আর্রমি ওফ থ্রেব মুভি রিভিউ || ১০% প্রিয় @shy-fox এর জন্য
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নেওয়া হয়েছে
🥰আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যেরা🥰
আমি বাংলাদেশ থেকে @emonv
আজ , আগস্ট ০২/২০২২
নাম | আর্রমি ওফ থ্রেব |
---|---|
পরিচালক | ম্যাথিয়াস শোয়েইফার |
অভিনয় | ম্যাথিয়াস শোয়েইফার,নাথালি ইমানুয়েল,রুবি ও ফি ,স্টুয়ার্ট মার্টিন |
দৈর্ঘ্য | ১২৭ মিনিট |
ভাষা | ইংরেজি |
মুক্তির তারিখ | অক্টোবর 29, 2021 |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র |
বক্স অফিস | $7 মিলিয়ন |
তথ্যগুলো উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে
"মুভিটির সারসংক্ষেপ"
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নেওয়া হয়েছে
প্রথমে আমরা এই মুভিতে সাবস্তৈন নামে একজন ব্যক্তিকে দেখতে পাই। ইনি হচ্ছে একজন কি, ক্রেকার সুতরাং ইনি ছোট থেকে শুরু করে বৃহত্তম এবং খুবই জটিল সম্পন্ন তালা গুলো কোন চাবির সাহায্য ছাড়াই খুলে ফেলতে পারেন এটি হচ্ছে এনার অনেক বড় একটি গুণ । ছোটবেলা থেকেই তালা সম্পর্কে এনার অনেক আগ্রহ ছিল যার ফলে ছেলেবেলার বেশিরভাগ সময় এগুলো নিয়ে পড়ে থাকতো এবং একসময় দেখা গেল ইনি বড় ,বড় জটিল মানের তালা গুলোর স্পন্দন তার কানের মাধ্যমে শুনতে পেত যার ফলে খুব সহজেই তিনি যে কোন তালা খুলে ফেলতে পারতো। মুভিটাতে আমরা দেখতে পাই এনার একটা তালা মেরামত করার ছোট দোকান রয়েছে যেখানে মানুষেরা জটিল মানের তালা গুলো ক্র্যাক করে নেয় এনার কাছ থেকে। পাশাপাশি ইনি ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করে তার এই প্রতিভা নিয়ে, কিন্তু ইউটিউবে তেমন একটা ভিউ হয় না। তো এভাবে একদিন হঠাৎ একটি ওয়ান্টেড আসামির চোখে সাবস্তৈন পড়ে যায় এখানে লক্ষ্যনীয় এই ওয়ান্টেড আসামি টাই হচ্ছে এই মুভির নায়িকা। এবার নায়িকা সাবস্তৈন এর প্রতিভা দেখে তাদের দলে নিয়ে নেয় নায়িকার দল এর লোকেরা বিশ্বব্যাপী ব্যাংকে ডাকাতি করে বেড়ায় এবং সাবস্তৈন এর হাতে পেয়ে তাদের কাজটা আরো সহজ হয়ে গিয়েছিল তাই তারা তাদের দলের নিয়ে নেয়।
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নেওয়া হয়েছে
এবার তারা তাদের টিম নিয়ে একটি গাড়িতে করে ডাকাতি করতে যায় এবং এখানে সাবস্তৈন নার্ভাস ছিল কেননা সে আগে এই ধরনের কাজ কখনো করেনি এবং সে বন্দুক দেখে অনেক ভয় পায় তো এই দলের ক্যাপ্টেন তাকে ভালোভাবে সবকিছু বোঝায় এবং তাকে অনেক সাহস যোগায় এবং তাদের প্ল্যান অনুযায়ী তারা ডাকাতি করতে ব্যাংকে ঢুকে পড়ে। তো এই দলে একটা হ্যাকার ছিল যার নাম হল গোরিনা তো ইনি ব্যাংকের সিসি টিভি ক্যামেরা গুলো প্রথমে হ্যাক করে এবং তারপরে তাদেরকে বিভিন্ন প্রকার সাহায্য করে তো এক পর্যায়ে এই ব্যাংক ডাকাতি সফল হয়ে যায় এবং তারা খুব সহজেই ব্যাংক থেকে বেরিয়ে টাকা গুলো নিয়ে চলে যায় । কিন্তু তাদের পরিকল্পনা ছিল একসঙ্গে প্রায় তিনটার মতো ব্যাংক ডাকাতি করার তাই তারা একটা ডাকাতি করার পর অন্যটি ডাকাতি করার জন্য পরিকল্পনা করে। তারা যে সময় ব্যাংক ডাকাতি করেছিল তখন ওই রাষ্ট্রের এক ধরনের ভাইরাস সবার মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে ,যার নাম দেওয়া হয়েছিল জম্বি অ্যাটাক তো এটি এক ধরনের ভাইরাস যা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছিল এবং মানুষ ভ্যাম্পায়ারের মতো হয়ে যাচ্ছিল এবং যাকে এই মানুষগুলো কামড় দিচ্ছিল তারাই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছিল।
