বাস্তব জীবনের গল্প :-( সর্বোনাশা টিকটক যখন জীবনের কাল || পর্ব- ০৬

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

বাস্তব জীবনের গল্প :-(
সর্বোনাশা টিকটক যখন জীবনের কাল
পর্ব- ০৬

female-4983032_640.jpg

সংগ্রহশালা

🍄 সুত্রপাত 🍄


সবার প্রতি সম্মান প্রদর্শন পূর্বক শুরু করছি। আশাকরি ভালো আছেন। আমি আবারো বাস্তব জীবনের গল্প :-( সর্বোনাশা টিকটক যখন জীবনের কাল পর্ব-৬ নিয়ে হাজির হলাম। আগের পাঁচটি পর্বে আপনাদের বেশ সাড়া পেয়েছি। অনেকে বেশ আগ্রহ নিয়ে পরের পর্বের অপেক্ষায় রয়েছেন। আসলে গল্পটি হচ্ছে আমার এক আত্মীয়ের বাস্তব জীবনের গল্প যেখানে সে সর্বোনাশা টিকটকের ফাঁদে পরে তার জীবনের বড় বিপদ ডেকে আনে এবং অবশেষে কাতারে পারি জমায়। চলুন পর্ব-৬ শুরু করি।

সর্বোনাশা টিকটক যখন জীবনের কাল


গত পর্বে আপনারা জেনেছেন সুইটির স্বামী শাহীন একমাত্র সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে সুইটিকে উদ্ধার করার জন্য চেষ্টায় নেমেছে। শাহীন তার এক বন্ধু এবং সেই দালালকে সাথে নিয়ে সুইটি যে বাসায় রয়েছে সেখানে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। এরপর শাহীন সেই দজ্জাল সুদানী মহিলার কাছে তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রস্তাব রাখে কিন্তু সেই মহিলা বেশ ক্ষেপে যায়। সে জানায় সুইটির পেছনে তার বড় বিনিয়োগ হয়েছে তাকে সে ছাড়বে না আর তার কাজের মহিলা নেই। সেদিন অমিমাংসিত অবস্থায় শাহীনরা চলে যেতে বাধ্য হয়। শাহীনরা ওখান থেকে যাওয়ার পর পরই সুইটির উপর বেশ চড়াও হয় সুদানী মহিলা। সুইটি কঁকিয়ে ওঠে ব্যাথায়। সারারাত ঘুমাতে পারিনি সে। পরদিন আবার যথারিতী অমানসিক পরিশ্রম করতে থাকে। এদিকে সুইটি খেয়াল করছিল ঐ সুদানি মহিলার ভাই বেশ লোলুপ দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে একটু সুযোগ পেলেই তার উপর পাশবিক নির্যাতন শুরু হতে পারে। তাই সে শাহীনকে বারবার তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য অনুরোধ করতে থাকে আর তার বাচ্চাদের দোহাই দিতে থাকে।

