সুস্থতা বনাম অসুস্থতার লড়াই || অসুস্থতার দায়ভার আমাদের উপর বর্তায় 😕
অসুস্থতার দায়ভার আমাদের উপর বর্তায় 😕 |
---|
"আপনি কি সুস্থ আছেন ❓ যদি সুস্থ বোধ করে থাকেন তাহলে কি একটি বার সৃষ্টিকর্তার কাছে বলেছেন ? ধন্যবাদ আমার প্রতিপালক আমাকে সুস্থতা দান করার জন্য।" কারন তিনিই একমাত্র উত্তম ফয়সালাকারী।
আমি জানি হয়তো অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তীব্র গরমে আবার এমন অনেকেই আছেন বিভিন্ন কারণে শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এখানে একটা ব্যাপার হলো আমরা কেন অসুস্থ হচ্ছি আর কেনই বা প্রকৃতির এই বিরুপ প্রতিক্রিয়া, এটা আমরা একটি বারের জন্য চিন্তা করি ? এর উত্তর সবার কাছেই একটাই আসবে না, তেমন কিছু চিন্তা করিনি। অসুস্থ হই ঔষধ খেয়ে সুস্থ থাকার চেষ্টা করি এবং আবারো অসুস্থ হয়ে পরি। যাক আমার আজকের পোস্টের আলোচ্য বিষয় এটাই। সুস্থতা বনাম অসুস্থতার লড়াই।
"সুস্থতা বনাম অসুস্থতার লড়াই"
বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা দুটি কারনে খুব বেশি অসুস্থ হচ্ছি একটি হলো আমাদের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন আর অন্যটি হচ্ছে আবহাওয়ার বিরুপ প্রভাব। প্রথম বিষয়টি হলো আমাদের অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন, তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে আমাদের বিনোদনের অনেক চমৎকার সব মাধ্যম দিন দিন হাতের নাগালে চলে আসছে। এর ফলস্বরূপ অনেকেই রয়েছেন বিভিন্ন মোবাইল গেমস কিংবা সোস্যাল মিডিয়ার প্রতি এতটাই ঝুঁকে পরেছেন যেখানে তাদের ঘুম এবং খাওয়ায় ব্যাপক অনিয়ম খেয়াল করা যায়। একটি সময় পর তাদের বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগতে দেখা যাচ্ছে।
আর অপর কারনটি হচ্ছে আবহাওয়ার বিরুপ প্রভাব। দেখুন চিরন্তন সত্য একটি কথা রয়েছে তা হলো মানুষ মানুষকে ক্ষমা করে দিতে পারে কিন্তু এই প্রকৃতি কখনো ক্ষমা করে না, একটি নির্দিষ্ট সময় পর তার হিসেব কড়ায় গন্ডায় বুঝে নেবে। আজকের এই তীব্র গরম আবহাওয়া এটা মানুষের বিভিন্ন পরিবেশ বিরোধী কাজের ফলে দেখা যাচ্ছে। সামনে হয়তো আরো ভয়াবহ গরম কিংবা প্রাকৃতিক দূর্যোগ দেখা যাবে, যার ফলশ্রুতিতে মানুষ আরো তীব্র অসুস্থতায় কোনঠাসা হয়ে যেতে পারে। তাছাড়াও অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস থেকে বিভিন্ন মারাত্মক রোগ বালাই তৈরি হয়ে যার যা অনেক সময় মহামারী রুপে দেখা যায়। এখানে একটি ব্যাপার হচ্ছে আমরা নিয়ম কানুন কিংবা কতটুকু সচেতনতার সাথে জীবন যাপন করছি এর উপর আমাদের সুস্থতা এবং অসুস্থতা অনেকাংশে নির্ভর করে।
"নিয়ম মানুন আর পরিবেশ নিয়ে ভাবুন"
"সুস্থতার চাবিকাঠি"
"সুস্থতার চাবিকাঠি"
আমাদের সুস্থ থাকলে প্রথমত আমাদের নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করতে হবে। একটু চিন্তা করুন তো আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্মে যারা ছিলেন তারা কিন্তু খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতেন। সমস্ত কাজকর্ম নিজেরাই নিজেদের সর্বোচ্চ কার্যক্ষমতা দিয়ে করতেন আর নিয়মিত পেট ভরে পুষ্টিকর খাবার খেয়ে দিনশেষে সন্ধ্যা পেরুতে না পেরুতেই শান্তির ঘুম ঘুমিয়ে যেতেন। তাদের অসুখ বিসুখ কম ছিল এবং তারা বেশ কর্মঠ মানুষ ছিলেন। আরো একটি বিষয় সৃষ্টিকর্তার প্রতি তারা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতেন বিভিন্নভাবে। আরো একটা বিষয় হয়তো খেয়াল করে থাকবেন তারা যদি কোন কারনে একটি গাছ কাটতেন তাহলে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে দশটি গাছ রোপণ করতেন। আর আজ আমরা সেই গাছপালা কেটে ফেলছি অকাতরে যার ফলশ্রুতিতে আজকের এই চরম দাবদাহ। একটি কথা আমাদের মনে রাখতে হবে পরিবেশ যদি ভালো না থাকে তবে শত চেষ্টা করেও আমরা ভালো থাকতে পারবোনা। তাই আসুন নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করি আর পরিবেশের দিকে খেয়াল রাখি , তাহলেই একমাত্র আমরা সুস্থ থাকতে পারবো।
🪴 পরিশেষ 🪴
আমি জানি আমার আজকের পোস্ট অনেকেই হালকা ভাবে নেবেন আর অনেকেই হয়তো নিছকই একটি পোস্ট মনে করে উড়িয়ে দেবেন। আরে ভাই আমি গত কয়েকদিন থেকেই প্রচন্ড জ্বর নিয়ে অসুস্থ হয়ে বিছানায়, যেখানে পুরো পরিবার আজ একই অবস্থা। গত দু'দিন আমার ছেলে ভীষণ কষ্ট পাচ্ছে জ্বরে, নিজেকে নিজে অসংখ্য বার প্রশ্ন করেছি কেন আজ আমরা অসুস্থ ? ভেতর থেকে যে উত্তরগুলো পেয়েছি তা তীব্র আক্রোশ নিয়ে লিখছি। যদি একজন মানুষ আমার কথাগুলো বুঝতে পারে তাহলেই আমি সার্থক। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিদায় নিলাম।
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1549276356051345412?t=0UdQJlO-O0fEierk7_4uPw&s=19
We cannot walk alone.👣 Resteemed your post
ধন্যবাদ রিস্টীম করার জন্য।
আপনি একদমই সঠিক কথা বলেছেন। হ্যা আর খাওয়া দাওয়া নিয়ম করে না খেলেও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। দোয়া করি আপনার পুরো পরিবারের জন্য যারা অসুস্থ আছেন। আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো হয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ 🤲
ধন্যবাদ লিমন, আসলে নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন না করলে মানুষ বেশি অসুস্থ হয় ।
আর আরো একটা বিষয় হলো পরিবেশের বিরুপ প্রতিক্রিয়া।