শিশুদের মোবাইল ব্যাবহার নিয়ন্ত্রণ করুন এবং নিজেও সতর্কতা অবলম্বন করুন।
নিজেও সতর্কতা অবলম্বন করুন |
---|
সরাসরি বলি বাচ্চারা অনুকরণ প্রিয় মানে আপনি যেটা করবেন তারা ঠিক সেটা অনুকরণ করবে। দেখুন একটা সময় পরিবারের বন্ধনগুলো অনেক শক্ত ছিল, তখনকার সময়ে একটা কাজ করতে গেলে আমরা দশবার চিন্তা করতাম। কিন্তু এখনকার সময়ে কেউ কাউকে পাত্তা দিচ্ছে না, একটা অদ্ভুত দুরত্ব তৈরি হচ্ছে চারিদিকে। এটার একটা অন্যতম কারণ হলো মোবাইল নামক অতি দরকারি জিনিসটা। তবে এটা দরকারি জিনিস থেকে এখন অতি দরকারি হয়ে গেছে, মানে কিছু কিছু মানুষের কাছে অক্সিজেনের মতো। এরা মোবাইলজিবী মানুষ হয়ে গেছে, একবিন্দু সময় মোবাইল ছাড়া যাদের চলে না।
কি করে মোবাইল দিয়ে এই অতি আবেগি জেনারেশন?
কেউ গেমস খেলছে, কেউ টিকটক ভিডিও আবার কেউবা ফেসবুকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছে। তাছাড়াও অল্প বয়সে টিকটক সেলিব্রিটি হয়ে ভয়ংকর ভিডিও বানাতে গিয়ে নিজেই স্মৃতি হয়ে যাচ্ছে। আরো কিছু ব্যাপার আছে কেউ কেউ তো মোবাইল কেড়ে নেয়ার ফলে বাবা মায়ের নামে মামলা ঠুকে দিচ্ছে 😄
এগুলোর বাইরেও এমন কিছু ব্যাপার রয়েছে যা হয়তো কোন সামাজিক জায়গায় আলোচনা করতেও ঘেন্না লাগে। ইন্টারনেটের অবাধে ব্যাবহারের ফলে অশ্লীল এবং বিভিন্ন খারাপ কিছুর সংস্পর্শে চলে যাচ্ছে এই অতি আবেগি তরুণ প্রজন্ম। এর ফলে মারাত্মক সব সামাজিক অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে যা এদের জীবনকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে। তাছাড়াও দিন দিন এমন অদ্ভুত রকমের সব অপকর্ম সামনে আসছে যা হয়তো অতীতে কেউ কল্পনাও করেনি।
যাইহোক আমাদের কি করা উচিত?
আসলে আমাদের সন্তানদের পর্যাপ্ত সময় দেয়া উচিত, তাদের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। বিভিন্ন খেলাধুলা এবং পারিবারিক ছোট ছোট কাজগুলো তাদের শেখাতে হবে। ছোট থেকেই একটা বাচ্চাকে নিজে নিজে সবকিছু করার ট্রেনিং দিতে হবে। তাছাড়াও আরো কিছু ব্যাপার রয়েছে, আমাদের নিজেদের চলাফেরা এবং নিজেদের সংশোধন করতে হবে। এরফলে তারা আমাদের কাছ থেকে সবকিছু শিখতে পারবে। তাছাড়াও মোবাইলে স্পর্শকাতর বিষয়গুলো মোবাইল সেটিং থেকে বন্ধ রাখতে হবে, যেন হুট করে মোবাইল নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরতে না হয়।
শিশুদের হাতে মোবাইল দেয়া থেকে বিরত থাকুন এবং তাকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। পারিবারিক বন্ধনগুলো মজবুত করার চেষ্টা করুন, দেখুন একটা মোবাইল কিংবা টিভি সিরিয়াল কখনো আপনার পরিবার থেকে বড় কিছু হতে পারে না। উপর ওয়ালা সবাইকে বোঝার তৌফিক দান করুন।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
খুব ভালো লিখেছেন ভাই। আসলেই বর্তমানে অনেকেই যেন মোবাইলজিবীই হয়ে গিয়েছে! মোবাইলের দুনিয়ার বাহিরে কিছু যেন কল্পনাও করতে পারেন মা অনেকেই, এবং সংখ্যা টা বেশ বড়ই! এর সমাধান ও আপনিই বলে দিয়েছেন। উপরওয়ালা সকলকে সঠিক বুঝ দান করুন৷ এটাই চাওয়া।
ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে যেমন কাজ গুলো সহজ হয়ে গিয়েছে। আবার বিভিন্ন ভাবে সমস্যা সৃষ্টি করছে। এসব সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার আগে আমাদের সব সময়ই সতর্ক থাকতে হবে। এই তো প্রতিনিয়ত বেশ কিছু খবর পাওয়া যায়। যে গুলো দেখলে ভীষণ খারাপ লাগে। সৃষ্টিকর্তা সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন এই কামনাই করি। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
খুব সুন্দর ও কার্যকর একটি বিষয় নিয়ে আজ পোস্ট শেয়ার করেছেন।এটা একদম সত্যি কথা শিশুদের মোবাইল ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করতে আমাদের বড়দের মূখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।তাদেরকে সময় দিতে হবে।বন্ধুর মতো তাদের মনের কথা গুলো শুনতে হবে।একটি সুন্দর পরিবার গড়তে পারে পরিবারের সদস্যরা।
আপনি সময় উপযোগী পোস্ট করেছেন ভাই। আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো, অনেক কিছু জানতে পারলাম। শিশুদের মোবাইল ব্যাবহার নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী। বর্তমান সময়ে শিশুরা মোবাইলের প্রতি বেশি আসক্ত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ভিডিও গেম, টিকটক ইত্যাদি এখন তাদের কাছে অক্সিজেনের মতো। ভয়াবহ আসক্ত থেকে বাঁচার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে আমরা দোয়া করবো এবং সর্বদা সতর্ক করতে হবে।