face-5450354_640.jpg

সংগ্রহশালা

শাহীন দিশেহারা হয়ে পড়ে এবং তার বন্ধু লিটনকে বলে কি করা যায় ? এবার তারা ঐ দালালের কাছে আবার যায় এবং বেশ উগ্রতা দেখিয়ে বলে যদি দুই একদিনের মধ্যে তাকে দেশে পাঠানোর ব্যাবস্থা না করে তাহলে তাকে মেরে প্যাকেট করে দেশে পাঠিয়ে দেবে এবং মামলার ভয় দেখায়। আসলে কাতারে পুলিশ এবং আইন ভীষণ কড়া কেউ চাইলে বেশিক্ষণ পালিয়ে থাকতে পারে না। তাই ঐ দালালের আর উপায় ছিলোনা। সে তার সেই ম্যাডামের সাথে কথা বলে এবং সুইটিকে ছেড়ে দিতে বলে। না হলে পরিস্থিতি খারাপ হবে বলে জানায়। তখন সেই মহিলা শাহীনদের তার বাসায় আসতে বলে আলোচনার জন্য। ঐদিন সন্ধ্যায় আবার ম্যাডামের বাসায় একত্রিত হয় সবাই। এবার সুদানী মহিলা তাদের কাছে তিন লাখ টাকা দাবি করে বলে তার এতগুলো টাকা খরচ হয়েছে সুইটির পেছনে। শাহীন যেন আকাশ থেকে পড়ল। আসলে বেশ মোটা অংকের টাকা খেয়েছে ঐ দালাল। তাছাড়া সুইটিটে কাতারে আসার জন্য উদ্বুদ্ধ করার জন্য বেশ কিছু টাকা ঢেলেছে সে। সুদানী মহিলা একদমই সাফ জানিয়ে দেয় টাকা দাও তোমাদের লোক নিয়ে যাও। অবশেষে শাহীন বুঝতে পারলো এছাড়া আর উপায় নেই। সে টাকা দিতে রাজি হয় এবং বলে তারা দ্রুত টাকা যোগাড় করে সুইটিকে নিয়ে যাবে। শাহীন অনুরোধ করে যাতে তার উপর আর কোন অত্যাচার যেন আর না চালানো হয়। শাহীন কাতারে ছোট্ট একটি চাকরি করে, খুব বেশি বেতন সে পায়না। সে এখন এতো গুলো টাকা কোথায় পাবে ? বেশ আকাশ পাতাল চিন্তা করতে থাকে শাহীন।

" চলবে "

Sort:  
 2 years ago 

সুইটিকে বাঁচানোর জন্য শাহীন এর পরবর্তী পদক্ষেপ পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি শিঘ্রই এর পরের পর্ব হাজির করবেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই। ভালবাসা নিবেন।

 2 years ago 

আপনার গল্পটা আমার কাছে বেশ ভালো লাগে ভাই। আসলে নিজের ভুলের জন্য স্বামীর প্রাচিত্ত করতে হয়। আসলে এরকম পরিস্থিতিতে আমাদের দেশে অনেকেই পড়ে। তবে আপনি খুব সুন্দর করে গুছিয়ে গল্প লেখেন পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

 2 years ago 

দুঃখিত ভাই আমি সত্যি কিছুটা হতাশ হলাম, এতো ছোট এবং অল্প লেখা আপনার নিকট হতে প্রত্যাশীত না। ধারাবাহিক গল্প হতে আরো বড় করতে হবে লেখা, না হলে আমরা বুঝবো একটা লেখাকে অথবা একটা পর্বকে বড় করার জন্য এতো ছোট ছোট পোষ্ট করছেন। আশা করছি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

 2 years ago 

ধন্যবাদ ভাই মন্তব্যের জন্য।
আসলে গল্পটির এক একটি ধাপ রয়েছে। হয়তো এই ধাপে কিছুটা কম লিখা পড়তে পারে। তবুও মূল গল্পে ৩০০ শব্দের অধিক রয়েছে হাফিজ ভাই। যদি দয়া করে একটু দেখতেন।

 2 years ago 

আমি এক কথাতেই বলব আপনি একটি জনসচেতন মূলক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বর্তমানের টিকটক তো একটি অভিশাপ রূপ ধারণ করেছে বাংলাদেশের জন্য।

 2 years ago 

ধন্যবাদ ভাই মন্তব্যের জন্য।
সত্যিই ভাই এই অপসংস্কৃতি আমাদের শেষ করে ফেলেছে।
এখনি সচেতন হতে হবে।

 2 years ago 

শাহিন এতগুলো টাকার যোগান কিভাবে দিবে এবং কিভাবেই বা তার স্ত্রীকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাবে কৌতুহল যেন বেড়ে গেল।

 2 years ago 

আসলে নিজের স্ত্রীকে বিপদের মধ্যে দেখলে স্বামী তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। তবে শাহীন শেষ পর্যন্ত পেরেছিল।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 60085.46
ETH 2416.33
USDT 1.00
SBD 2.43