চিংড়ির স্বাদে মূলা গাজরের সুস্বাদু তরকারি।
শুভ সকাল আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি। আমি একজন মূলা প্রেমী মানুষ 😅 মূলা অনেকেই খেতে পারেন না কিন্তু আমি আবার অবলীলায় খুব স্বাদের সাথে মূলা খেতে পছন্দ করি। এটা সালাত কিংবা এমনি খেতেও পছন্দ করি। গত কয়েকদিন আগে কিছু মূলা কিনেছিলাম, মূলাগুলো দেখতে যেমন সুন্দর আর খেতেও অসাধারণ ছিল। আমি তো কয়েকটা এমনি এমনি খেয়েছি।
গতকাল চিন্তা করলাম গাজর আর চিংড়ি মাছ দিয়ে তো খাওয়া হয়নি এভাবে। আমার মনে হয়েছে এটা নিঃসন্দেহে সুস্বাদু হবেই, যেই চিন্তা সেই কাজ রান্না করেই ফেললাম। তো চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে রান্না করলাম এই সুস্বাদু তরকারিটা।
মূলা | ৩০০ গ্রাম | চিংড়ি মাছ | ১০০ গ্রাম |
---|---|---|---|
গাজর | ১০০ গ্রাম | পেঁয়াজ কুচি | আধা কাপ |
হলুদ গুঁড়া | এক চামচ | মরিচ গুঁড়া | এক চামচ |
জিরা গুঁড়া | এক চামচ | রসুন বাটা | এক চামচ |
কাঁচামরিচ | স্বাদমতো | লবণ | স্বাদমতো |
সোয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো | মনের মাধুরী | ভরপুর |
রান্নার পূর্বে মূলা এবং গাজর কেটে টুকরো করে একটি চালনিতে উঠিয়ে নিলাম। এরপর চিংড়ি মাছগুলো পরিষ্কার করে একটি বাটিতে রাখলাম। এরপর পেঁয়াজ কুচি করে নিলাম। তাছাড়াও রান্নার অন্যান্য উপকরণ গুছিয়ে নিলাম।
এবার একটি পাতিল চুলায় চাপিয়ে দিলাম এবং পরিমাণমতো সোয়াবিন তেল ঢেলে দিলাম। এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিলাম।
এবার চিংড়ি মাছ দিয়ে পেঁয়াজ কুঁচি সহ ভালো করে ভেজে নিলাম।
এবার একে একে হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, রসুন বাটা এবং লবণ দিয়ে দিলাম।
এই ধাপে মসলার মধ্যে চিংড়ি মাছগুলো ভালোভাবে কষিয়ে নিলাম।
এবার মূলা এবং গাজরের টুকরোগুলো দিয়ে দিলাম। এরপর মসলার মধ্যে ভালোভাবে মাখিয়ে নিলাম।
এরপর পরিমান মতো ঝোল দিয়ে দিলাম।
এবার পনেরো থেকে বিশ মিনিট রান্না করলাম। ঝোল শুকিয়ে এলে আমাদের রান্না শেষ। আসলে এই তরকারি গুলো মাখামাখা ঝোল হলে খেতে ভালো লাগে।
🍱 পরিবেশন করলাম 🍱
স্বাদের বিবরণ যদি দেই বলতেই হচ্ছে তরকারিটা ভীষণ সুস্বাদু এবং লোভনীয় স্বাদের হয়েছে। আপনারা চাইলে তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন। তরকারিটা ঠান্ডা করে খেলে আরো বেশি স্বাদের লাগে। এই ছিল আমার আজকের আয়োজন, আশাকরি ভালো লেগেছে সবার। বিদায় নিলাম।
বিষয়বস্তু | চিংড়ির স্বাদে মূলা গাজরের সুস্বাদু তরকারি |
---|---|
ছবি যন্ত্র | রিয়েলমি সি-২৫ |
ছবির কারিগর | @emranhasan |
ছবির অবস্থান | উত্তরখান, ঢাকা, বাংলাদেশ |
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
চিংড়ির স্বাদে মূলা গাজরের সুস্বাদু তরকারি ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন। এভাবে তো কখনো চিন্তা করিনি। আপনার রেসিপি দেখে ভালো লাগলো। আমিও বাসায় তৈরি করবো। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যা লিমন তরকারিটা আমিও এভাবে প্রথম খেলাম। ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে, তুমিও তৈরি করে দেখতে পারো।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1604714712075501568?t=_DTKeWV7LwvgQ_RqV7TlwA&s=19
