স্কুল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান || সৃজনশীলতায় বেড়ে ওঠা আমার সন্তান।
সৃজনশীলতায় বেড়ে ওঠা আমার সন্তান |
---|
শুভ দুপুর আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি। আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আজ একটু ভিন্ন বিষয় নিয়ে হাজির হলাম। গতকাল আমার মেয়ের স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে আমাদের ঈলমা ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে অংশগ্রহণ করেছে। তার আনন্দের কারন ছিল সে একটি খেলায় প্রথম হয়েছে এবং একটি নাচে অংশগ্রহণ করবে। তার বয়স যখন মাত্র সাড়ে চার বছর তখন সে প্রথম স্টেজে নাচ দেয় এবং একটি পুরষ্কার পায়। তার ধারাবাহিকতায় সে প্রতিনিয়ত নাচের চর্চা করতে থাকে। যাক এটা তার দ্বিতীয়বার কোন স্টেজে অংশগ্রহণ, আমি এধরনের সৃজনশীল কাজকে ভীষণ উৎসাহ দিয়ে থাকি। কারন আমি জানি একমাত্র সুস্থ বিনোদন এবং সৃজনশীল কাজ সুস্থ মানসিকতা তৈরি করতে পারে।
চলুন পুরো অনুষ্ঠানটি দেখে আসি।
ছোট বেলা থেকেই সাজসজ্জার প্রতি ভীষণ আকর্ষণ মেয়েটার। গতকাল সেজেছে তার ইচ্ছে মতন কোন বারণ করিনি। কেমন লাগছে ঈলমাকে জানাবেন নিশ্চয়ই।
প্রথমেই কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়, ততক্ষণে পুরো স্কুল প্রাঙ্গণ ভরে গেছে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক দিয়ে। এরপর প্রধান অতিথি তার আসন গ্রহণ করেন। এরপর প্রধান অতিথি তার বক্তব্য রাখেন কারন তার আরো একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে, এরপর অন্যান্য অতিথিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। তারা স্কুলের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে সহযোগিতা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর এসএসসিতে জিপিএ ফাইভ পাওয়া শিক্ষার্থীদের পুরস্কার দেয়া হয়।
কয়েকটি নাচের পর আমাদের ঈলমার পর্ব আসে। নাচ ও কতটা ভালো করলো সেটা আমার কাছে বিষয় নয়, আমি তার ভেতরে কোন ভয় কাজ করছে কিনা সেটাই খেয়াল করছিলাম। আমার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তার ভয় ভাঙ্গানো এবং মন খুলে সে নাচ উপভোগ করছে কিনা সেটাই দেখা। মাশাআল্লাহ সে নিজের সর্বোচ্চটা দেয়ার চেষ্টা করেছে। আমি সত্যিই ভীষণ খুশি ছিলাম।
একটি ছেলে নাচ দিয়েছিল দেশাত্মবোধক গানের সাথে, ভীষণ সুন্দর ছিল তার নাচটি। এভাবেই বাচ্চাদের ভেতরের সুপ্ত প্রতিভা জাগ্রত হয়।
ছোট্ট একটি পরি নেচেছে। কি তার মুখের অভিব্যক্তি আর নাচ, ভাবতেও পারবেন না এতটুকু বাচ্চা তার কারিশমা দেখিয়েছে।
সন্ধ্যার পরে ও দূরদান্ত কিছু নাচ হয়েছে, সুন্দর আলোকসজ্জা এবং গানের তালে ছাত্র ছাত্রীরা তাদের সেরাটা দিয়ে পুরো সময়টা মাতিয়ে রেখেছিল। সন্ধ্যার পর ভিড় ভীষণ বাড়তে থাকে এবং আমাদের ছেলে ইয়ান বিরক্ত করতে থাকায় বাসায় চলে আসতে বাধ্য হলাম। আসলে সবমিলিয়ে দারুন একটি দিন কেটেছে। আর ঈলমার আনন্দ ছিল বাঁধভাঙা, আমি সবসময়ই ওদের এমন হাসিখুশি দেখতে চাই।
ঈলমার নাচের ভিডিও
ছবির অবস্থান :- উত্তরখান, ঢাকা, বাংলাদেশ।
বাসায় ফিরে দুই ভাই বোনের মিষ্টি খুনসুটি বারবার দেখছিলাম।
সত্যি বলতে কেউ যদি আমায় প্রশ্ন করে আমার জীবনের সেরা প্রাপ্তি কি?
