একজন ভিন্ন মানসিকতার মানুষকে আপন করে নেয়ার গল্প।
আপন করে নেয়ার গল্প |
---|
শুভ বিকেল আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি। আজ পোস্ট করতে বেশ দেরি করে ফেললাম, সত্যি বলতে একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য এই অবস্থা। ভেবেছিলাম ডাই কিংবা ছবি অংকন করবো কিন্তু হলো না। মন মেজাজ ঠিক ছিল না হঠাৎ করেই। কোন কিছু আর করতে পারলাম না, পরবর্তীতে সেই ঘটনার একটি সুন্দর সমাধান করে ফিরে এলাম পোস্ট করতে। ততক্ষনে সময় চলে গেছে অনেক, যাক এখান সেই ঘটনার মূল প্রাপ্তি নিয়ে লিখতে বসলাম।
ধরুন আপনি কোন একটি ভালো কাজ করে যাচ্ছেন এবং একটি পরিবারের সাথে মিলে মিশে একাকার হয়ে আছেন। হঠাৎ করে কোন এক আগন্তুক এসে পরিবারের একজনকে কটাক্ষ করে কথা বললো তখন কেমন লাগবে? আমি একটু ভিন্ন ধাঁচের মানুষ আমি এগুলো কখনোই সহ্য করিনা, সাথে সাথে তার প্রতি উত্তর দিতে জানি। সত্যি বলতে সাথে সাথেই তার জবাব দিয়ে দিয়েছি। এমন পরিস্থিতিতে পরলে আপনি কি করতেন?
কোন অন্যায় করা যেমন অপরাধ তেমনি সহ্য করাটাও অনেক বড় অপরাধ। কোন অন্যায় কারীকে সাথে সাথেই যদি তার ভুল ধরিয়ে দেয়া না যায় তাহলে সে এই ভুলগুলো বারবার করতেই থাকবে। তাছাড়াও পরবর্তীতে অনেক বড় অপরাধ করতে সাহস পেয়ে যাবে। তাই তার চোখে আঙুল দিয়ে ভুল শুধরে দিতে হবে। যাক ঘটনায় আবার ফিরে আসি, সে ভুলটি করেছে দেখে সাথে সাথেই তাকে শুধরানোর কাজে নেমে পড়লাম।
প্রথমেই তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করলাম এবং তার সাথে সম্পর্কিত আরো কিছু মানুষকে সনাক্ত করলাম। এরপর সবাইকে নিয়ে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম। তবে সবথেকে যেটা বড় বিষয় সে ভুলটি বুঝতে পেরে নিজেই অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চেয়েছে। তাছাড়াও এধরনের কাজ সে কখনো করবেনা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পরবর্তীতে তার সাথে বেশ কিছু আলাপ চারিতা হলো এবং তাকে তার কাজটি কতটুকু ঘৃন্য হয়েছে সেটা বোঝানো সম্ভব হয়েছে। এখন সে অনেকটাই ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করলো এবং ভালো কাজ করার জন্য অনুপ্রাণিত হলো। তাকে আশ্বস্ত করা হয়েছে তার কৃতকর্মের জন্য তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে, সে বেশ খুশি হয়েছে।
এখন বিষয়টি হচ্ছে এই ঘটনা থেকে কিছু ব্যাপার উপলব্ধি করা যায়, তা হলো কেউ যদি কোন খারাপ বা অন্যায় করে ফেলে তবে তাকে প্রথমেই তার ভুলটি ধরিয়ে দিতে হবে। এরপর তাকে বোঝাতে হবে তার কাজটি কতটুকু খারাপ ছিল এবং এর ফলাফল কি হতে পারে। তখন যদি সে তার ভুল বুঝতে পারে তাহলে তাকে আপন করে নিতে হবে যাতে সে খারাপ কাজে নিরুৎসাহিত হয়। মানে বন্ধুত্বের হাতটা প্রসারিত করতে হবে, যদি এভাবেই বন্ধুত্ব বাড়াতে পারেন তাহলে হয়তো অনেক বিপদ থেকে বাঁচা যাবে।
