রোজার শেষ ইফতার || আমার বাংলা ব্লগ

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago

Picsart_24-04-15_01-31-45-146.jpg

আজ - রবিবার

২২ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
০৫ মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ

🌺 চলুন শুরু করি 🌺

আসসালামুয়ালিকুম প্রিয় বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি। আমি বাংলাদেশ থেকে ইমন আজকে নতুন একটি পোস্টে আপনাদের সবাইকে আবারও স্বাগতম জানাচ্ছি

এই বছরের যে গরম পড়েছে এর কারণে এই বছরের রোজার সময় আমরা অনেক ক্লান্তির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়েছি। তবে মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আমরা সবাই হয়তোবা সুস্থভাবে এই বছরের রোজা সম্পন্ন করেছি। এমনিতে সাধারণত আমরা রোজার ইফতার গুলো আমাদের মসজিদে সম্পন্ন করতাম তবে যেহেতু শেষ রোজা ছিল ওই জন্য আমাদের সবাইকে ডঃ সাইফুল হাসান স্যার ওনার উদ্যোগে একটি মাদ্রাসায় ইফতারের আয়োজন করেছিলেন। মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে ইফতারটা সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হয়েছিল । আজকে সেই মুহূর্তগুলো নিয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের পোস্টটা ভালো লাগবে, যদি ভালো লাগে সে ক্ষেত্রে কমেন্টে জানাতে পারেন এবং যদি খারাপ লাগে সে ক্ষেত্রেও জানাতে পারেন কারণ মানুষ মাত্রই ভুল। আর ভুল হলেই হয়তো বা নতুন কিছু শেখা যায়। চলুন তাহলে অনুভব করে আসি রোজার শেষ ইফতারের স্মৃতি ....:)

IMG_20240408_180441_952-01.jpeg
IMG_20240408_181706_706-01.jpeg

ডক্টর সাইফুল্লাহ স্যার কে আমরা সবাই অনেক বেশি সম্মান করি কারণ উনি বলা যায় আমাদের গ্রামের একটা উদাহরণ যিনি অনেক প্রতিকুল পরিবেশ থেকে উঠে এসে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে সবাইকে দেখিয়ে দিয়েছে যে চেষ্টা করলে সবকিছুই সম্ভব। আজকে উনার সম্পর্কে দুটো কথা না বললেই নয় কারণ আমি ওনাকে আমার আইডেল মানি, উনি খুবই হতদরিদ্র মধ্যবিত্ত একটি পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন এবং নিজে খুব কষ্ট করে পড়াশোনা করেছেন। উনাদের এমন একটা অবস্থা ছিল যে নিজের বাড়িতে থাকার মতো তেমন একটা পরিবেশও ছিল না উনি অন্য মানুষের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করে আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর যেটা আসলে অনেক রেয়ার। এখনকার জামানায় যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তে চান্স পাওয়ার জন্য কতইনা কোচিং বা কতইনা প্রাইভেট পড়ে মানুষ তবে ওনার তেমন একটা সাধ্য না থাকার কারণে নিজের চেষ্টাতে উনি এতদূর এগিয়ে এসেছেন।

IMG_20240408_181737_158-01.jpeg
IMG_20240408_180643_837-01.jpeg

ইফতারের ৫ দিন আগে আমি আমার এবং আম্মু আব্বুর একসঙ্গে গল্প করতেছি । হঠাৎ বাড়িতে দুইটা লোক আসলো এবং বলল যে ইমন ভাই বাড়িতে আছেন? আমি বললাম যে আছি কে? তারপরে দেখলাম যে আমাদের গ্রামেরই দুটো ছেলে বয়সে হয়তোবা আমার থেকে দুই তিন বছরের ছোট তো ওনারা আসলে এসেছিল ইফতারের দাওয়াত দেওয়ার জন্য। ডক্টর সাইফুল্লাহ স্যারের মূল লক্ষ্য ছিল যে নিজেকে কিছু টাকা দিয়ে এবং বাইরের মানুষের কাছ থেকে কিছু ফান্ড কালেক্ট করার পরে পুরো গ্রামের জন্য ইফতারের আয়োজন করবে এবং এই সুযোগে মাদ্রাসার জন্য কিছু একটা করবে। দাওয়াতের কার্ডে লেখা ছিল যেহেতু আমাদের গ্রামের মাদ্রাসা টা আমরা নিজে তৈরি করছি এর জন্য আপনারা যদি কিছু দান করে ফান্ড দিতে পারেন সেই ক্ষেত্রে এই মাদ্রাসা টা আরো বেশি উন্নত করা সম্ভব এবং এখানে মানুষ হাফিজ হবে মানুষ হবে ভবিষ্যতে আপনাদের অবশ্যই এটা কাজে লাগবে। উনার কথাগুলো শুনে সত্যি অনেক মুগ্ধ হলাম এবং আমি সিদ্ধান্ত নিলাম অবশ্যই আমি ওখানে যাব।

