বাঙালি রেসিপি: কাঁচা কলা দিয়ে রুই মাছের তরকারি।
কাঁচা কলা দিয়ে রুই মাছের তরকারি |
---|
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। আমরা বাঙালিরা খেতে ভীষণ পছন্দ করি, তাইতো মাঝে মাঝেই বিভিন্ন রকম সুস্বাদু খাবারের আয়োজন করে থাকি। আমি আবার স্বাদের সাথে সাথে পুষ্টির দিকটাতে জোর দিয়ে থাকি বেশি। আমার বাসায় সপ্তাহে অন্তত চার থেকে পাঁচ দিন সবজি এবং মাছ রান্না করা হয়। আসলে কাঁচা কলা ভীষণ পুষ্টিকর একটি সবজি এবং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রে সরাসরি কাজ করে। তাই এ সবজিটি মাঝে মাঝে রান্না করে খাওয়া হয়। আজকে রুই মাছ দিয়ে কাঁচা কলা রান্না করে দেখাবো। খাবারটি তৈরি করা খুব সহজ এবং খেতেও দারুন। তো চলুন শুরু করা যাক আমার আজকের রেসিপি।
কাঁচা কলা | এক হালি | রুই মাছ | ৩০০ গ্রাম |
---|---|---|---|
দেশি আলু | ২০০ গ্রাম | পেঁয়াজ কুচি | এক কাপ |
হলুদ গুঁড়া | এক চামচ | কাঁচা মরিচ | স্বাদমতো |
জিরা গুঁড়া | এক চামচ | রসুন বাটা | এক চামচ |
লবণ | স্বাদমতো | সোয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
প্রথমেই কাঁচা কলা খোসা ছাড়িয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে ধুয়ে নিলাম এবং একটি বাটিতে উঠিয়ে নিলাম। এরপর দেশি আলু গুলো খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে কেটে আরেকটি বাটিতে উঠিয়ে নিলাম।
এরপর রুই মাছ কেটে টুকরো করে নিলাম এবং ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিলাম। এরপর একটি মাটির প্লেটে উঠিয়ে রাখলাম। এরপর মাছের টুকরো গুলোর মধ্যে সামান্য হলুদ মরিচ এবং লবণ দিয়ে মাখিয়ে নিলাম।
এবার মাছের টুকরো গুলোকে ভালোভাবে ভেজে নিলাম, এরপর একটি প্লেটে উঠিয়ে নিলাম।
এবার একটি পাতিলে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিলাম এবং বাদামি রঙের করে ভেজে নিলাম।
এবার পেঁয়াজ ভাজার মধ্যে সমস্ত মসলা একে একে দিয়ে দিলাম। তারপর সমস্ত মসলা ভালোভাবে কষিয়ে নিলাম।
এই ধাপে দেশি আলু এবং কাঁচা কলার টুকরোগুলো দিয়ে ভালোভাবে মসলার সাথে মাখিয়ে নিলাম। এরপর কিছুটা সময় নিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিলাম।
এই ধাপে পরিমাণ মতো ঝোল দিয়ে দিলাম। এরপর পূর্বে ভেজে রাখা মাছের টুকরোগুলো এবং স্বাদমতো কাঁচা মরিচ দিয়ে দিলাম। এরপর তরকারিটি ২০ থেকে ২৫ মিনিট মধ্যম আঁচে রান্না করলাম। ঝোল একদমই শুকিয়ে এলে চুলা বন্ধ করে দিলাম। আমাদের সুস্বাদু তরকারি তৈরি হয়ে গেছে। এবার পরিবেশনের পালা।
🍱 পরিবেশন করলাম 🍱
আসলে এ ধরনের তরকারি গুলোকে আমি তৃপ্তিদায়ক খাবার বলে থাকি। কারণ এই তরকারি দিয়ে বেশ পেট ভরে ভাত খাওয়া যায়। আমরা বেশ তৃপ্তির সাথে খাবারটি উপভোগ করলাম।
আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আশা করি মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি।
ছবি যন্ত্র | রিয়েলমি সি-২৫ |
---|---|
ছবির কারিগর | @emranhasan |
ছবির অবস্থান | ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ। |
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
রুই মাছ আমার কমই খাওয়া হয়।আর খাওয়া হলে ভুনা করেই খেয়ে থাকি।আপনি কাঁচাকলা দিয়ে রান্না করলেন।খেতে খুব স্বাদের হয়েছিল আশাকরি।আপনি রান্নার ধাপগুলো খুব চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছেন। কাঁচাকলায় প্রচুর আয়রন আছে।খুব উপকারী সবজি এটা।ইলিশ মাছ দিয়ে কাঁচাকলা রান্না আমার ভীষণ পছন্দ। তাই ইলিশ মাছ আনা হলেই কাঁচাকলা দিয়ে ঝোল করি।ধন্যবাদ ভাইয়া কাঁচাকলা দিয়ে রুই মাছের মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।
ইলিশ মাছের যে দাম 😔
কি আর করা, আমাদের রুই মাছ দিয়ে চালিয়ে দিতে হয়।
আপনার রেসিপি পোস্ট গুলো একটু বেশি ভালো লাগে। কারন হচ্ছে আপনি চমৎকার উপস্থাপনের মাধ্যমে রেসিপি পোস্ট গুলোকে ফুটিয়ে তুলেন। রুই মাছ আমার খুব পছন্দের একটি মাছ। যে কোন সবজি দিয়ে রান্না করে খেতে ভীষণ সুস্বাদু লাগে। আপনি কাঁচা কলা দিয়ে রান্না করেছেন পুষ্টিকর খাবার বটে। এধরনের খাবার গুলো জমিয়ে খাওয়া যায়। আপনার রেসিপি পরিবেশন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকবেন।
পুষ্টিগুণে ভরা কাঁচকলা দিয়ে রুই মাছের মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। আসলে আপনার এই রেসিপির পরিবেশন দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। আর এটি অনেক পুষ্টি উপাদানের ভরপুর। কাঁচকলা শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
কাঁচা কলা খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। যে কোন মাছ দিয়ে রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। ভাইয়া আপনি এত সুন্দর করে এই রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল।
কাঁচা কলার তরকারি খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে আমার কাছে। আপনি আজ কাঁচা কলা দিয়ে রুই মাছের রেসিপি শেয়ার করেছেন ।যা দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে ।আশা করি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল । রেসিপির ধাপগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি একটি বিষয় জেনে খুশি হলাম আপনি পুষ্টির দিকে একটু বেশি জোর দিয়ে থাকেন। কাঁচা কলা দিয়ে রুই মাছের তরকারি আমার অনেক পছন্দের, বিশেষ করে কাঁচা কলা খেতে অনেক ভাল লাগে আমার কাছে। শরীরে সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা দরকার। আজকে আপনার পোস্ট থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাল থাকবেন ভাই।
কাঁচা কলা দিয়ে রুই মাছের খুবই সুন্দর রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। কাঁচা কলা দিয়ে তৈরি করা রেসিপি গুলো খেতে আসলেই অনেক বেশি ভালো লাগে। কাঁচা কলার রেসিপি গুলো আমার প্রিয় রেসিপি গুলোর মধ্যে একটা।
কাঁচা কলার সম্বন্ধে খুব সুন্দর একটি মাছের রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার সুন্দর এই রেসিপি দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। রেসিপি তৈরির ধাপ গুলো খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন এ পোস্টের মাঝে। চমৎকার ছিলো আপনার রেসিপি।
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1770113078874792421?t=nfj_-BSSooiMaAxGLMmFNQ&s=19