তীব্র শীতে সতর্কতা অবলম্বন করুন, সুস্থ থাকুন।
সুস্থ থাকুন |
---|
শুভ দুপুর আমার বাংলা ব্লগ পরিবার 🫥 সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি। বেশ ঠান্ডা পরেছে আজ, গতকাল বেশ ঠান্ডা ছিল। গতকালের সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.৫° সেঃ শ্রীমঙ্গলে। আর উত্তরবঙ্গে বেশ ঠান্ডা পরেছে। সবমিলিয়ে শীত বেশ জেঁকে বসেছে আর এর সাথেই পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে শীতের বিভিন্ন রোগ বালাই । আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছেন বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। হাসপাতালে অসংখ্য মানুষ ভর্তি হয়েছেন, অধিকাংশ মানুষ জ্বর, নিওমুনিয়া এবং ডাইরিয়া সহ বিভিন্ন রোগে কাতরাচ্ছেন। বিশেষ করে শিশু এবং বৃদ্ধ মানুষ বেশ কষ্ট পাচ্ছেন।
তাপমাত্রা হয়তো আরো কমতে পারে কারন শৈত্যপ্রবাহ চলছে। এখন এই পরিস্থিতিতে আমাদের স্বাভাবিক কর্মকান্ড তো চালিয়ে যেতে হবে। এরমধ্যে রয়েছে অফিস, স্কুলসহ অন্যন্য কাজগুলো। আর খেটে খাওয়া মানুষেরা তো আরো অনেক বেশি কষ্ট করে চলেছেন। সবথেকে বড় ব্যাপার আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করে সমস্ত স্বাভাবিক কাজগুলো জারি রাখতে হবে। সতর্কতার মধ্যে গরম কাপড় পরিধান করা। তাছাড়াও শিশু এবং বয়স্কদের প্রতি বিশেষ যত্ন নেয়া।
বিশেষ করে শিশুরা শীতের মধ্যে বেশি অসুস্থ হয়ে পরে। অনেক সময় আপনার অসতর্কতায় নিওমুনিয়া কিংবা ডাইরিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হয়ে পরছে। হাসপাতালে এখন শিশু বিভাগে এখন জায়গা পাওয়া মুশকিল কারন অসংখ্য শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
শীতের মাঝে একমাত্র গরম কাপড় পরিধান করলেই হবে না এর পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে, এর মাধ্যমে ভেতর থেকে আপনি সুস্থ থাকবেন। শীতে প্রচুর শাকসবজি খেতে পারেন যা আপনাকে সুস্থ রাখতে সহযোগিতা করবে। তাছাড়াও অনেক মানুষ রয়েছেন শীতকাল এলেই বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা ভোগেন তাদের বলবো প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হবেন না এবং সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করুন। এই সময় একটু অবহেলা আপনার পুরনো রোগগুলো আবার আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে।
সবশেষে বলবো আমাদের আশেপাশে এমন অসংখ্য মানুষ রয়েছে যারা একটু গরম কাপড়ের জন্য অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। যদি সামর্থ্য থাকে তাহলে তাদের কিছু গরম কাপড় কিনে দেয়া মানবিকতার মধ্যে পরে। তাছাড়াও আমরা আরো একটি কাজ করতে পারি, ধরুন গতবছরের তুলে রাখা সোয়েটার এবার আপনার ছোট হয়ে গেছে। এধরনের কিছু পুরাতন কাপড় আপনি দুঃস্থ মানুষকে দিয়ে দিতে পারেন। দেখবেন এই কাজগুলো আপনাকে মানসিক একটা শান্তি দেবে আর একজন গরিব মানুষ হয়তো পাবে এই তীব্র শীতে একটু উষ্ণতা।
একটু মানবিক হয়ে উঠুন 🙏
সবশেষে সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিদায় নিলাম।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার শেষের কথা গুলো একদমই ঠিক বলেছেন। কয়েক দিন থেকে আমি ও খুব অসুস্থ হয়ে পরেছি। শীত কয়েকদিন থেকে বেশি পরেছে। আমাদের কে তীব্র শীতে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সবার জন্য শুভ কামনা রইলো 🤲
তুমি ঠিক বলেছো এই সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
কয়েকদিন যাবত শীতের প্রকোপ অনেক বেশি। এটা ঠিক যে শিশুদের প্রতি শীতের প্রভাবটা বেশি পড়ছে আর যার কারণে হাসপাতালে শিশুদের বেড পাওয়া খুবই কষ্ট। সব মিলিয়ে নিজেকে যথাযথ গরম রাখার চেষ্টা করছি।
