পুরানো সেই মুহূর্তগুলো || ১০% আমাদের সবার প্রিয় @shyfox এর জন্য
🥰আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যেরা🥰
আমি বাংলাদেশ থেকে @emonv
আজ শুক্রবার , আগস্ট ১৯/২০২২
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন আমিও অনেক ভালো আছি আজকে আমাদের এদিকে টুপটাপ করে সারাদিন বৃষ্টি লেগেই রয়েছে আর সারাদিনটাই ঘরে রয়েছি আজকে ছোটবেলার কথাগুলো অনেক মনে পড়ছিল আজকে যখন মোবাইলে মুভি দেখছিলাম তখন ছেলেবেলায় সাদাকালো টিভিতে মুভি দেখার কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল এখন ভেবে অবাক লাগে যে এক সময় আমরা সাদা কালো টিভিতে মুভি দেখার জন্য এমনো হয়েছে সারারাত বসে থাকতাম। আসলে তখনকার ভিতরে অন্যরকম একটা মজা ছিল এখন প্রযুক্তির উন্নতির দৌলতে আমরা হাতের কাছে সবকিছুই পেয়ে যাচ্ছি কিন্তু পুরনো দিনে এই কাজগুলো করা এত সহজ ছিল না। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার মামার বাড়িতে একটা সাদা কালো টিভি ছিল তখন ওই টিভিতে মিনা মিঠু হত আমরা ভাই বোন এবং আমার পরিবারের যারা আমার বয়সী ছিল এবং আমার থেকে ছোট এবং বড় যারা রয়েছে সবাই মিলে আমরা একসঙ্গে মিনা মিঠু দেখতাম এছাড়াও মনে আছে, চলছে গাড়ি চিচিং পুরে এই কাটুনটিও হতো সেটিও খুব মনোযোগ দিয়ে দেখতাম তখন কি জানি ওর ভিতরে যে কি মজা থাকতো এখন সেটার বুঝতে পারি না 🤭☺️
image sourcehere
তখনকার কথাগুলো মনে আসলে এখন অনেক হাসি পায় যেমন আমার মামার টেলিভিশনে সামান্য একটু সমস্যা ছিল মাঝেমধ্যেও ডিসপ্লেতে কাজ করতো না তখন আমার পাশ থেকে কোন কিছু আঘাত করলে আবার ঠিক হয়ে যেত ☺️ তো এই কথাগুলো ভাবলে আসলে অনেক মজা পাই। এছাড়াও এখন ডিস লাইন হয়েছে তখন কোন ডিস লাইন ছিল না তখন একটা বাঁশের উপরে একটা ইন্টিনিয়ার ঝুলিয়ে দিলে তা থেকে তার টিভিতে কানেক্ট করতে হতো এবং খুব সহজেই অনেকগুলো চ্যানেল দেখা যেত কিন্তু বর্তমানে প্রত্যেকটা বাড়িতেই ডিস লাইন হয়ে গেছে এখন ডিস লাইনের পাশাপাশি ওয়াইফাই লাইনও হয়েছে এর জন্য অবশ্য উপকারই হয়েছে। ওয়াইফাই লাইন এর কথা যখন উঠে এলো তখন এটা নিয়ে একটা মজার ঘটনা বলি আমি প্রায় এক থেকে দেড় বছর স্টিমিট এ রয়েছি তখন স্টিমিট সম্পর্কে আমার তেমন একটা ভালো ধারণা ছিল না তো কিছুদিন স্টিমেটে কাজ করার পরে স্টিমিট থেকে কিছু ভোট পাই এবং তখন প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন এসবিডি এর মত হয়েছিল তখন আমি ভেবেছিলাম যে একবার উইথড্র করে দেখি কি হয় তো এর একটা মূল কারণ ছিল আমি যেহেতু গ্রামাঞ্চলে বসবাস করি তাই এদিকে ইন্টারনেট স্পিডের সমস্যা প্রতিনিয়তই হয় আমার মোবাইল ৪ জি হওয়া সত্বেও শুধুমাত্র লোড নেই।
image sourcehere
তো এরপর যখন প্রথম স্টিম উইড্র করি তখন আমাদের এলাকার একটা বড় ভাই আমাকে এক্সচেঞ্জ করে দিয়েছিল তখন আসলে এই এক্সচেঞ্জ বিষয়টি সম্পর্কে আমি তেমন একটা বুঝতাম না আমি বুঝতাম শুধুমাত্র এবং বিকাশে টাকা চলে আসবে আসলে আমি যখন অনলাইন জগতে টুকটাক বোঝা শিখি তখন এ বিষয়টি দেখে এসেছি বিকাশে টাকা নেওয়া যেত তো এটা যে একটি ব্লক চেঞ্জ এবং এর সিস্টেমগুলো পুরোটাই আলাদা তখন এর আগাগোড়া কিছুই বুঝতাম না। তো যাই হোক এক পর্যায়ে বড় ভাই আমাকে সাহায্য করে এবং আমার স্টিমগুলো উইথড্র করে দেয় তো তখন প্রায় ২৭০০ টাকার মত হয়েছিল টাকাটা হাতে পাওয়ার পরে আমার মাথায় প্রথম চিন্তা আসলো এবার বাড়িতে একটা ওয়াইফাই নিতে হবে কেননা মোবাইল ডাটা দিয়ে কাজ করা আসলেই অনেক কষ্টের এটা বলার মন কারণ হচ্ছে গ্রাম অঞ্চলে ইন্টারনেট স্পিড নেই বললেই চলে আর যদি থাকে তা হল মাঠে অথবা রাস্তাঘাটে তো সব সময় তো রাস্তাঘাটে থাকা সম্ভব হয় না এই জন্য এটা আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তারপর জানতে পারলাম রাউটার থেকে রাউটারে ইথার লাইন নেওয়া যায় তো আমার আঙ্কেলের বাসায় ওয়াইফাই ছিল আমি ভাবলাম যেহেতু এটা নেয়া যায় তাহলে আর মেন লাইন থেকে নেওয়ার কি প্রয়োজন আমি আঙ্কেলকে বললেই আঙ্কেল দিয়ে দিবে।
