বাচ্চাদের মোবাইল ফোনে আসক্তি || কিভাবে সামলাবেন তাদের?
কিভাবে সামলাবেন তাদের? |
---|
এখনকার বাচ্চারা একটু অন্যরকম, মাঝে মাঝেই ভীষণ জেদ করতে থাকে। আমরাও তাকে মানাতে আমাদের মোবাইল ফোনটি হাতে দিয়ে দেই। সেই ছোট্ট কোমলমতি শিশু সে যেন হাতে মজার একটি জিনিস পেয়েছে। এভাবেই দিনগুলো চলতে থাকে আর সেই শিশুটি ধীরে ধীরে ভীষণভাবে মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পরে। আজকাল আর সে তেমন খেলতে চায় না, যখনই সুযোগ পায় তখনই তার প্রিয় গেমস কিংবা ভিডিও দেখে চলেছে। মা মনে মনে খুশি কারন শিশুটি আর আগের মতো বিরক্ত করে না।
এভাবেই কেটে যায় কিছুদিন, শিশুটি কেমন যেন বদলে যেতে থাকে। সে এখন আর মোবাইল ফোনটি এক মুহুর্ত হাতছাড়া করতে চায় না, ভীষণ বিরক্ত আর জেদ করতে থাকে। দিন কয়েক থেকে সে তার চোখ কচলাতে থাকে বেশি, তাছাড়াও ভীষণ জেদি হয়ে উঠেছে। এবার বাবা মায়ের চিন্তা বাড়তে থাকে। তাকে ডাক্তারের কাছে নেয়ার পর তার চোখের মারাত্মক সমস্যা ধরা পরে এবং তার আচরণে ভীষণ পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। সে কারোর কথা শুনতে নারাজ।
দেখুন বাচ্চারা কোমলমতি, এবং তারা সত্যিই ভালো মন্দের ফারাক বোঝেনা। আপনারা তাকে সময় না দিয়ে তার হাতে মোবাইল ফোন তুলে দিয়েছেন, সে দিন দিন সেই বস্তুটাকে তার প্রিয় বন্ধু বানিয়ে ফেলেছে। এমন অনেকেই রয়েছেন মোবাইল দেখিয়ে বাচ্চাদের খাবার খাওয়ান, আপনি জানেন কি আপনার বাচ্চা এতে খাবারের স্বাদ বুঝতে পারেনা। একটা সময় পর তার কাছ থেকে আপনি যদি ফোন কেড়ে নিতে চান, সে কখনো তার হাতছাড়া করতে রাজি হয়না। লুকিয়ে কিংবা জেদ করে তার সেই প্রিয় মোবাইলটি চাই এ চাই। আপনি দেখবেন এখন আর সে বাইরে খেলতে যেতে রাজি নয় কিংবা বন্ধুদের সময় দিতে রাজি নয়। একটা সময় এই শিশুটি মানসিকভাবে ভীষণ অসুস্থ হয়ে পরবে।
শিশুদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করতে হবে এবং তাদের সময় দিতে হবে। বাসায় খেলার সামগ্রী রাখতে হবে, তাছাড়াও বাইরে বন্ধুদের সাথে খেলতে যাবার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। বিভিন্ন সৃজনশীল কাজ যেমন ছবি আঁকা, কোন কিছু তৈরি করা এধরনের কাজগুলোতে তাকে উৎসাহ দিতে হবে। মাঝে মাঝেই তাদের সুন্দর কাজগুলোর জন্য পুরষ্কার দিতে পারেন। আর বেশ কিছু চমৎকার গল্পের বই কিনে দেবেন যাতে তারা মজার মজার গল্প পড়ে জ্ঞান আহরণ করতে পারে। এভাবেই ধীরে ধীরে আপনার সন্তান একজন সুস্থ, স্বাভাবিক এবং চমৎকার মানুষ হয়ে উঠবে।
সকল বাচ্চাদের জন্য শুভকামনা রইলো 🤗
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1622998188474130433?t=OlAlTV1YO0jAhb8OkAVryQ&s=19
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন ভাইয়া আজকে এই পোস্টটি অনেকের জন্য উপকারী হবে।ঠিক বলছেন আজ কালকার বাচ্চাগুলো এমন মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে গেছে বলার মতো না।দিন যত ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে তত বেশি বাচ্চাদের জন্য ঝুঁকি হয়ে যাচ্ছে।আসলে ঠিক বলছেন বাচ্চাদের সাথে বন্ধুত্ব সুলভ আচরণ এবং সময় দিলে এমন ঝুঁকি হাত থেকে এড়ানো সম্ভব।আশা করি সবার কাজে আসবে আপনার মূল্যবান কথাগুলো।
আপনি বর্তমান সময়ে খুব বাস্তব একটি বিষয় উপস্থাপন করেছেন । আসলে বর্তমান প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা মোবাইল ছাড়া কোন কিছুই বুঝে না । তাদের মোবাইল ছাড়া সামলানো খুবই কষ্ট সাধ্য। কোমলমতি বাচ্চাদের সাথে বাবা মায়ের সময় দেওয়া তাদের সাথে সুন্দর কথার মাধ্যমে হয়তো এ ধরনের সমস্যা কিছুটা সমাধান হবে। এই বিষয়ে আলোকপাত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
মনে হচ্ছে আপনিও এই সমস্যা সাফার করেছেন। আমার ছেলেটিও কিছুদিন আগে এ্মন মোবাইল আসক্ত হয়ে পড়েছিল। আপনার পর্যবেক্ষনগুলো একেবারেই সঠিক প্রতিটি বক্তব্যই মিলে গেছে। আসলে বাবা মারা একটু ঝামেলা এরানোর জন্য শিশুদের অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলে এভাবে শিশুদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে দিয়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই দারুন একটা বিষয় শেয়ার করার জন্য।
সত্যিই ভাই , কিছুটা অভিজ্ঞতা আমারও হয়েছে। তাই বাসায় কিছুটা পরিবর্তন এনেছি, আর ওদের দিকে খেয়াল করার চেষ্টা করছি। আপনার সন্তানের জন্য দোয়া রইল। ♥️
আপনি বর্তমান সময়ে অনেক মূল্যবান একটি পোস্ট করেছেন। তবে এখন কার বাচ্চাদেরকে খাবার খাওয়াতে মোবাইল দিয়ে থাকে। আসলে মোবাইল থেকে বাচ্চাদের দূরে রাখা দরকার। তবে আপনি অনেক সত্য কথা বলেছেন। বাচ্চাদের বাইরের বন্ধুদের সাথে খেলা করতে দিতে হবে এবং গল্পের বই ও বিভিন্ন ধরনের কাগজ দিয়ে জিনিস বানাতে দিতে হবে। এবং বাচ্চাদের সাথে বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করতে হবে। খুব সুন্দর মূল্যবান পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।