ঝাল মুড়ি খাওয়ার অনুভূতি || আমার বাংলা ব্লগ
আজ - সোমবার
অনেকদিন ঝাল মুড়ি খাওয়া হয় না । সেই তিন মাস আগে একবার খেয়েছিলাম তারপরে আর খাওয়া হয় নাই। আসলে ঝালমুড়ি খেলে আমার একটু এসিডিটির সমস্যা হয় পরে আবার বুক জ্বালাপোড়া করে আবার পেটেও ঝামেলা করে এজন্য এগুলো থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু আজকে এটা খেতে এত যে ইচ্ছা করলো যে বলে বোঝাতে পারবো না তাই আর বেশি দেরি না করে চলে গেলাম গাংনিতে ঝালমুড়ি খাওয়ার উদ্দেশ্যে। আসলে আমি সবসময় সৌরভ কাকার কাছ থেকে ঝাল মুড়ি খেয়ে থাকি। এনার নাম যেমন সৌরভ তেমনি এনার ঝালমুড়িতে যে কি জাদু রয়েছে এটা বলে বোঝানো যায় না । এত সুস্বাদু ভাবে যে ইনি ঝাল মুড়ি তৈরি করতে পারে যে প্রশংসা না করে সত্যি থাকতে পারছি না।
w3w locationhere
আসলে এনার ঝালমুড়ি শুধু মুখে মুখেই ভালো না এই ঝালমুড়ি খেতে দূর দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ আসে এবং মোটামুটি দশ থেকে বারোটা পর্যন্ত সিরিয়াল পড়ে যায় ঝাল মুড়ি খেতে। আমার মনে আছে আমি যখন প্রথম এনার কাছ থেকে ঝালমুড়ি খেতে গিয়েছিলাম তখন আমার সিরিয়াল নাম্বার হয়েছিল ১৩, তো আশেপাশে অনেক ঝাল মুড়িওয়ালা ঝালমুড়ি বিক্রয় করছিল তারপরেও যখন উনি বলল যে আপনার সিরিয়াল নম্বর হচ্ছে ১৩ তখন একটু সাময়িকভাবে বিরক্তবোধ করছিলাম কারণ এত সিরিয়ালের পরে আমার সিরিয়াল আসবে এটা ভাবতেই কেমন একটা লাগছিল কারণ আশপাশে অনেক ঝালমুড়িওয়ালা ছিল সেখান থেকে নিলেই তো হয়। তারপরে আমার বিরক্তভরা চেহারা দেখে রাসেল বলল যে বন্ধু এই ঝাল মুড়ি সিরিয়াল দিয়ে খেয়েও মজা ।
w3w locationhere
আসলে কথাটা রাসেল সত্যি বলেছিল এটা তখনই বুঝতে পারলাম যখন ঝালমুড়িটা একবার গালে নিলাম। তখন যেন সব অপেক্ষার বিরক্তি কর মুখের ছাপের উপরে ইতি টানা গেল। সেদিন আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে ঝালমুড়ি এত সুন্দর করে মাখিয়ে উপস্থাপন করা যায়! তো তারপর থেকে যখনই সময় পেতাম রেগুলার সৌরভ , কাকার কাছ থেকে ঝালমুড়ি খেতে যেতাম। তো তারপরে তো প্রায় তিন মাস সাড়ে তিন মাস এমন হয়ে গেছে ঝালমুড়ি খাওয়া হয় না । কারণ আমি তো বাইরে পড়তে গেছিলাম এখন কিছুদিন হল বাসায় এসেছি তাই মন চাইলো যে সৌরভ ভাইয়ের হাতের সেই পুরনো সাদের নতুন ঝাল মুড়িটা একবার চেকে আসি।
w3w locationhere
ঝাল মুড়ি খাওয়ার সময় দেখছিলাম অনেক মানুষের ভিড়। তার ভিতরে সৌরভ কাকা অনেক সুন্দর করে পেঁয়াজকুচি করলো এবং মরিচ কুচি করলো এরপরে তার নিজের হাতে তৈরি করা বিভিন্ন প্রকার মসলা একত্র করে তার ভিতরে মুড়ে ঢেলে দিল। এবং সাথে ভেজা ছোলা এগুলো সব কিছু মেশানোর পরে এর উপরে বনফুল চানাচুর দেওয়ার পরে সবগুলো একসঙ্গে মাখানো শুরু করলো এবং দুই থেকে তিন মিনিট মাখানোর পরে একটা প্লেটে করে দাঁড়িপাল্লায় ওজন করে আমাদের ৪০ টাকার দিল। এবং সাথে দিল শসার সালাদ। এরপরে আমি এবং রাসেল দুজন গল্প করতে ,করতে মুড়িমাখাটা শেষ করলাম এবং তারপরে দুজনে আবার বাড়ি ফিরে আসলাম। এতদিন পর মুড়ি মাখা খেয়ে বেশ ভালো লাগলো এবার হাতে সময় করে আবারও যাব ইনশাল্লাহ ।
