||বৃষ্টি ভেজা দিনের চা খাওয়ার মুহূর্তগুলো || আমার বাংলা ব্লগ || ১০% সবার প্রিয় @shy-fox এর জন্য ||
আজ- সোমবার
image sourcepixabay
বন্ধুরা নতুন একটি ব্র্যান্ড নিউ পোস্টে আপনাদের সবাইকে আবারও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি। আজকে আমি আমার জীবনের একটি বৃষ্টি ভেজা দিনের চা খাওয়ার মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি আশাকরি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে। তখন বয়সটা আনুমানিক ১৫ বছর হবে তখন আমি প্রাইভেট পড়ার জন্য আমাদের এলাকার পাশে একটি ছোট্ট গ্রাম রয়েছে যার নাম হচ্ছে শহরাবারিয়া তো সেখানে গিয়েছিলাম ইংরেজি দ্বিতীয় প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে আসলে ছোটবেলা থেকে ইংরেজির উপরে আমার একটা ভীতি ছিল এখন অনেকটা কেটে গেলেও সামান্য পরিমাণ এখনোও ভিতরে জমে রয়েছে যাই হোক সেই কথাই না যাই তারপরে যে ওইদিন প্রাইভেটে যাওয়ার সময় হঠাৎ করে টিপ,টিপ করে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল আমি ভাবলাম যেহেতু বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল তাহলে কোথাও একটা বসা যাক তো পাশেই দেখছিলাম একটি চায়ের দোকান দোকানটা অবশ্য খালি ছিল তাই আর আগ ভাগে না ভেবে চায়ের দোকানটাই বসে পড়লাম বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য। তারপরে চায়ের দোকানদার হঠাৎ আমাকে জিজ্ঞেস করল বাবু তোমার নাম কি ? আমি বললাম আঙ্কেল আমার নাম হচ্ছে ইমন আমি আপনাদের এখানেই প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে এসেছি কিন্তু হঠাৎ এই বৃষ্টিতে ফেসে গেছি বিধায় এখানে আশ্রয় নিয়েছি তো তারপরে তিনি আমার আব্বুর নাম এবং গ্রামের নাম জিজ্ঞেস করলেন সবকিছু বলার পরে আংকেল কে বললাম একটা চা দিতে যেহেতু মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল তাই আবহাওয়াটা অনেক ঠান্ডা ঠান্ডা ছিল যার ফলে মনে হল যদি একটা গরম চা খাওয়া যায় হয়তো বা মুডটা ভালো হয়ে যাবে।
image sourcepixabay
তারপরে যেমন কথা তেমন কাজ আঙ্কেল একটা আদা চা করে দিলেন এবং যখন বৃষ্টি ভেজা আবহাওয়াটা উপভোগ করছিলাম এবং চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছিলাম তখন মুহূর্তটা যেন সত্যি অসাধারন ছিল। ওই মুহূর্তটা এখনো আমার মাঝেমধ্যে মনে পড়ে। জানি এই মুহূর্তগুলো পুনরায় আবার ফিরে পাব না তবুও স্মরণ করে । রাখি তারপরে একটি নির্দিষ্ট সময় পরে বৃষ্টি হঠাৎ করে থেমে গেল এবং বৃষ্টি যেহেতু এক থেকে দুই ঘন্টা একনাগারি হচ্ছিল তাই আমার প্রাইভেট এর সময়ও শেষ হয়ে গিয়েছিল সেদিন কেউ প্রাইভেট পড়তে এসেছিল না তবে কিছু লোক এসে পৌঁছালেও শেষ পর্যন্ত আমাদের প্রাইভেট স্যার বৃষ্টির কারণে প্রাইভেট পড়াতে পারেননি। তারপরে বন্ধুরা মিলে ঠিক করলাম কোথাও ঘুরতে যাওয়ার যেহেতু আজ প্রাইভেট পড়ানো হলো না আমাদের হাতে সময়টুকু পড়েই রয়েছে এই সময়টুকু কাজে লাগানো যাক। প্রাইভেট ব্যাচে সাকিরুল ,আলিফ, আমি এবং আরেকটা বন্ধু রয়েছে ওর নামটা এখন মনে পড়তেছে না আমরা অনেক ক্লোজ ফ্রেন্ড ছিলাম কিছু হলেই আমরা একসঙ্গে ডিসিশন নিতাম। তারপরে আমরা বন্ধুগুলো মিলে একটা মোটরসাইকেলে করে ঘুরতে চলে গেলাম হেমাউদপুর বাজারে আমাদের এখানে হেমাউদপুর বাজার টা অনেক বিখ্যাত এখানে বিভিন্ন রকম নিত্যনতুন খাদ্যদ্রব্য পাওয়া যায় যেগুলো খেতে আসলেই অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে।
image sourcepixabay