image sourcehere
এবার আংকেল কে বললাম আঙ্কেল এমন, এমন বিষয় রাউটার থেকে নাকি রাউটার লাইন নেওয়া যায় তো আপনার রাউটার থেকে আমার রাউটারে লাইন নেওয়ার প্রয়োজন মাস শেষে বিল না হয় দুইজন অর্ধেক করে দিব কি বলেন, তো আঙ্কেল বলল আমি তো এমনিতেই বাসায় থাকি না এটা হলে ভালোই হবে তো তারপরে আমাদের এলাকার বামন্দী নামে একটি শহর থেকে আমার রাউটারটা ক্রয় করে আনি রাউটারের মডেল টা ছিল টেন্ডা এফ৬ , তো এটা কিনেছিলাম আর প্রয়োজন মতো তার কিনেছিলাম এরপর একজন ওয়াইফাই প্রোভাইডার এর কাছ থেকে ইউএসবি লাইনটা করে নিলাম এবার যখন কানেক্ট করি তখনই চলতে শুরু করে দিল এখানে আইপি সেট করার কোন ঝামেলাই নেই, তো এই বিষয়টা আমাকে অনেক আশ্চর্য করেছিল। তারপর থেকে তেমন একটা সমস্যা হয় না এখন মোটামুটি স্বস্তির সাথেই কাজ করে যেতে পারি। তো পুরোনো এই মুহূর্তগুলো ভাবলে আসলেই অনেক ভালো লাগে আবার এমন এমন কিছু মুহূর্ত ছিল যেগুলো ভাবলে আসলে হাসিও লাগে তো সব মিলিয়ে অনুভূতিগুলো বার,বার স্মরণ করতে মন চায়। আজকে এই পর্যন্তই পরবর্তীতে নতুন পোস্ট নিয়ে আবার দেখা হবে ততক্ষণ সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।
- ১০% বেনিফিসার প্রিয় @shy-fox কে দেওয়া হয়েছে।
🫂ধন্যবাদ!!!🤵
ব্লগার | @emonv |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix hot 11s |
[[🔉প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]👩💻"ইমন ব্লগ"👩💻 এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক🏫 শিক্ষার্থী। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।
ভাই আপনার বিষয়গুলো পড়ে আমারও সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। কত এন্টেনাটা ঘুরিয়েছি কতবার যে বাড়ির ছাদে উঠেছি আর নেমেছি সব ঠিক আছে এই চলে আসে এই চলে যায় সব মিলিয়ে আসলে ওই মুহূর্ত গুলা অনেক মজার ছিল অনেক আনন্দের ছিল। তবে আপনি যেরকম প্রথম ২৭০০ টাকা স্টিম থেকে পেয়ে যে উচ্ছ্বাসিত ও আনন্দিত হয়েছেন আমিও সেই রকম উচ্ছ্বাসিত ও আনন্দিত হয়েছিল। যাই হোক পড়ে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে অতীতের টিভি দেখার অনুভূতি গুলো মনে পড়লে আমারও হাসি আসে। আমরা পাড়াগাঁয়ের অনেকজন মিলে একত্রে টিভি দেখতাম। আর বাংলাদেশের সিনেমার দৃশ্য তেমন ভালো নয়, ঝিলমিল হতো। আমরা মনে করতাম এন্টিনারের সমস্যা তাই এন্টিনার ঘুরিয়ে বেড়াতাম। বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।
ছোটবেলার স্মৃতিগুলো যখন আমার মনে পড়ে তখন আমি অনেক আনন্দ পায়। ছোটবেলায় আমি শুধু টিভিতে কার্টুন দেখতাম। এখন আমি টিভি দেখাই বাদ দিয়ে দিয়েছি আমি এখন আর টিভি দেখি না। আর আমি সব থেকে বেশি দেখতাম শাকিব খানের মুভি। সত্যি বলতে ছোটবেলার স্মৃতিগুলো ছিল অনেক আনন্দের। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আসলে বৃষ্টির মধ্যে ঘরে বসে থাকাটাই ভালো ।তাছাড়া ছোটবেলায় সাদাকালো টিভি দেখার মুহূর্তটি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ।ধন্যবাদ আপনাকে।