IMG_20240408_181817_592-01.jpeg
IMG_20240408_181240_313-01.jpeg

তো এভাবেই ধীরে ,ধীরে কাঙ্খিত দিনটি চলে এলো এবং আমরা সবাই মিলে ওখানে গিয়ে ইফতার সম্পন্ন করলাম এবং সেইসাথে উনি অনেক জ্ঞানের কথা বলছিল যেগুলো শুনে উনার প্রতি শ্রদ্ধা টা আরো বেশি বেড়ে গেল। যাই হোক আমরা সবাই ওখানে নিজের, নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী দান করার চেষ্টা করেছি এবং আমাদের ওই মাদ্রাসার জন্য যেন ভাল কিছু হয় এটার জন্য সর্বশেষে দোয়া করেছি। আমরা হচ্ছি সৃষ্টির সেরা জীব আমাদের দ্বারা অনেক কিছুই সম্ভব। মোটামুটি ওখানে বেশ ভালো আয়োজন হয়েছিল, যাই হোক এটাই ছিল শেষ রোজার শেষ দিনের একটি সুন্দর স্মৃতি আমার জীবনের। আপনাদের মাঝে এটা শেয়ার করে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে এতক্ষন পাশে থেকে আমার ব্লগটি উপভোগ করার জন্য। আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে ততক্ষণ সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

🫂ধন্যবাদ!!!🤵


ব্লগার@emonv
ফটোগ্রাফি ডিভাইসInfinix note 11 pro
[[🔉‌‌প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]👩‍💻"ইমন ব্লগ"👩‍💻 এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক🏫 । আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPjVagCKakAuSTsQyj2bkd5a1qGy627tazWyRR8KvSGF5XUzUYGAJxbEm1Wagp...Lv2At2mGmrfEMg6f1U32Fbx5AMXoYvtwxPoGN64iEBA4Rv1YhRRuUftAwRmKthwLZXLSTwWxtFD7Sj1QyBBErTgPny6vsjAKSJvXy9ovR9TDNhx7vqPZQ8nKqg.png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_proxy_vote.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 4 months ago 

ডক্টর সাইফুল্লাহ স্যার এর কথা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। নিজের চেষ্টা থেকে অনেক কষ্ট করে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর তিনি। তার উদ্যোগে একটি মাদ্রাসায় ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে। বেশ ভালো একটা উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। ইফতারের আয়োজন গুলো দেখে ভালো লাগলো। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 4 months ago 

আসলে স্যার অনেক অসাধারণ একজন মানুষ, কমেন্ট পড়ে ভালো লাগলো।

 4 months ago 

এটা কোথায় আমাদের গ্রামের ঈদগাহ মাঠ? যাইহোক আয়োজনটা অনেক সুন্দর, ভালো লাগলো। এভাবে একসাথে ইফতারের আয়োজন করলে গ্রামের মানুষের জন্য ভালো। এতে ধর্মীয় অনুভূতি আরো বেড়ে যায় এবং মানুষের মধ্যে ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়।

 4 months ago 

আমাদের গ্রামের ঈদগাহ মাঠ না, এটা হচ্ছে আমাদের নতুন পাড়ার মাদ্রাসার মাঠ ভাবি। একদিন নিয়ে যাব আপনাকে ইনশাল্লাহ।

 4 months ago 

অনেকদিন পর ইফতারের পোস্ট দেখে রমাজানের সেই মুহূর্তগুলোর কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। অনেক বেশি মিস করি ইফতারের মুহূর্তগুলো। আপনি দেখি দারুন সময় পার করেছেন। মনে হয় আবার যদি ফিরে পেতাম তাহলে সবাই মিলে আবার ইফতার করতে পারতাম।

 4 months ago 

আমি অনেক মিস করি ভাই এগুলা, আপনার কমেন্টে পড়ে খুব ভালো লাগলো।

 4 months ago 

আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। রোজার শেষ ইফতারের স্মৃতি এবং ডক্টর সাইফুল্লাহ স্যারের অনুপ্রেরণামূলক গল্পটি আমাদের মনে এক গভীর ছাপ রেখেছে। আপনার লেখনীতে সত্যিকারের অনুভূতি এবং সম্প্রীতির বার্তা প্রকাশ পেয়েছে, যা পাঠকদের হৃদয়ে স্পর্শ করে। আপনার এই ধরনের আরো লেখা পড়ার জন্য আমরা অপেক্ষায় থাকব। ধন্যবাদ।

 4 months ago 

তাহলে তো রোজার শেষ দিনে ভালো সময় অতিবাহিত করলেন। যেহেতু আপনাদের কাছে ডক্টর সাইফুল্লাহ স্যার গেলেন বেশ সুন্দর প্রতিশ্রুতি দিলেন আপনাদেরকে মাদ্রাসাটি আরো উন্নত করে দিবেন। আর একটি এলাকার মধ্যে কোন প্রতিষ্ঠান থাকলে সেখানে যদি কোন ভালো মানুষের সহায়তা পাওয়া যায় তাহলে দ্রুত উন্নতি পাওয়া যায়। যেহেতু একজনের পক্ষে সম্ভব নয় সবার সহযোগিতা কাম্য সেখানে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজের সাথে শামিল হতে পারলেন আপনি ভালো লাগলো জানতে পেরে।

 4 months ago 

আপনার পোষ্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ইফতারের পোস্টটি দেখে রমজানের কথা মনে পড়ে গেল। চেষ্টা ওপরিশ্রম করলে সবকিছু মিলে তাইতো তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রফেসর। মাদ্রাসায় ইফতারের বেশ সুন্দর আয়োজন করেছেন তিনি। তার উদ্যোগ দেখে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাই দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 58224.09
ETH 2508.01
USDT 1.00
SBD 2.34