আজ - সোমবার

🌺 চলুন শুরু করি 🌺

আসসালামুয়ালিকুম প্রিয় বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি। আমি বাংলাদেশ থেকে ইমন আজকে নতুন একটি পোস্টে আপনাদের সবাইকে আবারও স্বাগতম জানাচ্ছি

source

আমার জীবনে আমি আম, জাম, কাঁঠাল, কলা লেবু যেটাই বলেন জীবনে অনেক গাছ থেকে পেরেছি এবং খেয়েওছি। আসলে গাছ থেকে কোন ফল পেড়ে খাওয়ার মধ্যে অন্যরকম একটা প্রশান্তি পাওয়া যায়। এবং সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে যদি আম গাছে ওঠা যায় সে ক্ষেত্রে সবচেয়ে সুন্দর এবং পাকা আমটা পেড়ে নিজে খাওয়া যায়। আপনারা যদি কোনদিন আম গাছ অথবা জাম গাছে উঠে এভাবে গাছ থেকে সরাসরি আম পেড়ে খেয়ে থাকেন তাহলে এটার মজাটা অবশ্যই উপলব্ধি করতে পারবেন। আমার জীবনে আম গাছ থেকে পড়ে যাওয়ার একটা ভয়ানক অভিজ্ঞতা রয়েছে । আজকে ভাবলাম এই অভিজ্ঞতাটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। অভিজ্ঞতাটা যদিও একটু ইন্টারেস্টিং তবে এটা আমার জীবনের মোড় অনেকটাই ঘুরিয়ে দিয়েছিল। তবে চলুন প্রথম থেকে শুরু করি, এমনিতেই আমরা আম জাম কাঁঠাল কলা এগুলো তেমন একটা কিনে খায় না কারণ আমাদের একটা বাগান রয়েছে যেখানে প্রায় ৮ থেকে ৯ টা আম গাছ । ৩ থেকে ৪ জাম গাছ এবং কাঁঠাল গাছ রয়েছে।

source

এর জন্য ছোটবেলা থেকেই গাছে উঠতাম এবং ওগুলো গাছ থেকে পেড়ে সবচেয়ে সেরা গুলো বেছে ,বেছে খেতাম। দিনটা ছিল রবিবার আম্মু হঠাৎ করে বলল যে ইমন আম গাছ থেকে কিছু আম পেড়ে নিয়ে আসতো , তোর ছোট বোনদের বাড়িতে কয়েকটা আম দেওয়া দরকার। আসলে আমার ছোট বোনটা অর্থাৎ ইমা ওর বিয়ে হয়েছে আমাদের পাশের গ্রামেই নাম হচ্ছে ষোলটাকা আমাদের বাড়ি থেকে ষোলটাকার দূরত্ব ২ থেকে ৩ কিলোমিটার এর বেশি না। তো যার কারণে আম্মু ফলমূল থেকে শুরু করে সবকিছুই ওদের দিয়ে থাকে এবং হাতের নাগালে হওয়ার কারণে এই ক্ষেত্রে আমাদের একটু সুবিধা হয়েছে । আম্মু যেহেতু বলল যে আম পেড়ে আনার জন্য তাই আম্মুর কথা তো আর ফেলতে পারি না। তা আমি বললাম আম্মু ঠিক আছে আমি এবং সজীব দুজনে মিলে গেলাম। একা, একা যেতে তেমন একটা ভালো লাগছে না । আম্মু বলল ঠিক আছে তাহলে তাড়াতাড়ি ফিরে আসিস। আপনাদের মাঝে ছোট্ট করে সজীবের পরিচয় দেই ।‌ সজীব সম্পর্কে আমার আংকেল হয়।

source

সজীবের বয়স তখন একটা বেশি না 16 থেকে 17 বলা যায় তখন আমার বয়সেই। যেহেতু দুজনে সমান বয়সী ছিলাম তাই দুজনের মধ্য মিল মোহাব্বত একটু বেশি ছিল । তো এই কারণেই ওকে সঙ্গে করে নিয়ে গেছিলাম। ‌ তো তারপরে সজীব একটা গাছে উঠলো এবং আমি একটা গাছে উঠলাম আর যে ডাকরো এবং পাকা আমগুলো রয়েছে ওগুলো ব্যাগে করে পারতে শুরু করলাম। ‌ তো হঠাৎ করে আমার নজর চলে গেল একটা গাছপাকা আমের দিকে। এখন সমস্যা হচ্ছে আমটা ছিল একবারে গাছের মগডালে যার কারণে ওটা গাছ থেকে পাড়া একটু রিস্ক ছিল। তো আমি মনে বিশ্বাস নিয়ে ভাবলাম কিছু হবে না, উঠে পরলাম মগডালে। তারপরে যখন হাত দিয়ে পাড়তে যাব তখন একদম মরমর করে ভেঙ্গে পড়ে গেল ডাল এবং ডালের সঙ্গে আমিও নিচে পড়ে গেলাম। আসলে দুর্ভাগ্যবশত সেদিন একটা একটা ইটের দেয়ালের উপরে পড়েছিলাম আর দেয়ালের উপরে ছিল অনেকগুলো পেরেক।

source

সেদিন গায়ের ভিতর অনেকগুলো পেরেক ঢুকে গিয়েছিল এবং সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল আমার হাত এবং বুক, এক্সিডেন্টটা হওয়ার সাথে, সাথে আশপাশ থেকে মানুষ এসে আমার মাথায় পানি দিতে শুরু করেছিল এবং কিছুক্ষণের মধ্যে যখন হসপিটালে তোলা হলো তখন ওখানে গিয়ে ওরা ওদের মতো ট্রিটমেন্ট করল। তারপর থেকে অনেক এন্টিবেটিক ট্যাবলেট খেয়েছিলাম যার কারণে শরীর অনেকটাই শুকিয়ে গিয়েছিল এবং দীর্ঘমেয়াদী একটা গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল যেটা আজ পর্যন্ত ঠিক হয়নি। আম তো খাওয়া হলোই না উল্টো হসপিটালে উঠতে হল ,‌হাহাহা‌ 🤭 তো যাই হোক গাছে উঠতে হলে অবশ্যই আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। তা না হলে হয়তোবা একটা এক্সিডেন্টের জন্য সারা জীবন‌ পস্তাতে হতে পারে। তো আজকে ছিল এ পর্যন্তই গল্পটা কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। সবাইকে শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা জানিয়ে এখানেই শেষ করছি।

🫂ধন্যবাদ!!!🤵

ব্লগার	@emonv

[[🔉‌‌প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]👩‍💻"ইমন ব্লগ"👩‍💻 এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক🏫 । আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy