হেমায়েতপুর বাজারের টাটকা সবজি || আমার বাংলা ব্লগ
আজ - রবিবার
হেমায়েতপুর বাজারটা অনেক বড় । মোটামুটি আমাদের এলাকা থেকে বেশি একটা দূরে না, এইতো ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগে ওখানে পৌঁছাতে। এই বাজারে নিয়ে এর আগে আমি কখনো আমরা বাংলা ব্লগ এ কখনোই পোস্ট করিনি। আসলে এই জায়গাটি আমাদের এলাকার একটা সাইডে যার কারণে এখানে তেমন একটা যাওয়া হয় না। বলা যায় আমাদের এলাকার বাইরে, আমাদের এদিকের মানুষেরা গাংনি মেহেরপুর, কুষ্টিয়া এইদিকে সবচেয়ে বেশি টান । তো ওই জন্য ওদিকে তেমন একটা যাওয়া হয় না । আসলে আমার আপুর একটা ছোট্ট অসুখ হয়েছিল যার কারণে আমি ওখানে গিয়েছিলাম। তো যেহেতু সেদিন গেলাম তো ভাবলাম যে এই বাজারটা ফটোগ্রাফি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করি, অনেকেরই তাহলে এটি সম্বন্ধে আইডিয়া হবে এবং আপনারা যদি কেউ আমাদের এলাকায় ঘুরতে আসেন সেই ক্ষেত্রে এই জায়গাটি সম্পর্কে একটা ভালো আইডিয়া পাবেন। চলুন তাহলে আর বেশি কথা না বাড়িয়ে বাজারটা ঘুরে আসি।
আমার বাজারে গিয়ে কোন কিছু কেনাকাটার কোন প্ল্যান ছিল না শুধুমাত্র ঘুরে দেখার প্লান ছিল। ওই সময় দেখলাম যে এক, দাদু একটা কদু হাত দিয়ে থাবা দিয়ে দেখছে যে কেমন। ওই দৃশ্যটা আমার কাছে দেখতে অনেক ভালো লাগছিল তাই একটা ফটোগ্রাফি করেছি।
আমি যখন বাজারে গিয়েছিলাম তখন বিকেল হয়ে গেছিল তাই ওখান থেকে সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্যটা দেখতে পাচ্ছিলাম এবং তখনকার ছবিটা তখন ক্যাপচার করে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম।যাতে আপনারা এই দৃশ্যটা উপভোগ করতে পারেন।
এটা দেখতে পাচ্ছেন যে আমাদের গ্রাম অঞ্চলের টাটকা ঝালের ছবি। অনেক এলাকায় আবার একে মরিচ বলে , তবে যার, যার আঞ্চলিক ভাষা হিসেবে এটাকে আখ্যায়িত করতে পারে এটা কোন বিষয় না।
যখন আমি বাজারে গেছিলাম তখন অনেক লাল , লাল টমেটো ছিল। টমেটোগুলো দেখেই খেতে ইচ্ছে করছিল তবে আমি যেহেতু একটা কাজের জন্য গিয়েছিলাম তাই সেদিন আর বাজার করিনি।
এটা দেখতে পাচ্ছেন পুঁইশাক। অনেকে আবার পুই ডাটা বলে আখ্যায়িত করে থাকে , তবে যেটাই হোক না কেন এই শাক খেতে আমার অনেক ভালো লাগে ।বিশেষ করে কালার ডাল দিয়ে যখন এটি রান্না করা হয় তখন সত্যিই অসাধারণ লাগে খেতে।
সেদিন আমার বাইকের ক্লাসের তারটা একটু সমস্যা করছিল তাই মেকার বাড়িতে গিয়েছিলাম এটি ঠিক করাতে । তখন উনি বললেন যে ভাই এটা ঠিক করাতে দুই থেকে তিন ঘন্টা সময় লাগবে কারণ আমার হাতে অনেক কাজ । এখন আপনি চাইলে আজকে দুই তিন ঘন্টা সময় দিয়ে কাজ করাতে পারেন অথবা অন্যদিন আসতে পারেন তো আমি অন্য দিন আসাটাই বেটার হবে মনে করলাম।
রাস্তা দিয়ে যখন বাড়িতে আসছিলাম তখন দেখলাম যে কৃষ্ণচূড়া ফুলের একটি গাছ। ফুল গাছটি দেখেই আমার অনেক ভালো লেগে গেল । আসলে ছবিতে তেমন একটা ভালো না লাগলেও বাস্তবে দেখতে সত্যিই এটি চমৎকার ছিল।
🫂ধন্যবাদ!!!🤵
ব্লগার | @emonv |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix note 11 pro |
[[🔉প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]👩💻"ইমন ব্লগ"👩💻 এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক🏫 । আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
