লকডাউনে ডিপ্রেশন হলে কি করা উচিত || ২৮-০৭-২০২১

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)

বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন

আশা করি সবাই লকডাউনে ঘরে আছেন সুস্থ আছেন। আমি প্রথমেই ধন্যবাদ দিতে চাই আমার বাংলাব্লগের প্রতিষ্ঠাতা@rme ভাইয়াকে উনার এবং অনার টিম দের পরিশ্রমের কারণে আজকে আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে পোস্ট করতে পারছি সেজন্য তাদের কে আমি মনের অন্তর থেকে অভিনন্দন জানাই।

চলুন আজকের নতুন পোস্টটি শুরু করা যাক

ডিপ্রেশন

images (3).jpeg

Source here

• দিন দিন লকডাউন এর সাথে আমাদের পরিচয়টা গভীর হচ্ছে সেই সাথে আমাদের দৈনন্দিন কাজে যেন তালা লেগে গেছে। বিশেষ করে যারা পথচারী এবং খেটে খাওয়া মানুষ যেমন রিকশাচালক, অটো ভ্যান চালক, মুদির দোকান খানা, এছাড়াও যেগুলো খোলা বাজারে বিক্রয় করা হয় সেইসব আয় এর মাধ্যম গুলো আজ বন্ধ হয়ে গেছে প্রায়।

• দিন দিন লকডাউন এর দিন যত অতিবাহিত করা হচ্ছে তাতে আমাদের বাড়িতে বসে থাকার পরিসর টা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে আমাদের মধ্য অনেকেই ডিপ্রেশনে ভুগছি।ডিপ্রেশন এমন একটি রোগ যা হচ্ছে যে মানুষগুলো কম ঘুমায় বন্ধুদের সাথে কম মেলামেশা করে শুধু বাড়িতে বসে থাকে তাদেরকে বেশি পেয়ে থাকে। এটি একটি খুবই ক্ষতিকর ব্যাধি যা মানসিক জীবনযাপন বিকৃত রূপ ঘটায়।

আমরা কিভাবে ডিপ্রেশন এর হাত থেকে বাঁচতে পারি ?

আমরা ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু টিপস ফলো করতে পারি যার মাধ্যমে আমরা বাড়িতে থেকেও ব্যস্ততার সময় কাটাতে পারি। তাহলে আমাদের জীবনে ব্যাধি কম হবে সেই সাথে আমরা নিজেকে নতুন একটি মাত্রায় তৈরি করতে সক্ষম হব। সেই বিষয়গুলো হচ্ছে:

পরিবার

images (1).jpeg

Source

• একটা সন্তানের সঠিক ভাবে বেড়ে ওঠার পেছনে সবথেকে বেশি ভূমিকা রাখে তার পরিবার যেমন একটা চারা গাছ সঠিকভাবে বেড়ে উঠছে একটি সুন্দর পরিস্থিতি প্রয়োজন একটি সুন্দর পরিবেশ প্রয়োজন ঠিক অনুরূপভাবে একটি সুখ শিক্ষিত সন্তান তৈরি হতে তার পরিবার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়ে থাকে এবং সেইসাথে ভূমিকা পালন করে।

• আমাদের উচিত আমাদের পরিবারের সাথে বেশি বেশি মেলামেশা করা। বিশেষ করে বাবা মায়ের যত্ন নেওয়া। ছোট ভাই বোনদের জিজ্ঞেস করা উচিত তারা বড় হয়ে কি হতে চায় তাদের লাইফ প্ল্যান কি। ইত্যাদি বিষয় গুলোর মধ্য দিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখলে ডিপ্রেশন এর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

নিজের অর্জিত জ্ঞান সম্পর্কে অবগত হওয়া এবং তার পরিসর আরো বৃদ্ধি করা

images (2).jpeg

Source

• একটি মানুষ দিন আনে দিন খায় তার শিক্ষাগত যোগ্যতা হলো মেট্রিক পাশ সে প্রতিদিন 6 টায় কাজ শুরু করে এবং প্রায় সন্ধ্যা ছয়টায় বাড়িতে ফিরে তবুও তার মাসিক আয় দাঁড়ায় 6 থেকে 7 হাজার টাকা

• অন্যদিকে একজন শিক্ষিত ছেলে যার শিক্ষাগত যোগ্যতা হলো মাস্টার্স পাস একটি ভালো সার্টিফিকেট রয়েছে। সে সকাল 9 টার দিকে তার কাজে যায় এবং চারটার দিকে বাসায় ফিরে তবুও তার মাসিক আয়ের প্রায় 25000 টাকা এই দুজনের মধ্যে সবচেয়ে কমন পার্থক্য হল তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা একজনার কম ফলে তিনি বেশি পরিশ্রম করে কিন্তু মাসিক আয় সামান্য। আবার অন্যদিকে এবং শিক্ষিত ব্যক্তি অল্প পরিশ্রম করে কিন্তু তার মাসিক আয় তুলনামূলক বেশি

• তাই আমাদের উচিত নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে অবগত থাকা এবং দিন দিন জ্ঞান পরিষদ বৃদ্ধি করা। লকডাউনে একা একা বসে না থেকে নিজের সম্পর্কে চিন্তা করা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অবগত হওয়া এবং নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তোলার চেষ্টায় ভবিষ্যতে কর্মজীবনে ব্যাপক সুফল আনতে সক্ষম ইনশাআল্লাহ।

আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ

বিশেষ দ্রষ্টব্য: পোস্টে কোন বানানের ভুল ত্রুটি হলে আশা করছি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

অনুবাদে
@emonv

Sort:  

সুন্দর মন্তব্যের দৃষ্টান্ত। ভালোই লিখেছেন।

 3 years ago 

Thanks Raju for your response

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 67975.29
ETH 3240.67
USDT 1.00
SBD 2.66