একটুখানি নেটওয়ার্কের প্রতিক্ষায় 😞
আসসালামুয়ালাইকুম। কেমন আছেন সবাই 😕
আমি মোটেও ভালো ছিলাম না এই কদিন। আসলে নেটওয়ার্ক তথা ইন্টারনেট ছাড়া একটা দিন এখনকার সময়ে বিভীষিকাময়, আর সেখানে কতগুলো দিন কাটিয়ে দিলাম ভাবাই যায় না। দিনগুলো কতটা কষ্টে কেটেছে তা হয়তো আমি লিখে কিংবা মুখে বলে বোঝাতে পারবো না, কারনটা হলো আপনাদের মাঝে নিজের আবেগ অনুভূতিগুলো প্রকাশ করতে না পারার চাপা কষ্টে।
একদিকে দেশের অবস্থা ভীষণ নাজুক ছিল। হানাহানি, মারামারি, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ আর কারফিউ সবকিছু মিলিয়ে এ যেন এক কালো অধ্যায়। সারাদিন বারবার ছুটে গিয়েছি টিভির সামনে এখন হয়তো একটু ভালো খবর শুনবো কিন্তু প্রতিনিয়ত মৃত্যুর মিছিল আর দুঃসংবাদ মানসিকভাবে ক্রমশ নিজেকে অসুস্থ করে তুলছিলো। তবে অন্তত ইন্টারনেট থাকলে নিজেকে কোন না কোনভাবে মানিয়ে নিতে পারতাম কিন্তু সেটাও হয়ে উঠছিল না কোনভাবেই। রাতে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখতাম নেটওয়ার্ক এসেছে, লাফ দিয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে স্টিমিটে ঢোকার চেষ্টা করতাম 😕 কিন্তু একটু পরেই বুঝতে পারতাম আমি এখনো হয়তো যুদ্ধকালীন সময় পার করছি। একরাশ কষ্ট নিয়ে জোর করে চোখের পাপড়ি বন্ধ করে রাখতাম। সকালে ঘুম থেকে উঠতেই ইচ্ছে করতো না, মনে হতো উঠেইবা কি করবো? মাঝে মাঝে এতোটাই দুশ্চিন্তা হতো মনে হতো চোখ বন্ধ করে পরে থাকি।
আসলে নিজের পরিবারের পর আরো একটা বড় পরিবার #amarbanglablog প্রতিনিয়ত এই পরিবারের সাথে থেকে কখনোই নিজেকে একা মনে হয়নি কিন্তু হঠাৎ এই বিপত্তির ফলে টের পেলাম আমার বাংলা ব্লগ কতটা জায়গা জুড়ে রয়েছে হৃদয়ে। নিজের ভেতরের অনুভূতি আর চাপা কষ্টগুলো ভাগ করতে না পেরে ভেতরে ভেতরে সবকিছু দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছিলো প্রতিনিয়ত। তাছাড়াও রয়েছে সামনের দিনগুলো নিয়ে দুশ্চিন্তা, কারন জানি দেশটা গুছিয়ে উঠতে সময় নেবে। তাছাড়াও লাগামহীন দ্রব্যমূল্য তার ষোলকলা পূর্ণ করে আমাদের হয়তো অভুক্ত রাখার পায়তারা করবে 😞 এরপর রয়েছে আমাদের মতো কর্মজীবী মানুষের বেতন-ভাতা নিয়ে দুর্ভোগ, হয়তো এতো সহজে বেতনের দেখা পাওয়া যাবেনা। কারন মালিকপক্ষ বিভিন্ন ছুতোয় টাকা না দিতে পারলেই বাঁচে। যাইহোক সবকিছু রাজ্যের দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে দিনগুলো কেটেছে। যাইহোক আজকে আবারো সামান্য একটুখানি নেটওয়ার্কের দেখা পেয়ে চেষ্টা করলাম নিজের কিছু কথা লিখার। তবে এই কদিনে অসংখ্য স্মৃতি আর কষ্টের ভান্ডার তৈরি হয়েছে যা এক পোষ্টে লিখা সম্ভব নয়, খুব তাড়াতাড়ি হয়তো দুই একটা পর্ব আকারে লিখবো। আজকে পোস্ট লিখতে খুব কষ্ট হচ্ছে, কভার ফটো পর্যন্ত তৈরি করতে পারিনি, মোবাইলে অনেক চেষ্টা করে এই ছবিটি তৈরি করলাম। এরপর সেটাও লোড নেয়নি, সবশেষে স্ক্রিনশট করে ছোট্ট ফাইল তৈরি করে পোস্ট করলাম 😕
যাইহোক সবাই দোয়া করুন অন্তত আমাদের কাজ করার মতো নেটওয়ার্ক যেন বাংলাদেশে থাকে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মতো বিদায় নিলাম।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
আসলে ভাই দিনগুলো আমাদের সবার জন্য ছিল বেশ কঠিন। তবু এখনো সব যোগাযোগ চালু হয়নি। বিকেল মুহূর্ত থেকে চ্যাটিং কথা বলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলাম। আশা করবো আবারো আমরা সবাই একসাথে চলতে পারবো আমাদের এই পরিবারে। দোয়া করি খুব শীঘ্রই যেন দেশের পরিস্থিতি আগের মত সুন্দর পরিবেশে চলে আসে।
আপনাদের ব্লগ নতুন করে দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। আপনাদের দেশের অন্ধকার মুহূর্তগুলো কেটে যাক। ক্ষয়ক্ষতি হলেও বিগত কিছু দিনে যা একেবারেই কাম্য নয়। দ্রুত সেরে উঠুন এই অসুস্থ পরিবেশ থেকে। আপনার লেখা পড়ে মনে হল আপনিও অনেক মিস করেছেন। আমাদেরও খুব মনে পড়তো মাত্র গুটিকয় লোকজন ডিসকর্ড একেবারেই ফাঁকা থাকতো।
বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট ছাড়া কিছুই ভালো লাগে না। আমার বাংলা ব্লগ পরিবার কে আমরা সকলেই খুব মিস করেছি। ঠিক আমিও স্বপ্নে দেখতাম এই বুঝি ইন্টারনেট এসেছি লাফ দিয়ে ভাবতাম একটা পোস্ট করি। তবে দেখি পরে ইন্টারনেট নেই। কিছুক্ষণ পর পর ইন্টারনেট চেক করতাম। ঠিক বলেছেন আর এদিকে অফিস এর মালিক গুলোর কথা কি বলবো। আপনার পোস্ট পেয়ে ভালো লাগলো। দোয়া রইল আপনার জন্য আপনার জমানো স্মৃতি বিজড়িত পোস্ট পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
বিগত এক সপ্তাহ গৃহবন্দী ছিলাম। কারফিউ থাকার কারণে ঘর থেকে বাহিরে যেতে পারিনি। তার মাঝে ছিল না নেটওয়ার্ক। এই ধরনের পরিস্থিতির মাঝে আমার বাংলা ব্লগের সকালকে অনেক মিস করেছি।
এখনো ইন্টারনেটের সমস্যা রয়ে গিয়েছে। ওয়াইফাই নেট কিছুটা শিথিল হয়েছে। আপনার গুছানো পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো ভাই, ধন্যবাদ আপনাকে।