বন্ধু তুমি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছ। তুমি হেমায়েতপুর বাজার ঘুরতে গিয়েছিলে। আরে হামারে তোর বাজারে গিয়ে তুমি বেশ কয়েকটি সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করলে যার মধ্যে টমেটো পুঁইশাক এগুলো দেখে মনে হচ্ছে একদম টাটকা সবজি। আসলে টাটকা সবজি খাওয়ার মজাই আলাদা। ধন্যবাদ বন্ধু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বাজার নিয়ে প্রথমবার পোস্ট করেছেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া। মাঝে মাঝে নতুন কিছু নিয়ে পোস্ট করতে ভালো লাগে। শাকসবজি গুলো দেখেও ভালো লাগলো। আর বাড়ি ফেরার পথে এত সুন্দর কৃষ্ণচূড়া ফুলের গাছ দেখেছেন দেখে সত্যিই ভালো লেগেছে। দেখতে কিন্তু খুবই সুন্দর লাগছে।
আপনি হেমায়েতপুর বাজারে গিয়ে বাজারের বেশ কিছু দৃশ্যের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যাইহোক আজকে আপনার ফটোগ্রাফি মাধ্যমে হেমায়েতপুর বাজারে কিছু দৃশ্য দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লাগলো। শেষের কৃষ্ণচূড়া গাছের ফটোগ্রাফি টা কিন্তু দারুন হয়েছে । যাইহোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সব মিলিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে করার জন্য।
কৃষ্ণচূড়া গাছের ফটোগ্রাফি টা দারুন হয়েছে। লাল টুকটুকে ফুলগুলো বেশ ভালো লাগছে দেখতে। আপনি বাজারে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। বাজারে ফ্রেশ সবজিগুলো বেশ ভালো লাগে দেখতে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। বিশেষ করে টমেটো এবং লাউ এর ফটোগ্রাফি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। হেমায়েতপুর বাজারের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে হেমায়েতপুর এর ওইদিকে প্রচুর পরিমাণে সবজি উৎপাদন হয় তাই হেমায়েতপুর বাজারে গেলেই সেখানে কম দামে টাকা সবজি পাওয়া যায়। আমিও তো মাঝে মাঝে ওই জায়গাটাতে যাই এবং বাড়ির জন্য সবজি কিনে নিয়ে আসি। কলায়ের ডাল দিয়ে পুঁইশাক খেতে আমার অনেক ভালো লাগে।
একেবারে গ্রাম্য বাজার। দেখে বোঝাই যাচ্ছে এখান সবাই নিজের চাষ করা সবজি নিয়েই বসেছে বিক্রি করতে। সবজিগুলো দেখতে বেশ ফ্রেশ লাগছে। রাস্তার পাশে কৃষ্ণচূড়া গাছটাও দারুণ লাগছে। হেমায়েত পুর বাজারে গিয়ে সময় টা বেশ দারুণ কাটিয়েছেন ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর ধারণ করেছেন।
বাজার করতে আমার কাছে ভালোই লাগে। তবে, তা নিজের টাকায় নয়, বাবার টাকায়। কেননা নিজের টাকা খরচ করতে একটু কষ্ট লাগে। যাইহোক আপনি হেমায়েতপুর বাজারের টাটকা সবজি কেনা কাটা করার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার বাজার করার অভিজ্ঞতা পড়ে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো।
বর্তমানে যে অবস্থা তাতে মানুষের প্রচুর পরিমাণে সবজি খাওয়া দরকার রয়েছে। বেশ অনেক সবজি গুলো বাজারে এসেছিল। সবজিগুলো দেখতে টাটকা মনে হচ্ছে। আসলে গ্রামাঞ্চলে যে হাট গুলো বসে সেখানে সবজিগুলো মূলত টাটকাই পাওয়া যায়। যেটা শহর অঞ্চলে পাওয়া যায় না।