সকাল-সকাল এমন কালারফুল রেসিপি দেখলে কি রুচি থামানো যায়।আপনার রেসিপির কালার দেখে তো আমি অবাক হয়ে গেছি আর জিভে জল চলে এসেছে।নিঃসন্দেহে বলতে পারি এই রেসিপি খেতে অনেক মজা হয়েছিল।আপনি তো আমার মত গাজর দিয়ে মিক্স করে সবজি রান্না করেছেন চিংড়ি দিয়ে এ রকম সবজি খেতে অনেক মজা।আপনার মত ছোটকালে অনেক মুলা এমনি খেয়ে ফেলতাম। আপনার এই রেসিপির ধাপ এবং উপস্থাপনা ও পরিবেশনা সবগুলো অনেক চমৎকার ছিল।
গাজর দিলে তরকারির স্বাদ বৃদ্ধি পায়। মূলা দিয়ে তরকারিটা ভীষণ সুস্বাদু লেগেছে খাবারটি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
চিংড়ি দিয়ে মূলা এবং গাজরের সমন্বয়ে খুব চমৎকার একটি সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন, আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে যথাযথ বর্ণনা মাধ্যমে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করার জন্য।
শীত আসলেই মূলার কথা মনে পড়ে যায়! মূলার শাক আমার ভীষণ পছন্দের। শাকের সাথে মূলা হলে জমে যায় পুরো। মূলার তরকারিও খাওয়া হয়! মূলা দিয়ে চিংড়ি দিয়ে খাওয়া হয়নি। তবে দেখে মনে হচ্ছে খেতে মজা হয়েছে 😊
মূলা দিয়ে চিংড়ি মাছ একদিন খেয়ে দেখবেন। আশাকরি ভালো লাগবে।
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। মুলা দিয়ে চিংড়ি মাছ দিয়ে আগে কখনো রান্না করে খেয়ে দেখেনি। এ রেসিপিটি আমার কাছে একদমই ইউনিক একটি রেসিপি। আমি অবশ্যই বাসায় এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
অবশ্যই একদিন চেষ্টা করে দেখবেন আপু। ভীষণ সুস্বাদু লেগেছে খেতে।
ধন্যবাদ আপু চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
মূলা খেতে আপনার ভালো লাগে জেনে ভালো লাগলো। আপনি ঠিক বলেছেন মুলা অনেকেই খেতে চাইনা বা পারেনা। আপনি চিংড়ির স্বাদে মুলা ও গাজরের দারুন একটি সুস্বাদু তরকারির রেসিপি শেয়ার করেছেন। দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাই মূলা অনেকেই খেতে চায় না। তবে এটা পুষ্টিকর এবং খেতে সুস্বাদু।
ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
মূলা দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না এর আগেও খাওয়া হয়েছে। কিন্তু আপনার মত এত সুন্দর করে কখনও রান্না করে খাওয়া হয় নাই। আপনার রান্না আর উপস্থাপনা দুটোই বেশ লোভনীয় হয়েছে ভাইয়া।
অনেক ধন্যবাদ আপু। একদিন এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখবেন, আশাকরি ভালো লাগবে।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাই।
চিংড়ি মাছ আমার খুব প্রিয়, কিন্তু এই চিংড়ি মাছ দিয়েও যে মুলোর এমন মূলা গাজর চিংড়ি রেসিপি হয় তা জানা ছিল না । খুব ভালো লাগলো দেখে। দেখে মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ।
চিংড়ি মাছ, মূলা এবং গাজরের তরকারি ভীষণ সুস্বাদু, আশাকরি বাসায় একদিন রান্না করে খেয়ে দেখবেন। ধন্যবাদ আপু চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
খুব ভালো থাকুন দোয়া রইল।
হ্যাঁ দাদা একদিন বানাতে হবে