"তাহলে আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি সম্মান, ভালোবাসা আর ওদের মুখের একটু হাসি।"
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1622159042616643584?t=dkuYdaxVKW_dWr2RQuR1Dw&s=19
ভাইয়া ঈলমাকে দারুন লাগছে দেখতে। বাচ্চা মেয়েরা এভাবে শাড়ি পড়ে সাজলে খুব সুন্দর লাগে। প্রথম হিসেবে ভালোই নেচেছে।অনেক শুভেচ্ছা দেবেন আমার পক্ষ থেকে। লেখাপড়ার পাশাপাশি এমন প্রতিভা ছড়িয়ে পরুক এমনটাই আশাকরি। সুন্দর মুহুর্তগুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
অবশ্যই আপনার শুভেচ্ছা বার্তা তাকে পৌঁছে দেবো।
আপনার মেয়ে প্রথমবার হিসেবে দারুন নেচেছে। আর ওকে অনেক মিষ্টি লাগছে দেখতে লাল শাড়িতে। আমার মনে হয় লেখাপড়ার পাশাপাশি এরকম প্রতিভা থাকা অনেক দরকার। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মেয়ের মিষ্টি মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।
লেখাপড়ার পাশাপাশি এগুলো ভীষণ দরকার।
এর মাধ্যমে বাচ্চাদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাইয়া ঈলমাকে খুব সুন্দর লাগতেছে। অনেক সুন্দর করে সাজুগুজো করেছে। ভাই বোন দুইজনই খুব কিউট। আর নাচটাও খুব ভাল লেগেছে। মাত্র সাড়ে চার বছর বয়সে প্রথম নাচ, বাহ ভাল লাগলো। আশা করি আপনার সহযোগিতা পেলে আরো এগিয়ে যাবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাই।
চেষ্টা আছে ওকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।
দোয়া করবেন
মাশাল্লাহ ঈলমাকে তো দেখতে দারুন লাগছে। আর মেয়েটি নিজে নিজে সেজেছে জেনে সত্যিই অবাক হয়ে গেলাম। যে কোন বাচ্চা তাদের নিজের প্রতিভা কে জাগ্রত করতে চাইলে তাদেরকে সেই সুযোগটা দেয়া উচিত বলে আমি মনে করি। আর মেয়ে যেহেতু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছে তার মধ্যে এই গুণটা অবশ্যই বিদ্যমান। সেজন্যই সে নাচে অংশগ্রহণ করেছে।আর নাচটাও দারুন হয়েছে, দেখলাম তো বেশ ভালোই লেগেছে। বাসায় ফিরে মিষ্টি ভাই বোনের হাসি মাখা চেহারা দেখে তো মনটা ভরে গেল।
ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
নিজে নিজেই সেজেছে ব্যাপারটা তা নয়, তার সাজুগুজুর ভীষণ ইচ্ছে ছিল তাই ওর মা পার্লারে নিয়ে সাজিয়েছে। আমি বাঁধা দেইনি। ধন্যবাদ ভাই ওর নাচের প্রশংসা করার জন্য।
সত্যি ভাই খুব চমৎকার নেচেছিল। অনেক অনেক দোয়া রইল।
চমৎকার আয়োজন ছিলো। আমিও অফিস থেকে এসে রাতে গিয়েছিলাম। ঈলমা তো অনেক সুন্দর করে সেজেছে। ছোটদের সাজ দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। ঈলমা আর ইয়ান কে একসাথে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। সৃজনশীলতায় বেড়ে ওঠতেছে ঈলমা। ঈলমার নাচ অনেক সুন্দর হয়েছে। ঈলমা আর ইয়ানের জন্য শুভ কামনা রইলো 🤲
অনেক ধন্যবাদ লিমন।
আমি সন্ধ্যার পর চলে এসেছিলাম, ইয়ান বিরক্ত করছিলো খুব।
নিজে নিজে শিখে বেশ ভাল নেচেছে । সবচেয়ে বড় বিষয় হল এতো মানুষের সামনে নাচা। ভয় কাটিয়ে সে নেচেছে। ওর যখন নাচে এতো আগ্রহ তখন কোন প্রতিষ্ঠানে শেখানো দরকার। অনেক মিস্টি লাগছে ঈলমাকে। সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
হ্যা ওর নাচ শেখানোর একটা ব্যাবস্থা করবো।
দেখে তো মনে হচ্ছে পাকা বুড়ি একটা। বেশ ভালইতো নাচে। আমার কিন্তু বেশ ভাল লেগেছে ঈলমা মামুনির ডান্স। আর স্কুলের অনুষ্ঠানের প্রতিটি ফটোগ্রাফিও বেশ সুন্দর ছিল। সব মিলিয়ে আজকের পোস্টটি আমার তো বেশ ভালই লেগেছে।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
দোয়া করবেন ঈলমার জন্য, ও যেন এভাবেই এগিয়ে যেতে পারে।