আজ - শুক্রবার

🌺 চলুন শুরু করি 🌺

আসসালামুয়ালিকুম প্রিয় বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি। আমি বাংলাদেশ থেকে ইমন আজকে নতুন একটি পোস্টে আপনাদের সবাইকে আবারও স্বাগতম জানাচ্ছি

নাটক দেখতে আমার মনে হয় কম বেশি আমরা সবাই অনেক পছন্দ করি। বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম এখন বাংলাদেশে নাটক হয়ে এসেছে। আজকে ফেসবুকে ভিডিও দেখছিলাম হঠাৎ স্ক্রল করতে, করতে একটা ভিডিও সামনে আসলো যেখানে দেখলাম যে সুদূর ইন্ডিয়া থেকে একজন মোশারফে করিম স্যার এর ভক্ত বাংলাদেশে এসেছে বাইকে করে সে শুধুমাত্র মোশারফ করিম স্যারের সঙ্গে দেখা করার জন্য তখনই বুঝতে পারলাম যে নাটকের মধ্য অনেক কিছু রয়েছে যেগুলো মানুষের মন ছুয়ে যায় । আমিও ব্যক্তিগতভাবে মোশারফ করিম, ফারহান এবং পলাশের নাটক গুলো দেখে থাকি এতে অনেক বিনোদন পাওয়া যায়। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটা কমেডি নাটক যার নাম হচ্ছে কিডনিএই নাটকটি শেয়ার করব আশা করি শেষ পর্যন্ত সাথেই থাকবেন। নাটকটি সহজ ভাবে বোঝার জন্য চলুন প্রথমে ক্যারেক্টার এর সঙ্গে পরিচয় হয়ে আসা যাক।

🗒️ নাটকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যবলি🗒️

নাটকের নাম	কিডনি
অভিনয়ে	জুয়েল হক পলাশ, ইভানা, শরীফ আহমেদ জীবন এছাড়াও অনেকেই।
ভাষা	বাংলা
ডিরেক্টর	কাজল আরেফিন ওম
লেখক	কাজল আরেফিন ওম
নাটকের সময়	৫৪.৫০ মিনিট

✨ নাটকের সারসংক্ষেপ✨

স্ক্রিনশটের সোর্স_{youtube থেকে নেওয়া হয়েছে}

নাটকের প্রথমে আমরা দেখতে পাই যে পলাশ এবং ইভানা এবং তাদের সাথে রয়েছে তাদের একটা টিম যারা একটি গ্রামে একটি ছোট্ট হসপিটাল খুলেছে এটি মূলত একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বলে তারা আখ্যায়িত করছে এখানে পলাশ ইভানা এবং একটা ইন্ডিয়ান ডক্টর রয়েছে যারা মানুষের চিকিৎসার জন্য এই হসপিটাল টা খুলেছেন। শুধু নামে এই হসপিটাল টা চিকিৎসার জন্য খোলা হলেও এদের মূল উদ্দেশ্য ছিল মানুষের কিডনি ক্রয় করা।

পলাশের কথা মতে আমরা যা বুঝতে পারি তারা অনেক রিসার্চ করার পরে এই গ্রামটি তারা সিলেক্ট করেছে যে এই গ্রামের মানুষ গুলো অনেক ভোলা ভালা প্রকৃতির তাই তারা খুব সহজেই এদের বিভিন্ন রকম যুক্তি দিয়ে কিডনির বিক্রয় করার জন্য কনভেন্স করতে পারবে বলে তারা এখানে এসে হসপিটাল টা খুলেছেন।

স্ক্রিনশটের সোর্স_{youtube থেকে নেওয়া হয়েছে}

তারা হসপিটাল খোলার পরে তারা সবাই মিলে একটা মিটিং করে এবং সেই মিটিংয়ে গ্রামের সকল মানুষদের ইনভাইট করা হয় এবং তারপরে তারা তাদের এখানে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকে তারা এভাবে জিনিসটা বলে যে এখানে সম্পূর্ণ ফ্রি চিকিৎসা আমরা একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এখানে দাঁড় করিয়েছি আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে গরিব মানুষের সেবা করা।

অন্যদিকে ইভা যারা মহিলা রয়েছে তাদের বাড়িতে ,বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজ খবর নেয় এখানে তার মূল উদ্দেশ্য ছিল সাংসারিক যেই অর্থের প্রয়োজন হয়ে থাকে সেটা যেহেতু এরা দরিদ্র তাদের বিভিন্ন রকম যুক্তি দেওয়ার মাধ্যমে তাদের কিডনি বিক্রয় করার জন্য কনফারেন্স করা আর যেহেতু এই এলাকার মানুষগুলো আলা ভোলা টাইপের তাই তারা খুব সহজেই রাজি হয়ে যায় এবং ধীরে ,ধীরে তারা কিডনি বিক্রয় করার জন্য এই হসপিটালে আসে।

স্ক্রিনশটের সোর্স_{youtube থেকে নেওয়া হয়েছে}

এবার এই বিষয়টা যখন এলাকার বাসীদের মধ্যে জানাজানি হয়ে যায় তখন তখন ছেলে মেয়ে সবাই কিডনি বিক্রয় করার জন্য তাদের সাথে যোগাযোগ করে এবং তারা স্বল্পমূল্যে কিডনি ক্রয় করতে থাকে। এখানে একটা হাস্যকর চরিত্র রয়েছে তিনি হচ্ছে এইট পাস করেছেন কিন্তু সে একটা ডায়লগ দেয় যে আমি ১৯৯৩ সালে এইট পাস করছি এ যুগে এম এ পাসের সমান এটা আসলে অনেক মজার ছিল।

তো সে নিজেকে শিক্ষিত দাবি করলেও সবাই যেহেতু কিডনি বিক্রয় করতে শুরু করে সেও লোভে পড়ে এখানে তিনি কিডনি বিক্রয় করার জন্য আসে এবং শেষ পর্যন্ত পলাশ এবং ইভানাদের দল তাকে একটা জালি চেক হাতে ধরিয়ে চলে যায় অর্থাৎ তার টাকাটা মেরে দেয়। আসলে তাদের একটা লক্ষ্য ছিল যে কয়টা কিডনি তাদের প্রয়োজন তাদের লক্ষ্য পূরণ হওয়ার সাথে সাথেই তারা ওই হসপিটাল ভেঙে দিয়ে এখান থেকে চলে যায় এবং পরে যখন এটা জানাজানি হয়ে যায় শেষ পর্যন্ত গ্রামের লোক পস্তাতে থাকে।

নাটক থেকে পাওয়া শিক্ষা

এ নাটকটা থেকে আমরা এটা বুঝতে পারি যে অতিরিক্ত লোভ কখনোই ভালো না এটা সবসময় ক্ষতি বইয়ে আনে । তাই আমার মনে হয় মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের যেটুকু দিয়েছে সেটুকু আগলে রেখে নিজের উপর ভরসা রেখে আমাদের সামনে পথে এগিয়ে যাওয়া উচিত।