এই সময়টাতে শিশু এবং বৃদ্ধ মানুষদের দিকে বেশি খেয়াল রাখতে হবে।
কয়েকদিন থেকেই উত্তরবঙ্গে প্রচুর ঠান্ডা পড়েছে। আসলে আমরা হয়তো নিজের স্বার্থ অনুযায়ী গরম কাপড় কিনতে পারি। কিন্তু আমাদের চারপাশে এমন কিছু মানুষ আছে যারা তিনবেলা খেতেই পারেনা। তারা কি করে গরম কাপড় কিনবে। সেই সব মানুষদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সবার নৈতিক দায়িত্ব। আমরা নিজেদের জায়গা থেকে সবাই তাদের পাশে দাঁড়াবো এবং তাদেরকে সহায়তা করার চেষ্টা করব।
অনেক ধন্যবাদ আপু, আপনার কথায় সত্যিই খুশি হলাম। সবাই যদি কিছুটা এগিয়ে আসে তাহলে অসংখ্য মানুষ শীতবস্ত্র পাবে।
বাংলাদেশে জানুয়ারী মাসটা সবচেয়ে শীতল মাস! এ সময়টাতে সারাদেশে প্রচুর ঠান্ডা থাকে! বিশেষ করে শৈত্যপ্রবাহ যেটাকে বলে! এই সময় একটু সাবধানতা অবলম্বন করাই ভালো হবে আমি মনে করি! কারণ নানা ধরনের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে! আর আমাদের আশেপাশে যারা হতদরিদ্র আছে, আমাদের উচিত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে। হতে পারে তাদের হাসির কারণটা আপনি হতে পারবেন 🌼🦋
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আমি শীতের শুরু থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলে আসছি। যদি একজন মানুষ গরিব মানুষকে একটি কাপড় দান করে এটাই আমার সার্থকতা হবে। দোয়া রইল ভাই।
আসলে আমরা যদি আমাদের গত বছরের পুরাতন সোয়েটার গুলো যাদের গরম জামা কাপড় নেই তাদেরকে দিয়ে দিই তাহলে নিজের মধ্যেও অন্যরকম একটা মানসিক শান্তি থাকবে।যদি আমরা এরকম মানুষদের কিছু জামা কাপড় দিতে পারি তাহলে নিজের মধ্যেও ভীষণ ভালো লাগবে। আমরা যদি একটু মানবিক হয়ে উঠি তাহলে অনেক জনের শীতের জামা কাপড় হবে। আপনার এই পোস্ট পড়ে বেশ ভালো লেগেছে। খুবই ভালো একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ।
জি ভাই প্রত্যেকে যদি একটি করেও পুরনো কাপড় মানুষকে দেই তাহলে অনেক মানুষ গরম কাপড় পাবে।
আপনার এই পরামর্শ টি কিন্তু আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনি বলেছেন আমরা যদি আমাদের পুরাতন জামা কাপড় মানে গরম জামাগুলো অন্যান্য গরিব মানুষকে দিয়ে তাহলে তাদের গরম জামা জুটবে। তাদেরকে সাহায্য করতে পেরে আমাদেরও ভালো লাগবে। এরকম বিষয়গুলো একটু বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। আমরা যদি আমাদের পুরাতন গরম জামা গুলো গরিবদের দিয়ে দিই তাহলে নিজের মনের ভেতরও অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করবে। পড়ে ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
হুম এই শীত কারো জন্যে অনেক আরাম দায়ক হলেও কারো জন্য তা খুবই কষ্ট। তাই অসহায়দের পাশে থাকা দরকার, সুন্দর লিখেছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শীত অসংখ্য মানুষের জন্য কষ্ট বয়ে আনে, তাই নিজ অবস্থান থেকে যতটুকু সম্ভব গরম কাপড় নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।
ঠিক বলছেন ভাইয়া অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর কিন্তু শীত বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।এভাবে শীত বাড়তে থাকলে যারা নিম্ন আয়ের মানুষ তাদের অবস্থা কিন্তু খুব খারাপে পরিণত হয়ে যাবে।এছাড়াও আপনি ঠিক বলছেন বাচ্চাদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।তবে যারা হতদরিদ্র তাদেরকে শীতবস্ত্র বিতরণ করে শামিল হতে পারলে অনেক ভালো লাগবে ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করব।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
যদি কিছুটা এগিয়ে যান শীতবস্ত্র নিয়ে তাহলে সত্যিই খুব ভালো হবে। এটা ভীষণ সোয়াবের কাজ হবে।