DIY:- || বিলুপ্তপ্রায় মৃৎশিল্প // পর্ব :-৪ [ কলসি তৈরি ] || ১০% @shy-fox এর জন্য
আমার বাংলা ব্লগে আপনাকে স্বাগতম
কলসি আমাদের আদিমকালের একটি ঐতিহ্য যা কালের বিবর্তনে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে, কলসি হচ্ছে মৃৎশিল্পের একটি উদাহরণ, আমি গত পোষ্টে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম যে মৃৎশিল্প আমাদের মাঝে থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে অর্থাৎ আমরা বলতে পারি এটি প্রায় বিলুপ্ত। এমন একটা সময় ছিল যখন কুমোরপাড়ায় বিভিন্ন রকম মাটির জিনিস পত্র তৈরীর প্রতিযোগিতা হত কিন্তু বর্তমানে এগুলো আর দেখা যায় না, আমরা যেহেতু বাঙালি অবশ্যই আমাদের ঐতিহ্য গুলোকে আমাদের ধরে রাখা উচিত যার ফলে নতুন প্রজন্ম আমাদের এই ঐতিহ্য গুলোকে দেখে উপলব্ধি করার সুযোগ পাবে। তাই আমি আপনাদের মাঝে বিলুপ্তপ্রায় মৃৎশিল্প নিয়ে একটি সিরিজ চালু করেছিলাম , আজকে আমি তার ধারাবাহিকতায় পর্ব ৪ অর্থাৎ কলসি তৈরি এর প্রসেস দেখাচ্ছি আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে ।
# কলসি তৈরিতে প্রয়োজনীয় উপাদান
| উপাদান | পরিমাণ |
|---|---|
| বালিকাদা | পরিমাণমতো |
কলসি তৈরীর প্রসেস
⬇️ ধাপ:-১ ↙️
প্রথমে বালিকাদা গুলোকে ভালোভাবে হাতের মাধ্যমে সেনে নিতে হবে।
⬇️ ধাপ:-২ ↙️
এবার হাতের তালু দ্বারা কাদা গুলোকে গোল আকৃতির করে নিতে হবে অনেকটা ছোট ফুটবলের মত।
⬇️ ধাপ:-৩ ↙️
এবার দুই আঙ্গুলের মাধ্যমে মাঝখানে হালকা পরিমাণ চাপ দিতে হবে ।
⬇️ ধাপ:-৪ ↙️
এবার গোলাকৃতির কাদার মাঝখানে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে আলতো করে সামান্য পরিমাণ গহব্বর করে নিতে হবে।
⬇️ ধাপ:-৫ ↙️
এবার কলসির মাথার দিকে আলতো করে সামান্য চ্যাপ্টা করে নিতে হবে।
⬇️ ধাপ:-৬ ↙️
এবার পূর্বে করা গহ্বরের মধ্যে হাত দিয়ে আলতো করে উপর দিক থেকে চাপ দিতে হবে।
⬇️ ধাপ:-৭ ↙️
এবার ধারী গুলোকে সামান্য পরিমাণ চ্যাপ্টা করে নিতে হবে।
⬇️ ধাপ:-৮ ↙️
এবার চ্যাপ্টা করা ধারী গুলোর উপরে কিছুক্ষণ হাত ঘষতে হবে।
⬇️ ধাপ:-৯ ↙️
এবার কলসির গঠন এর উপরে হাতের তালুর মাধ্যমে সামান্য পরিমাণ পানি নিয়ে নেপে নিতে হবে।
⬇️ ধাপ:-১০ ↙️
অবশেষে তৈরি হয়ে গেল মৃৎশিল্পের একটি উদাহরণ অর্থাৎ মাটির তৈরী কলসি।
🫂ধন্যবাদ!!!🤵
| ফটোগ্রাফার | @emonv |
|---|---|
| ফটোগ্রাফি ডিভাইস | VIVO Y12 A |
[[🔉প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]👩💻"ইমন ব্লগ"👩💻 এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক🏫 শিক্ষার্থী। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।
দারুন বানিয়েছেন তো ভাইয়া কলসিটি। এত সুন্দর ফিনিশিং আপনি কিভাবে করলেন আমি তো অবাক হয়ে গেলাম দেখে। আমিতো প্রথমে দেখে মনে করেছি মাটির জিনিস যারা বানায় তারা তৈরি করেছে কিন্তু না পরে দেখলাম এটা আপনি নিজের হাতে তৈরি করেছেন খুবই সুন্দর হয়েছে।শেষ ছবিটিতে কলসিটি দেখতে দারুণ লাগছে।
জি আপু একটু চেষ্টা করেছে, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