তবে কিছু মানুষ অন্যায় করেও তার স্বীকার করবে না, তাদের ক্ষেত্রে তিন নাম্বার পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে 👌 না থাক আজ তিন নাম্বার পদ্ধতি নিয়ে আর আলোচনা করবো না কারন মন ভালো হয়েছে এখন 😊
সবাই চেষ্টা করবেন নিজে ভালো থাকতে আর অন্যদের ভালো রাখার। আজ এখানেই শেষ করলাম, কথাগুলো কারো খারাপ লাগলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1612047648831438849?t=lX1UV_ppZsOfcLiGBgdzzA&s=19
ভাই,, প্লিজ তিন নম্বর পদ্ধতি টা আমি জানতে চাই😜,কারন এখন অধিকাংশ মানুষ অপরাধ করো অপরাধ কখনো স্বীকার করে না। হাজারো বুঝাইলে বুঝো না।আপনার উনি তাও ভুল বুঝতে পেরে অনুতপ্ত হয়েছে, আর কিছু কিছু মানুষ এমন তো ভাবে যা করেছি ভালোই করেছি।যাক অবশেষে সমাধান হলো তাই জেনে ভালো লাগছে।ধন্যবাদ
না আপু তিন নাম্বার পদ্ধতি লাগেনি। যদি কখনও প্রয়োজন হয় প্রাকটিক্যাল দেখাতে হবে 😄
মুখে বললে হবে না।
ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
আমাদের চারপাশে এমন কিছু মানুষ আছে যারা সব সময় অপমান করে কথা বলতে। কিংবা কাউকে ছোট করতে বেশি পছন্দ করে। আসলে এদের মুখের উপর কথা বলতে পারি না। তবে ভেতর ভেতর কষ্ট হয়। আপনি কিন্তু দারুণভাবে বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। আসলে এভাবে প্রতিবাদ করতে পারলে সেই মানুষটি যেমন শুধরে যেত তেমনি মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যেত।
জি আপু যদি সম্ভব হয় প্রতিবাদ করতেই হবে, না হলে এরা পেয়ে বসবে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার ভিন্ন মানসিকতার মানুষকে আপন করে নেওয়ার গল্পটি পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। তবে আমাদের সমাজে এমনও কিছু মানুষ আছে যাদের বোঝাতে গেলে আরো উল্টা বুঝে। এবং সুন্দরভাবে বুঝতে চায় না। কিন্তু আপনার তিন নম্বর পদ্ধতিটা জানতে খুবই খুশি হতাম। এখনকার বেশি মানুষ অপরাধ করে তার স্বীকার করতে চায় না। যাইহোক পরে তার সমাধান হলো জেনে খুবই ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
না আপু তিন নাম্বার পদ্ধতি এখনি নয়, যদি কোন কিছুতে কাজ না হয় তখন সেটা এপ্লাই করতে হয়।
ধন্যবাদ আপু চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
তবে ঘটনাটা পড়ে বেশ অনুতপ্ত কারণ কোনো অগাত্নক এসে যদি কাছের মানুষকে আঘাত করে সেটা মেনে নেওয়া যায় না।আপনি সঠিক সময়ে যথাযথ উত্তর দিয়েছেন।এভাবে অন্যায় সহ্য করলে সে আবার আঘাত করতে সুযোগ পেত।অনেক ভালো করেছেন তাকে বুঝিয়ে ইতিবাচক মনোভাব ফিরিয়ে এনেছেন।তবে তিন নাম্বার পদ্ধতিটা কি সেটা যদি জানতে পারতাম তাহলে কাজে লাগাতে পারতাম😂।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
চেষ্টা করেছি নিজের মতো করে তাকে বুঝিয়ে বলার এবং সফল হয়েছি।
না তিন নাম্বার পদ্ধতি এখন নয়।