বাঙালি রেসিপি: ডাটা এবং কাঁঠালের বিচি দিয়ে শুঁটকি মাছ রান্না।
ডাটা এবং কাঁঠালের বিচি দিয়ে শুঁটকি মাছ রান্না। |
---|
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবাই কেমন আছেন? আশাকরি নিজেদের মতো করে বেঁচে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যাইহোক আমাদের রোগ শোক সবকিছু নিয়েই বাঁচতে হবে। কেমন যেন চারদিক থেকে শোকের ছায়া ঘিরে ধরেছে আমাদের। যাইহোক সৃষ্টিকর্তা সহায় হলে সবাই এই শোক কাটিয়ে উঠবো ইনশাআল্লাহ। আজো পোস্ট লিখছি বেশ মন ভারী নিয়ে, কেমন যেন খারাপ লাগছে সবকিছু।
যাইহোক আজকে একটা রেসিপি পোষ্ট নিয়ে হাজির হলাম। আসলে রেসিপি আর ফটোগ্রাফী এই দুটো পোস্ট করতে একটা আলাদা ভালো লাগা কাজ করে, কারনটা হলো আপনারা সবাই এই দুই ধরনের পোস্ট বেশি পছন্দ করেন। আজকে চেষ্টা করলাম একটা বাঙালি খাবারের রেসিপি উপস্থাপন করতে। শুঁটকি মাছ আমার ভীষণ ভালো লাগে, সবদিক থেকেই। এটা যেমন পুষ্টিকর তেমন খেতেও দারুন স্বাদের। আজকে খুব সহজেই কিভাবে খাবারটি তৈরি করা যায় দেখাবো, তো চলুন শুরু করা যাক।
ডাটা | ৫০০গ্রাম | শুঁটকি মাছ | একটি |
---|---|---|---|
দেশী আলু | ২০০ গ্রাম | পেঁয়াজ কুচি | এক কাপ |
হলুদ গুঁড়া | এক চামচ | মরিচ গুঁড়া | এক চামচ |
জিরা গুঁড়া | এক চামচ | রসুন বাটা | এক চামচ |
লবণ | স্বাদমতো | সোয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
কাঁঠালের বিচি | ১০০ গ্রাম | কাঁচা মরিচ | স্বাদমতো |
প্রথমেই শুঁটকি মাছটি কেটে টুকরো করে ভালো করে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিলাম। সবথেকে মজার ব্যাপার হলো এই মাছের নাম আমি জানি না।
এবার ডাটা, দেশি আলু এবং কাঁঠালের বিচি কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে বাটিতে উঠিয়ে নিলাম।
আমরা পুরো তরকারিটা একসাথে মাখিয়ে খুব সহজেই তৈরি করবো। এজন্য একটি পাতিল নিয়ে তাতে প্রথমেই ডাটা দিয়ে দিলাম।
এবার কাঁঠালের বিচি, আলু এবং শুঁটকি মাছ দিয়ে দিলাম।
এবার পেঁয়াজ কুচি এবং কাঁচামরিচ যোগ করলাম।
এবার একে একে সমস্ত মসলা যোগ করলাম।
এবার পরিমাণ মতো সোয়াবিন তেল দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিলাম।
এবার পরিমাণ মতো পানি দিয়ে বিশ থেকে পঁচিশ মিনিট রান্না করলাম। ঝোল একদমই শুকিয়ে ফেলবো, যাতে খেতে ভালো লাগে। আমাদের সুস্বাদু তরকারি তৈরি, এবার পরিবেশনের পালা।
🍱 পরিবেশন করলাম 🍱
আসলে এই খাবারগুলোকে আমি তৃপ্তিদায়ক খাবার বলে থাকি, কারন হলো পেট ভরে ভাত খাওয়া যায়। যাইহোক আশাকরি এভাবে রান্না করতে অনেকেই পছন্দ করেন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিদায় নিলাম।
ছবি যন্ত্র | রিয়েলমি সি-২৫ |
---|---|
ছবির কারিগর | @emranhasan |
ছবির অবস্থান | ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ। |
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
ভাই আপনি আজ খাঁটি বাঙালি রেসিপি তৈরি করেছেন। আসলে আমিও একজন বাঙালি তাই বাঙালি খাবার খেতে আমার বেশ ভালো লাগে। আর আপনি আজ আমাদের মাঝে ডাটা এবং কাঁঠালের বিচি দিয়ে শুঁটকি মাছ রান্না রেসিপি শেয়ার করেছেন। এ ধরনের রেসিপি খেতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আর আপনার রেসিপির কালারটি দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু এবং মজাদার ছিল।
বাহ! আপনার রান্নার প্রতিটি পোস্ট বেশ আগ্রহের সাথেই পড়ি ভাই। দেখি আর লোভ লেগে যায় প্রতিবার ই! শুটকি দেখে পাবদা মাছে কথা মনে পড়লো! যদিও পাবদা মাছের শুটকি কখনো শুনি নি, নাম যেহেতু জানা নেই, মন যা ভেবেছে, তাতেই সই! কি বলেন 🤭 তবে কাঠালের বিচি দিয়ে লইট্যা শুটকিও আমার ভীষণ পছন্দের খাবার। আর এই রেসিপি টাও বেশ লোভনীয় লাগছে!