প্রাচীনকালের ঐতিহ্য আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন, মাটির তৈরি এই কলসি গুলো বানাতে আর বেশি একটা দেখা যায় না। তবে আপনি খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আমার অনেক ভালো লাগলো। আমরা সেই প্রাচীনকালের ঐতিহ্যকে দেখতে পেলাম। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
জি ভাই আপনাদের মাঝে ঐতিহ্য টা তুলে ধরে আমার অনেক ভালো লাগছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনি ঠিকই বলেছেন এই মৃৎশিল্প আমাদের দেশ থেকে আজ বিলুপ্তির পথে। যুগের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে এই মৃৎশিল্প আমাদের সমাজ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ।আমি অনেকদিন আগে একবার এই মৃৎশিল্প এলাকায় গিয়েছিলাম সেখানে আমি নিজের চোখে এই হাড়ি পাতিল বানানো শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখেছিলাম ।আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছিল ।আপনিও খুব সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখিয়েছেন ।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু মৃৎশিল্প এখন বিলুপ্তির পথে, অনেক সুন্দর একটি মতামত করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বর্তমানে সিলভার এর কলসির ব্যবহার অনেক বেড়েছে। এবং এগুলোর জন্য মাটির কলসির চাহিদা দিন দিন কমছে। মাটির কলসিটা বেশ দারুণ তৈরি করেছেন ভাই।
এই বিষয়ে বেশ ভালো দক্ষতা আছে আপনার সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।।।
জি ভাই ঠিক বলেছেন, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ একটি গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
আমি আপনার এলাকায় ময়লা দিয়ে তৈরি করা অনেক শিল্প দেখছি এবং এটি খুব দরকারী, আমাদের এলাকায় খুব কম লোকই এমন কিছু করে।
ভাগ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন।
সত্যি ভাই আপনার হাতের কাজের প্রসংসা না করে পারলাম না।এতো সুন্দর ভাবে মাটি দিয়ে কলস তৈরি করেছেন। অনেক নিখুঁত হয়েছে ভাই। সত্যি এগুলি বিলুপ্তির পথে। ধাপে ধাপে উপস্থাপনাও অনেক সুন্দর। শুভ কামনা রইলো।
জি ভাই একটু চেষ্টা করেছি, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
একটা কথা খুবই ভালো লাগলো আপনি বলেছেন যে আমরা বাঙ্গালী আমাদের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হবে। হ্যাঁ মৃৎশিল্প এখন নাই বললেই চলে। আপনি দারুন মাটি দিয়ে কলসি তৈরি করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। দেখার মত ছিল। আপনার হাতের কাজ অনেক ভালোধন্যবাদ ভাই, অনেক সুন্দর একটি মতামত করেছেন।
ঠিক বলেছেন আপু এগুলো এখন বিলুপ্তির পথেই, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ একটি গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
ইমন ভাইয়া আপনার আগের পোস্ট গুলো আমি দেখেছি, আপনি খুব সুন্দর করে মৃৎশিল্প তৈরি করেন, বরাবরের মতোই এই কলসি আমার অনেক ভালো লেগেছে, আপনার জন্য শুভকামনা এবং ভালোবাসা রইলো।
আপনার জন্য এও ভালোবাসা রইলো ভাই,