একটু ঘোরাঘুরি এবং ফটোগ্রাফি || আমার বাংলা ব্লগ
আজ - , রবিবার
ঘোরাঘুরি করতে তো সবসময়ই মন চায় তবে এই যে এই বছরটায় কি যে একটা বিরক্তিকর গরম পরছে এটা আপনারা হয়তোবা সবাই বুঝতে পারছেন। এই তো কিছুদিন আগে সরকারিভাবে সাত দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে অতিরিক্ত তাপের জন্য আর আজকের তাপমাত্রা তো মনে হয় ৪১° সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল । কিন্তু তাপমাত্রা ৪১ হলে কি হবে মনে হচ্ছে যে ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় গা হাত পা যেন ঝলসে দিচ্ছে। অনেকে তো দেখলাম রোদের তাপে ডিম ভাজার ভিডিও তৈরি করছে। যাই হোক মেইন টপিকে ফিরে আসি..... আজকে ইচ্ছে ছিল আমার, অনেক জায়গায় ঘোরাঘুরি করব এবং ফটোগ্রাফি করবো । তবে এই গরমের জন্য ভাবলাম আজকে অল্প কিছু জায়গায় ঘুরতে যাই অন্য দিন আবার যাওয়া যাবে তো সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী আজকে গিয়েছিলাম বেলকুচি বাজারের আশেপাশের এলাকাতে একটু ঘোরাফেরা করার উদ্দেশ্যে । তো এখানকার কিছু বিখ্যাত জায়গা এবং কিছু চোখে পড়ার মত জায়গা আমি এই পোষ্টের মধ্যে উল্লেখ করব। আশা করি আপনারা শেষ পর্যন্ত পাশেই থাকবেন। চলুন তাহলে আর বেশি কথা না বাড়িয়ে ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেই।
এটি বেলকুচি বাজারের একটি বিখ্যাত মসজিদের একটি পাশের অংশ যেখানে ফুলগাছ রোপন করা হয়েছে। এই মসজিদটি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি অনেক বৃহত্তম। এই ধরনের মসজিদ এখন সরকারিভাবে প্রত্যেকটা জেলা পর্যায়ে একটি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে । তবে আমাদের এলাকাতে এমন মসজিদ নেই কিন্তু সিরাজগঞ্জে এসে এটা দেখার সৌভাগ্য হয়েছে।
গরমের মধ্যে ঠান্ডা জিনিস না খেলেই নয়। যখন হাঁটাহাঁটি করছিলাম তখন একনাগারের শুধু ঘেমে যাচ্ছিলাম । তাই ভাবলাম একটু ঠান্ডা কিছু খাওয়া যেতে পারে যার ফলে ক্লান্তিটাও কমবে, এবং গরমও একটু কম লাগবে। তো এই জন্য আমি এবং আমার বন্ধু সাজিদ দুজনে মিলে দুটো আইসক্রিম খেলাম যাতে একটু গরম কম লাগে।
এটি হচ্ছে ঐ মসজিদটার এক সাইডের অংশ যেখানে দেখতে পাচ্ছেন ছোট্ট একটি নার্সারি মত করা হয়েছে। কিন্তু এখানে শুধুমাত্র আপাতত ঘাস রয়েছে আমার মনে হয় আগামীতে এই জায়গাগুলোতে অনেক ধরনের ফুল গাছ রোপন করা হবে এবং এখানকার সৌন্দর্য আরো বেশি বৃদ্ধি করা হবে।
তো এখানে দেখতে পাচ্ছেন ল্যাম্প পোস্ট, এই ল্যাম্পপোস্ট গুলো এই মসজিদের আশপাশে অনেকগুলো স্থাপন করা হয়েছে এর ফলে যখন রাত হয় তখন এই মসজিদের সৌন্দর্য অন্যরকম একটা সুন্দর দৃশ্যে পরিণত হয়। এবং এটা দেখতেও অনেক চমৎকার লাগে কারণ আমি সন্ধ্যা বেলায় এক দিন এটার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম দেখে বেশ ভালো লাগলো সেদিন।
রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন দেখলাম একটা আঙ্কেল একটা ছোট্ট নার্সারিতে বিভিন্ন রকম ফুল গাছ বিক্রয় করছে, এর সাথে অন্যান্য গাছও ছিল তবে এটা দেখেই আমার চোখে আটকে গেল কারণ গাছ হচ্ছে জীবনের প্রতীক আর আমার মনে হয় এখন অতিরিক্ত গরম পড়ার কারণ হচ্ছে পরিবেশে গাছপালা কমে যাচ্ছে এর জন্যই আমাদের গাছ রোপন করা উচিত।
এতক্ষণ যে মসজিদের কথা বিভিন্ন ফটোগ্রাফির অংশে বলছিলাম সেটা হচ্ছে এই যে এই মসজিদটা। জানিনা ক্যামেরা তে কেমন লাগছে মসজিদটা তবে বাস্তবে দেখতে সত্যি অনেক সুন্দর লাগে । অনেক সময় দেখা যায়, অনেক দূর দূরান্ত থেকে মানুষ এসে এখানে ফটোগ্রাফি করে ।
এই ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন একটা ছোট্ট ঘরের ছবি । এটা মূলত ওই মসজিদের সামনের গেটের পাশে রয়েছে। মাঝেমধ্যে দেখি এই ঘরের মধ্যে কিছু মানুষ বসে থাকে কিন্তু কিসের জন্য বসে থাকে এটা আজ পর্যন্ত বুঝতে পারলাম না। তো আজকের আয়োজন এটুকুই আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হচ্ছে নতুন কোন পোস্টে।
🫂ধন্যবাদ!!!🤵
ব্লগার | @emonv |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix note 11 pro |
[[🔉প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]👩💻"ইমন ব্লগ"👩💻 এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক🏫 । আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি সুন্দর ছিল তবে যদি সেরা ফটোগ্রাফিটার কথা বলি তাহলে মসজিদের দৃশ্যটা সবচেয়ে সুন্দর লেগেছে আমার কাছে। দারুন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।
বাইরের পরিবেশে ঘোরাঘুরির মুহূর্ত দেখছি আপনি খুবই সুন্দর সুন্দর ফটো ধারণ করেছেন। আপনার ধারণ করা এই ফটোগুলো আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। যেখানে ফুলের গাছ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খাবারের ফটো সহ বেশ কিছু ফটো দেখতে পারলাম। অনেক সুন্দর ছিল আপনার ব্লগটা।
আসলে এখন অধিক পরিমাণে গরমের তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো না বন্ধ দিয়েও উপায় নেই। কারণ বাচ্চারা গরমের সময় ক্লাস রুমে থাকতে পারবেনা। অনেকেই মাথা ঘুরে পড়ে যায়, আবার অনেকে হিটস্টক করে। এটা প্রত্যেকটা স্টুডেন্টের জীবন মরণ নিয়ে প্রশ্ন। যাইহোক আপনি বেশ কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যেগুলোর মধ্য থেকে আইসক্রিমের ফটোগ্রাফি টা আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। আর মসজিদের ফটোগ্রাফি ভালো লেগেছে। গরমের সময় যদি এখন আইসক্রিম গুলো পেতাম তাহলে তো মজা করে খেতে পারতাম।
ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্তের খুবই সুন্দর সুন্দর ফটো ধারণ করে আজকে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আর ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্তের বিশেষ বিশেষ ফটোগুলো দেখে খুবই ভালো লেগেছে আমার। প্রত্যেকটা ফটোর সাথে খুব সুন্দর বর্ণনা করেছেন আপনি। এমন পোস্টগুলো আমার খুবই ভালো লাগে।