই হোক এই হৃদয় চোরকে আগামীকাল ধরতেই হবে। আবারো সব মুছে দিলাম।
পরদিন খুব সকাল থেকে আমার সিড়ি ঘরের দরজা লাগিয়ে বসে রইলাম কিন্তু দরজা এমনভাবে লাগালাম যাতে হঠাৎ খুলে চোর ধরতে পারি। আর দরজার ছোট্ট ছিদ্র দিয়ে মাঝে মাঝেই খেয়াল রাখলাম কখন হৃদয় চোর আসে। প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকার পর দেখলাম একটি সুন্দরী মেয়ে হাতে একটি ইট নিয়ে কিছু লিখার চেষ্টা করছে। আমার কলিজাতে পানি নেই তার অপরুপ চোখ দুটো দেখে। মিষ্টি মধুর আর লাবণ্যময়ী তার মুখের অবয়ব। কতক্ষন লুকিয়ে দেখার পর চিন্তা করলাম এবার ধরতে হবে।
হঠাৎ দরজা খুলে এক ঝটকায় তার হাত ধরে ফেললাম শক্ত করে। বললাম এবার তোমায় ধরেছি কোথায় পালাবে আজ, প্রতিদিন আজে বাজে সব লিখে রেখে যাও। তার মুখ কেমন যেন কালো হয়ে গেছে ভয়ে আর হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করলো কিন্তু পারলোনা। ভয় পাবার কারনটা হচ্ছে যদি আমি কোন কারনে বকাঝকা করি। হঠাৎ বলে উঠলো আমি আপনাকে ভালোবাসি, আমার অপরাধ কি ? আমায় ছেড়ে দিন। এবার হাত ছেড়ে দিলাম আর বললাম তুমি কিভাবে আমাকে ভালোবাসতে পারো? তুমি কি আমায় চেনো ? সুপর্না বললো আপনার সম্পর্কে গত দুমাস ধরে শুনেছি আর লুকিয়ে দেখেছি অসংখ্যবার। তার চোখের দিকে তাকিয়ে আমি নিজেই নিজের ভারসাম্য হারিয়ে ফেললাম ভালোলাগার অনুভূতিতে। শুরু হলো তার সাথে আমার চুটিয়ে প্রেম। মজার ব্যাপার হলো ও প্রতিদিন আমার জন্য একটা গন্ধরাজ ফুল নিয়ে আসতো। আমাদের প্রেমের জায়গা ছিল সেই ছাদের উপর। তাকে আমি আমার হৃদয় মন উজাড় করে ভালোবেসেছি। মাঝে মাঝেই তাকে গান শুনাতাম আর ও ভীষণ উপভোগ করতো। তাকে এক বেলা না দেখলে হৃদয় এমন ছটফট করতো মনে হতো সে কাজ বন্ধ করে দেবে । তবে বলতে লজ্জা নেই একবার তার কাছে হঠাৎ একবারে জন্য মিষ্টি ছোট্ট আদর পেয়েছি যা হৃদয়ের মনিকোঠায় তোলা রয়েছে। আমি বুঝতে পারলাম না ও হঠাৎ এরকম করবে, আমি তো অবাক।
আমার ছুটি শেষ, এদিকে কলেজে ফিরতে হবে মন খারাপ আমার। আমি কলেজে ফেরার আগে তাকে আমার ফোন নাম্বার দিয়ে আসলাম। ইতিমধ্যে এলাকায় আমাদের প্রেম মোটামুটি কেলেঙ্কারি রটে গেছে। ও এসেছে তার মামার বাসায় আর তিনি ছিলেন ভীষণ রাগী মানুষ। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেবেন আর আমার বাসায় নালিশ পাঠিয়ে জুতা পেটা খাওয়ার বন্দোবস্ত করলেন। আমার মা ফোন দিয়ে বললেন যা কান্ড করলে তোমার আগামী ছয় মাস বাসায় আসা নিষেধ। আর তার মামা অন্য একজনকে দিয়ে হুমকি দিলেন এলাকায় আসলে ঠ্যাং ভেঙ্গে দেবে। এদিকে সূপর্না ফোন দিয়ে কান্নাকাটি। সে চলে যাচ্ছে আগামীকাল, আমি যেন অন্তত একবার এসে তার সাথে দেখা করি। আমি সত্যিই নিরুপায় হয়ে পড়লাম, বললাম কাল আমার একটা পরিক্ষা আছে আসতে পারবোনা। সে ভীষণ কান্না করলো আর ভীষণ রাগ করলো। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ।