সেদিন যেহেতু বৃষ্টি ভেজা দিন ছিল আমাদের একসঙ্গে বের হওয়ার খানিকক্ষণ পরে আবার মেঘলা আকাশ হয়ে গিয়েছিল চারিদিকে তারপরে আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম এবার একটা জায়গায় আশ্রয় নেওয়া প্রয়োজন না হলে সবাইকে আবার ভিজতে হবে । তারপরে আমরা সবাই মিলে একটা হোটেলে আশ্রয় নিলাম সেখানে সিঙ্গারা এবং কোক খেতে ,খেতে বৃষ্টি দেখছিলাম তবে হোটেলে যেহেতু চা বিক্রয় করা হয় না ওই সময়টা চা কে অনেক মিস করছিলাম আমাদের বাঙ্গালীদের জীবনের চা হচ্ছে একটি দৈনিক পানীয় অনেকে রয়েছে সকাল বেলা যদি উঠে চা না খাই তাহলে হয়তো বা তাদের দিনটাই শুরু হয় না চা কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি পানীয় আমরা সবাই জানি চা পান করলে আমাদের ঘুম , ঘুম ভাবটা অনেকটাই কেটে যায় যারা রাতভোর অনলাইনে কাজ করেন তাদের জন্য চা অনেক ইফেকটিভ একটা পানীয় হতে পারে। তারপর একসময় বৃষ্টি যখন থেমে গেল আবারো আমরা বাইকে চড়ে বাড়িতে ফিরে আসলাম, আমার মনে হয় আমাদের জীবনের প্রত্যেকটা মুহূর্ত আমাদের উপভোগ করা খুবই জরুরী কেননা আমাদের জীবনটা তো অনেক ছোট তবে এই মুহূর্তগুলো একবার চলে গেলে হয়তোবা আর ফিরে আসবেনা তাই জীবনটাকে সুন্দর করে গুছিয়ে নিজের মত করে বাঁচতে হবে। এই ছিল আমার জীবনের ছোট একটি অভিজ্ঞতা আশা করি গল্পটি আপনাদের ভালো লেগেছে । কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না গল্পটি কেমন লেগেছে? আজকে এ পর্যন্তই আবারও দেখা হবে নতুন একটি পোস্টে ততক্ষণ সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।
- বেনিফিসার প্রিয় @shy-fox কে দেওয়া হয়েছে।
🫂ধন্যবাদ!!!🤵
ফটোগ্রাফার | @emonv |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix hot 11s |
[[🔉প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]👩💻"ইমন ব্লগ"👩💻 এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক🏫 শিক্ষার্থী। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
আপনার ব্র্যান্ড নিউ পোস্ট পড়ে ভালই লাগলো ভাইয়া। আসলে পোস্ট কি করে ব্র্যান্ড নিউ হয় সেটাই ভাবছি। যাইহোক চা খাওয়ার অনুভূতিগুলো দারুন ভাবে তুলে ধরেছেন। বৃষ্টি ভেজা দিনে চা খাওয়ার মজাই আলাদা। আর বৃষ্টি ভেজা দিনে যদি প্রাইভেট স্যার না আসে তাহলে সত্যিই অনেক আনন্দ হয়। আমারও মাঝে মাঝে অনেকবার এরকম হয়েছে। মাঝে মাঝে তো প্রার্থনা করতাম যেন আজকে স্যার না আসে। 😅😅
বৃষ্টি ভেজা দিনে চা খাওয়ার মুহূর্তটা আসলেই অন্যরকম। আমার কাছে খুব ভালো লাগে বৃষ্টির দিনে এভাবে মশলা চা খেতে। আপনাকে যে আঙ্কেল আশ্রয় দিয়েছিল, সেই আঙ্কেল নিশ্চয় অনেক ভালো সেজন্য আপনাকে চা ও খাইয়েছি। ভাইয়া বৃষ্টির দিনে সিংগাড়া সমুচা খেতেও কিন্তু বেশ ভালো লাগে।
ভাইয়া সত্যি বৃষ্টি ভেজা দিনের চা খাওয়ার মুহূর্তগুলো ভুলার মতো নয়।আমারও স্কুল জীবনে এমন অনেক ঘটনা রয়েছে। চা পান করা আমাদের একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আমার তো সকালবেলা চা পান না করলে ভালোই লাগেনা। শীতের সময় সকাল ও সন্ধ্যা বেলা আমার চা না হলে চলে না। এটা কিন্তু ঠিক বলেছেন যারা রাতের বেলা কাজ করে তাদের ঘুম কাটানোর জন্য চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার চা খাওয়ার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। আসলে বৃষ্টির দিনে চা খাওয়ার অনুভূতি সত্যি খুবই অন্যরকম হয়ে থাকে। মশলা চা খেতে আমারও খুব ভালো লাগে। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।