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নেওয়া হয়েছে
এবার দ্বিতীয়বার ব্যাংক ডাকাতি করা হয় এবং দ্বিতীয় বারে ব্যাংক ডাকাতি করার টিমের একজন ব্যক্তি আহত হয় তার কাঁধে একটা গুলি লেগেছিল যার ফলে প্রায়ই সে অজ্ঞানের মত হয়ে গেছিল কিন্তু কোন মতে ব্যাংক থেকে বের হয়ে তাদের গাড়িতে উঠতে পেরেছিল । এদিকে ডাকাতের টিমের লোকেরা সাবস্তৈন কে ব্যবহার করতে চেয়েছিল কিন্তু এই মুভির নায়িকা কিন্তু তা চাচ্ছিল না এখানে সাবস্তৈন মুভির নায়িকা কে ভালোবেসে ফেলেছিল এবং নায়িকাও তাকে পছন্দ করত কিন্তু এখানে একটি ভিলেন ছিল যে ওই দুজনের কথাবার্তা পছন্দ করতে পারত না এবং বলা যায় সে এই টিমের দ্বিতীয় ক্যাপ্টেন তো যখন তাদেরকে পুলিশে তাড়া করেছিল তখন মুভির নায়িকা গাড়িতে উঠতে পেরেছিল এবং কিন্তু ওই ভিলেন সাবস্তৈন কে গাড়িতে উঠতে দিয়েছিল না এবং তারা তাকে মাঝ রাস্তায় ফেলে আসে কিন্তু ভাগ্য ভাল ছিল সে পুলিশের হাত থেকে বেঁচে যায়। এবার ভিলেন যেহেতু সাবস্তৈন এর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল তাই এই টিমের মধ্যে একটা ঝগড়া লেগে যায় এবং তারা সবাই আলাদা হয়ে যায় এবার নায়িকা এবং সাবস্তৈন মিলে তিন নম্বর ব্যাংক ডাকাতি করে এবং তারা এই ব্যাংক ডাকাতিতে সাকসেস হয়। কিন্তু পুলিশের ক্যাপ্টেন শেষ পর্যন্ত তাদেরকে ধরে ফেলে এবং নায়িকা পুলিশকে রিকুয়েস্ট করে যে সাবস্তৈনকে ছেড়ে দিতে কেননা সে নির্দোষ, তুমি চাইলে আমাকে ধরো কিন্তু ওকে ছেড়ে দিতে হবে তো এক পর্যায়ে পুলিশ রাজি হয় এবং সাবস্তৈন মুক্তি পায়।
মুভি থেকে পাওয়া শিক্ষা
এই মুভি থেকে আমরা একটা শিক্ষা পাই সেটা হচ্ছে প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে সৃষ্টিকর্তার একটা গিফট থাকে যা তাকে সবার থেকে আলাদা করে তো এই মুভির মূল চরিত্র সাবস্তৈন কে যে কোন তালা খোলার একটি প্রতিভা মহান সৃষ্টিকর্তা তাকে দান করেছিল কিন্তু সে বিভ্রান্ত হয়ে ভুল রাস্তায় চলে যাচ্ছিল তাই তার জীবনটা প্রায় হুমকির মুখে পড়তে পড়তে সে শেষ পর্যন্ত বেঁচে গিয়েছিল । তো আমরা এখান থেকে এটাই বুঝতে পারি আমাদের মধ্যে যদি কোন প্রতিভা থাকে সেটা সব সময় ভালো কাজে লাগানো উচিত তাহলেই জীবনের সার্থকতা অর্জন হবে।
মুভিটির আইএমবিডি রেটিং
আমার ব্যক্তিগত রেটিং
- ১০% বেনিফিসার প্রিয় @shy-fox কে দেওয়া হয়েছে।
❤️ধন্যবাদ!!!❤️
অনুবাদে | @emonv |
---|
[[প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]"ইমন ব্লগ" এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক শিক্ষার্থী। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।
এই ধরনের মুভিগুলো আমার খুব বেশি দেখা হয় না। তবে আগে প্রায়ই দেখতাম খুবই সুন্দর একটি মুভি রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি আমাদের মাঝে। কাহিনীটা পড়ে খুবই ইন্টারেস্টিং লেগেছে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে মুভি রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
সময় পেলে এই ধরনের মুভি গুলো চাইলে দেখতে পারেন আশা করি অনেক মজা পাবেন ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
কয়েক মাস আগে আমি এই মুভিটি দেখেছিলাম। তখন বেশ ভাল লেগেছিল। আজ আপনার রিভিউটা পড়লাম। মুভির কাহিনি গুলো আরেকবার নতুন করে মনে করিয়ে দিল আপনার এই রিভিউটি। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্ট এর জন্য।
আমার কাছেও মুভিটি অনেক ভালো লেগেছিল তাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম ধন্যবাদ আপনাকে।