ভাইয়া এত রাতে পছন্দের একটি রেসিপি দেখে খিদা লেগে গিয়েছে। কাঁঠালের বিচি ও ডাটা দিয়ে দিয়ে শুঁটকি মাছ রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। অনেক দিন হয়েছে এই রেসিপি তৈরি করা হয় না। তবে কাঁঠালের বিচি মাঝে মাঝেই খাওয়া হয়। কাঁঠালের বিচি দিয়ে যেকোনো রেসিপি তৈরি করলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনার তৈরি করা পুষ্টিকর খাবারের রেসিপি গুলো ভীষণ ভালো লাগে। প্রতিনিয়ত ইউনিক রেসিপি গুলো উপহার দিয়ে চলেছেন। শুঁটকি দিয়ে কাঁঠালের বিচি খাওয়া হয়েছে তবে কখনো ডাটা দিয়ে খাওয়া হয়নি। ডাটা এবং কাঁঠালের বিচি দিয়ে শুঁটকি মাছ রান্নার মজাদার রেসিপি তুলে ধরেছেন। আপনার মাধ্যমে নতুন রেসিপি শিখতে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো। একদমই ঠিক বলেছেন এধরনের খাবার গুলো তৃপ্তিদায়ক। দোয়া রইল সবাই যেনো শোক কাটিয়ে উঠতে পারে। আপনার পরিবারের জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
ডাটা এবং কাঁঠালের বিচি দিয়ে শুঁটকি মাছ রান্নার দারুন পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। কাঁঠালের বিচি দিয়ে বিভিন্ন জিনিস রান্না করলে সেটা খেতে আসলে অনেক ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আজকে আপনি লোভনীয় একটি রেসিপি পোস্ট উপহার দিলেন। ডাটা এবং কাঁঠালের বিচি দিয়ে শুঁটকি মাছ রান্না দেখে লোভে পড়ে গেলাম। কাঁঠালের বিচি আমার অনেক পছন্দ। আপনি রন্ধন প্রণালী খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। আশাকরি আপনি পরিবার নিয়ে জমিয়ে খেয়েছেন। বিশেষ করে গরম ভাতের সঙ্গে খেলে অনেক মজা লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া রেসিপি এবং ফটোগ্রাফি পোস্টগুলো করতে আসলেই খুব ভালো লাগে। তাছাড়া এই পোস্ট গুলো দেখতেও ভালো লাগে। যাই হোক আপনার আজকের রেসিপিটি দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হয়েছে। কাঁঠালের বিচি দিয়ে কখনো শুটকি মাছ খাওয়া হয়নি। কিন্তু কাঁঠালের বিচি এবং শুটকি মাছ দুটি খুব মজাদার খাবার। বোঝা যাচ্ছে দুটির কম্বিনেশনে রেসিপিটি কত বেশি সুস্বাদু হয়েছিল।
কাঁঠালের বিচি যে কোন তরকারীর সাথে মিশ্রণ করে রান্না করলে অনেক বেশি মজাদার হয়। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে ডাটা এবং কাঁঠালের বিচি দিয়ে শুঁটকি মাছ রান্না করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল।আর আপনি ধারাবাহিকভাবে রান্নার প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।
এই দুপুরবেলায় এত মজাদার একটা রেসিপি দেখে তো আমার খুবই লোভ লেগে গিয়েছে। কাঁঠালের বিচি দিয়ে যে কোনো কিছু রান্না করলে আমার কাছে খেতে খুব ভালো লাগে। কারণ কাঁঠালের বিচি আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। ডাটা এবং কাঁঠালের বিচি দিয়ে আপনি শুটকি মাছ রান্না করেছেন, দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। দুপুরবেলা কিন্তু গরম ভাতের সাথে রেসিপিটা বেশ জমিয়ে খাওয়া যাবে। এই রেসিপিটা কেউ যদি কখনো না তৈরি করে থাকে, তাহলে সে তৈরি করতে পারবে আপনার উপস্থাপনা দেখে।