আমি ঐ পরিস্থিতিতে অসহায় ছিলাম। আর একটা ব্যাপার হচ্ছে তখনও আমার কারোর দায়িত্ব নেয়ার মতো সময় হয়নি। আমার পাগলী তার পরদিন চলে গেল আর তার ফোন আর কোনদিন খুললো না। ও হয়তো সিমকার্ড রাগ করে ফেলেই দিয়েছে। আসলে এতোটা তীব্রভাবে ভালোবাসতো, আমার দেয়া কষ্ট সে সহ্য করতে পারলো না। কিন্তু একটা বার যদি বোঝার চেষ্টা করতো আমার অবস্থানটা কি ছিল? আর ঐ পরিস্থিতিতে আমি কিবা করতে পারতাম ? সে বুঝলো না কিছুই। তার সাথে আর কোনদিন কথা হয়নি কিন্তু তার নাম জপে আমার হৃদয়ে প্রতিটি সেকেন্ডে। হয়তো আজ শরীরটা অন্য কারোও কিন্তু আমি বিশ্বাস করি সূপর্না তোমার হৃদয় শুধু মাত্র আমার।
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1544708616820707331?t=h7wwXPUsT5zwwboQgnemHw&s=19
সত্যিই ভালোবাসা গুলো অদ্ভুত। কখন কিভাবে কি হয়ে যায় বলা মুশকিল। যে ভালোবাসা গুলো হঠাৎ আসে সে ভালোবাসা গুলো মায়া বাড়িয়ে কোন না কোন ভাবে চলে যায়। শুধু রয়ে যায় স্মৃতি। ভালোবাসার অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। ছাদের মধ্যে ইট দিয়ে লেখা ভালোবাসার পত্র গন্ধরাজ ফুল সত্যিই অসাধারণ মুহূর্ত ছিলো।
আপনি ঠিকই বলেছেন মন থেকে কাউকে ভালোবাসলে তাকে মুছে ফেলো খুবই কঠিন। পবিত্র ভালোবাসা ছিলো। দোয়া করি সব সময়ই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় এই কামনাই করি 🤲
ধন্যবাদ লিমন প্রকৃত ভালোবাসা শুধুমাত্র হৃদয়ে থাকে। যা ধরা ছোঁয়ার বাইরে, শুধুমাত্র অনুভব করা যায়। এ জায়গা কেউ নিতে পারবে না।
অসম্ভব ভালো লিখেছেন।আমি তো পুরো ভিতর থেকে নড়ে গেছি।এক কথায় অনবদ্য।
ধন্যবাদ দাদা।
আপনার মন্তব্য পেয়ে সত্যিই ভীষণ লাগলো।
আপনার লেখায় জাদু আছে। সত্যিই অনেক মধুর এবং অনেক কঠোর ভালোবাসা ছিল। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপনার এই কথাটি পড়েই মনে পড়ে যাচ্ছে সম্ভবত রবীন্দ্রনাথের একটি বাণী-যার ভালোবাসা যত গভীর তার ভালোবাসার প্রকাশ তত কম।আর এটি আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি।প্রথম ভালোবাসার কথা কখনো ভুলা যায় না।সুন্দর ছিল আপনার জীবনের গল্পটি, ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ দিদি চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
শুভ কামনা রইল আপনার জন্য 💌
শুরুটা ভালো লাগার মধ্যে দিয়েই হলো শেষটাতে এসে হোচট খেলাম। ভেবেছিলাম সূপর্ণা আপনার জীবনেই থেকে যাবে। কিন্তু পরিস্থিতি আর তা হতে দিলো কই! তবে প্রথম ভালবাসা ভুলার নয়। চমৎকার লিখেছেন ভাইয়া।
আসলে প্রথম প্রেমটা অসময়ে হয়ে যায় আর যা পরিপূর্ণতা পাওয়ার সুযোগ আসলেই খুব কম থাকে। আর আমার ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। তবে গভীর দাগ কেটে গেছে।
জি ভাইয়া আসলে প্রথম প্রেমে পড়ার ফিলিংসটাই অন্যরকম থাকে
অভিমান করে ভালোবাসাই শেষ করে দিল? রাগ খুব খারাপ জিনিস। হয়তো তার বিয়ে দিয়ে দিয়েছিল। তাই আর রাগ ভাঙার পর যোগাযোগ করার সুযোগ হয় নি। আপনি যে তাকে এখনো ভালোবাসেন তা আপনার লিখার মধ্যেই বোঝা যাচ্ছে। কেন যে প্রথম প্রেম সবার হারিয়ে যায় বুঝি না।
ও আসলে আমাকে ভীষণ ভালোবাসতো যা বলে বোঝাতে পারবো না। আমার দেয়া কষ্ট সে সহ্য করতে পারেনি কিন্তু বোঝার চেষ্টা করেনি আমি কি অবস্থায় ছিলাম। সে বড্ড অভিমান করে ছেড়ে গেছে আমায়। কিন্তু সারাজীবনের জন্য কষ্ট দিয়ে গেছে যা এখনও বয়ে বেড়াচ্ছি।