ছেলেবেলার কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত || ১০% প্রিয় @shy-fox এর জন্য
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যেরা
আমি বাংলাদেশ থেকে @emonv
আজ , শনিবার, আগস্ট ০৬/২০২২
imagesource
দিনটা ছিল শুক্রবার তখন আমার বয়স অনেক কম তখন আনুমানিক ১০-১১ বছর হতে পারে তখন আমি প্রাইমারিতে পড়ি। শুক্রবার থাকাই স্কুল বন্ধ ছিল তাই আমাদের এলাকার কিছু বন্ধুবান্ধব মিলে গোল্লাছুট খেলা শুরু করলাম এবং খেলা করতে, করতেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যেও আকাশে প্রচুর মেঘ এবং মেঘ থেকে সরাসরি মুষলধারে বৃষ্টিপাত শুরু হলো তখন যেহেতু অধিক পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়েছিল তাই খেলা করা আর সম্ভব হলো না কেননা বৃষ্টিপাতের ফলে পুরো জায়গায়টাই পিচ্চিল হয়েগিয়েছিল যার ফলে খেলতে গেলে ওই কাদার উপরে ধুপ ধাপ করে পড়তে হতো তাই সবার সিদ্ধান্তে খেলা বন্ধ থাকলো । আমাদের দলে আমাদের বন্ধুরা যারা ছিল প্রায় সবাই মোটামুটি ভিজে গিয়েছিলাম তাই সবাই এক দৌরে চলে গেলাম গোসল করতে আগেকার দিনে মানুষ নদী অথবা পুকুরে গোসল করতো আমাদের এলাকায় নদী না থাকায় আমরা পুকুরে গোসল করতাম। তাই বন্ধুরা মিলে চলে গেলাম পুকুরে গোসল করার উদ্দেশ্যে। তখন সবাই সিদ্ধান্ত নিল পুকুরে যখন গোসল করতে হবে তখন আমরা আগে থেকেই ছোট জাল ম্যানেজ করে রাখি কেননা পুকুরের ছোট মাছগুলো আমাদের ধরতেই হবে এটা ছিল আরো একটা মজার মুহূর্ত।
imagesource
পুকুরে নামার আগেই আমরা সব ঝাপড় খেলা শুরু করলাম তখন আমরা প্রতিযোগিতা করতাম দৌড়ে এসে কে কতদূর ঝাঁপ দিতে পারে এবং আমরা যেখানে গোসল করতাম সে জায়গাটা অনেক নিচু টাইপের ছিল এবং পাশে ছিল উঁচু, উচু ভেরি যার ফলে ভেড়িতে যদি চড়ে বসতাম তাহলে ভেরি থেকে শু করে নামতে, নামতে পুকুরের ভিতরে পড়ে যেতাম এই মুহূর্তগুলো আমরা অনেক আনন্দ করতাম তাই সবাই এই কাজটি করতাম। তখন আসলে অনেক আনন্দ হতো এবং আমরা কলা গাছ কেটে তার উপরে চড়তাম এবং সারা পুকুর সাতরে বেড়াতাম। আসলে ছেলেবেলার সেই মুহূর্তগুলো এখন অনেক মনে পড়ে জানি ছেলেবেলায় কখনো ফিরে যেতে পারব না তবুও ছেলেবেলা কে অনেক মিস করি। আসলে বয়সের সাথে, সাথে বন্ধু বান্ধব গুলো জীবন থেকে আলাদা হয়ে যায় কেউ না চাইতেও জীবন যুদ্ধে কাকে যে কোথায় চলে যেতে হয় এটা বলা মুশকিল। আমাদের বন্ধুর মধ্যে রফিক নামে একটি ছেলে ছিল আমাদের ওই বন্ধুটা ছিল সব কিছুর মাস্টার কেননা সকল সমস্যার সমাধান তার কাছে থাকতো । তখন জীবনটা আসলেই অনেক রঙিন ছিল। এছাড়া আরো অনেক কথা মনে পরের ছেলেবেলাকার সময়ের 🙂
ছেলেবেলায় যখন স্কুলের ছুটির ঘন্টা বাজাতো তখন আমার আনন্দ আর দেখে কে আমি মনে হয় সবার প্রথমে পিঠে ব্যাগটা ঝুলিয়ে দৌড় দিতাম তখন যে কি পরিমাণ আনন্দ হতো এখন এটা হয়তোবা বলে বোঝানো সম্ভব না যখন স্কুল ছুটি দিয়ে দিত তখন আমরা বন্ধুবান্ধব মিলে চলে যেতাম আমাদের এলাকার নুরু মিয়া নামে এক লোকের বাগানে সেখানে গিয়ে বর্ষা ফল পেড়ে খেতাম। বর্ষা ফল আমাদের এলাকাতে বিক্রি হয় না যার ভালো লাগে সে ওই গাছের মালিক কে এসে বলে সেগুলো পেড়ে নিয়ে যেতে পারে এখানে কারোর কোনো ধরা বাধা ছিল না এই বিষয়টা আমার অনেক ভালো লাগতো এছাড়াও আমের সময় অনেক আম খেয়েছি জামের সময় জাম গাছে উঠে জাম পেড়েছি জাম গাছে উঠে জাম খাওয়ার মজাটা অন্যরকম ছিল কেননা যে জাম গাছে উঠবে সেই সবচেয়ে পাকা জামগুলো খাবে এটা অনেক মজাদার বিষয় ছিল এবং আমি যখন জাম গাছে উঠতাম তখন আমার বন্ধুবান্ধবদের জাম ছুড়ে দিতাম তারা পকেটে করে ভর্তি করত তখন তো তেমন একটা বুঝতাম না কিন্তু আমিও যখন পকেটে পাকা জাম ভর্তি করে বাড়ি আসতাম তখন দেখতাম জামের কসে পুরো পকেট এর অবস্থা খারাপ এবং আম্মু যখন এগুলো দেখত তখন একটু বকা দিত তবুও সেই দিনগুলো অনেক মিষ্টি ছিল।
❤️ধন্যবাদ!!!❤️
অনুবাদে | @emonv |
---|
[[প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]"ইমন ব্লগ" এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক শিক্ষার্থী। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।
হুম ভাইয়া ছোট্ট বেলার ঘটনা কখনো ভুলে যাওয়ার নয় ৷জীবেন শৈশবের দিনগুলো আসলে অনেক মিস করি ৷বন্ধ-বান্ধব মিলে খেলা বৃষ্টির পানিতে সারা শরীরে কাদা মেঘে একে ওপরের গায়ে লাগিয়ে দেয়া সত্যি খুব মিস করি ৷কিন্তু মিস করলে কী হবে ৷সেইদিন গুলো আর কখনো ফিরে পাবো না ৷
যাই হোক খুব সুন্দর একটি ব্লগ লিখেছেন ৷
ধন্যবাদ ভাই
অনেক কিছুই আমরা ভুলে যাই কিন্তু শৈশবের যে স্মৃতিগুলো কেউ ভুলতে পারিনা কারণ জীবনের প্রথমের কিছু বিষয় তো এইজন্য ভুলা সম্ভব হয়না।