🫂ধন্যবাদ!!!🤵
ব্লগার | @emonv |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix note 11 pro |
[[🔉প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]👩💻"ইমন ব্লগ"👩💻 এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক🏫 । আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার অনেকদিন পর ঝাল মুড়ি খাওয়ার অনুভূতিটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আসলে উনার কাছে মাঝে মাঝে আমিও ঝাল মুড়ি খেতে যেতাম । আসলে উনি খুব ভালো ঝাল মুড়ি বানাই। যার কারণে ওনার কাছে অনেক সিরিয়াল থাকলেও সবাই যেন উনার কাছ থেকেই ঝাল মুড়ি খেতে চাই। আমি অনেকদিন আগে ওনার কাছ থেকে ঝালমুড়ি খেয়েছিলাম দেখি যদি আবার কোনদিন সুযোগ হয় চলে যাব উনার কাছে ঝাল মুড়ি খেতে। তো যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আপনার এই অনুভূতি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। তবে এতে কিন্তু প্রচণ্ড গ্যাস হয়। খেতে ভালো লাগলেও সাবধানে খাবেন। তবে ব্লগটা দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে।
এখন খুব করে খাওয়ার ইচ্ছা জাগলে তো খেতেই হবে। ঝালমুড়ি আমারও অনেক ভালো লাগে তবে অনেকদিন হলো খাওয়া হয় না। কুষ্টিয়া পলিটেকনিকে দারুন একটি ঝালমুড়ি পাওয়া যেত কলেজে থাকাকালীন রোজ খাওয়া হত । এরকম কিছু বিখ্যাত ঝালমুড়ি আছে যেমন আপনাদের এখানেই দোকানটা। আপনার পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
এভাবে মুড়ি মাখিয়ে খেলে সেটা খেতে আসলেই অনেক ভালো লাগে। আমিও যখনই বাইরে কোথাও মুড়ি মাখাতে দেখি তখনই সেটা খেতে শুরু করে দেই। বিশেষ করে ধনিয়া পাতা দেবার কারণে মুড়ি মাখা খেতে আরও বেশি ভালো লাগে।
তাহলে তো দেখছি আপনার ঝাল মুড়ি খাওয়ার আগ্রহ অনেক। পবিত্র মাহে রমজান মাসে এই ধরনের খাবারগুলো খাইনা কারণ গ্যাসের সমস্যা করে। যেটা মুখোরচক খাবার আপনি আপনার প্রিয় দোকান থেকে ঝাল মুড়ি খেয়েছেন । সেই অনুভূতিটা আমাদের সাথে শেয়ার করলেন ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে এই ধরনের মুখরোচক খাবার খেতে অনেক মজা লাগে।
ঝাল মুড়ি খেলে আসলে অনেকেরই গ্যাসের সমস্যা হয়, আমার ক্ষেত্রেও হয়। যাইহোক, আমি মনে করি ভাই, ঝাল মুড়ি যদি টেস্টি হয় তাহলে একটু অপেক্ষা করে খেলে তাতে কোন সমস্যা নেই। যদিও আমাদের এখানে এরকম মাখানো ঝাল মুড়ি খুব বেশি একটা পাওয়া যায় না। আপনার ঝাল মুড়ি খাওয়ার অভিজ্ঞতা জেনে ভালো লাগলো ভাই।