ইন্টারস্টেলার || আমার দেখা একটা বিখ্যাত সাইন্স ফিকশন মুভি || ১০% @shy-fox এর জন্য
মোবাইলের স্কিনশর্ট থেকে নেওয়া হয়েছে
আমার প্রিয় স্টিমিট বন্ধুরা,
আমি বাংলাদেশ থেকে @emonv
আজ সোমবার , মার্চ ০৭/২০২২
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন আমিও অনেক ভালো আছি। আমি যদি সময় পাই তখন হলিউড মুভি গুলো উপভোগ করতে অনেক ভালোবাসি। তাই আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার একটা প্রিয় সাইন্স ফিকশন হলিউড মুভি রিভিউ করতে যাচ্ছি ।আশা করি আপনাদের কাছে এই পোস্টটি ভালো লাগবে। তবে চলুন শুরু করা যাক।
মুভিটির কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী
নাম | ইন্টারস্টেলার |
---|---|
পরিচালক | ইমা টমাস,ক্রিস্টোফার নোলান,লিন্ডা অবস্ট |
অভিনয় | ম্যাথু ম্যাকণাহে,অ্যান হ্যাথঅ্যাওয়ে জেসিকা ক্যাসটেইন,বিল আরউইন |
দৈর্ঘ্য | ১৬৯–মিনিট |
ভাষা | ইংরেজি |
মুক্তির তারিখ | ২৬ অক্টোবর ২০১৪ |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য |
নির্মাণ ব্যয় | $১৬৫ মিলিয়ন |
আয় | $৬৭২.৬ মিলিয়ন |
মুভির সারসংক্ষেপ
মোবাইলের স্কিনশর্ট থেকে নেওয়া হয়েছে
এই মুভিটির প্রথমেই আমাদের ভবিষ্যতে এমন একটি সিন দেখানো হয় যখন পৃথিবীতে তখন তেমন আর একটা ফসল হয় না কেননা মাটির উর্বরতা দিন, দিন হারিয়ে যাচ্ছে এবং পৃথিবীর সব স্থানের উর্বরতা প্রায় শেষের দিকে শুধুমাত্র পৃথিবীর মাটিতে ভুট্টা চাষ ছাড়া আর কোন ফসল হয় না। ফলে বড় ,বড় প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে গেছে এবং মানুষ চাকরি বাকরি না করে শুধুমাত্র চাষাবাদ করছে। এই সময় আমাদের মুভির প্রধান চরিত্র কপারকে দেখানো হয়। কপারের দুইটা সন্তান রয়েছে একজনের নাম হচ্ছে মাপ এবং আরেকজনের নাম হচ্ছে টম। মাফ পড়াশোনার দিক থেকে অনেক ভালো অনেক বুদ্ধিমতী একজন মেয়ে এবং অন্যদিকে টম এর পড়াশোনা ভালো লাগে না সে চাষাবাদ করতে অনেক ভালোবাসি।
কপার হচ্ছেন একজন ইঞ্জিনিয়ার যিনি আমেরিকার বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান নাসার সাথে কাজ করতেন কিন্তু পৃথিবীর এই খারাপ পরিস্থিতির কারণে এ বড়, বড় প্রতিষ্ঠান চালানোর মতো অর্থ সরকার বহন করতে পারে না সুতরাং এগুলো বন্ধ হয়ে যায়। কপারের ইচ্ছা তার দুই সন্তানকে সে ইঞ্জিনিয়ার বানাবেন। তাই সে মাপ এবং টমকে ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি করানোর জন্য সেখানে কথা বলার জন্য যায় । কিন্তু তারা বলেন পৃথিবীতে এখন আর ইঞ্জিনিয়ার এর কোনো প্রয়োজন নেই এখন পৃথিবীর ভালো কৃষকের প্রয়োজন যারা চাষাবাদ করতে পারবে এবং এক পর্যায়ে কপার এর সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয় এবং ইউনিভার্সিটি তে তার দুই সন্তানকে ভর্তি করার মতো পরিস্থিতি হয়ে উঠে না।
মোবাইলের স্কিনশর্ট থেকে নেওয়া হয়েছে
এখন পৃথিবী অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফলে পৃথিবীর আবহাওয়া এবং জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। মাঝেমধ্যে দেখা যায় ব্যাপক পরিমাণে ধুলির ঝড় ওঠে এবং একদিন মাপ এবং কপার বাড়ি ফিরতে ,ফিরতে হঠাৎ করে একটা বড় ধূলিঝড় এর খপ্পরে তারা পড়ে যায় এবং তারা অনেক কষ্ট করে কোন এক পর্যায়ে বাড়িতে ফেরেন । তারপরে প্রকৃতির এই ব্যাপক রূপের কারণে তাদের বাড়িতে কিছু ধূলিকণা এর মাধ্যমে কিছু লেখা লক্ষ্য করে মিস্টার কপার। আপনার যেহেতু জানেন মিস্টার কপার একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন এবং তিনি বই পড়তে অনেক ভালোবাসতেন তাই বিভিন্ন রকমের ভাষাভাষীর বই তিনি তার কালেকশনে রাখতেন । হঠাৎ করে মিস্টার কপার এর সন্দেহ হলো এটা যেন কিছু আমাদেরকে জানাতে চাচ্ছে তাই সে তার কালেকশন করা বই থেকে এই লেখার ভাষাটা বুঝতে পারে এবং কোন এক পর্যায়ে তার ওই ভাষাটার অর্থ মূল্যায়ন করতে পেরে কপার এবং মাফ একটি ল্যাবে পৌঁছে যাই।
মোবাইলের স্কিনশর্ট থেকে নেওয়া হয়েছে
এখানে একটা বিষয় লক্ষণীয় সেটা হচ্ছে পৃথিবী যেহেতু আর বসবাসের মত যোগ্য নেই তাই মানুষের প্রয়োজন অন্য একটা গ্রহে বসবাসের উপযুক্ত এমন জায়গা খুঁজে বের করা । তাই এই ল্যাবে দেশের বিখ্যাত সব বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছে কিভাবে এই পৃথিবী থেকে অন্য একটি গ্রহে বসবাসের উপযোগী এমন জায়গা খুঁজে বের যাই। তাই তারা একটা রকেট তৈরি করেছেন অন্য কোন গ্রহ খোঁজার জন্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তাদের কাছে কোন পাইলট ছিল না এই রকেট টি চালানোর জন্য এবং সেই সময়ে কপার ওই ল্যাবে প্রবেশ করে। আপনারা সবাই জানেন কপার একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিল এবং সে দীর্ঘদিন আমেরিকান প্রতিষ্ঠান নাসাতে কাজ করেছিল তাই সে অনেক ভাল একজন পাইলট। এক পর্যায়ে তারা সিদ্ধান্ত নিলো কপার কে এই প্লেনের সঙ্গে পাঠাবে এবং তার সঙ্গে আরও কিছু লোক পাঠাবে যাতে তারা অন্য কোনো গ্রহে গিয়ে সেই গ্রহের স্যাম্পল ম্যানেজ করতে পারে এবং সেখানে কি মানুষের বসবাস উপযোগী কিনা এমন তথ্য গুলো তাদের কাছে দিতে পারে।
মোবাইলের স্কিনশর্ট থেকে নেওয়া হয়েছে
এবার তাদের প্লান অনুযায়ী তারা রকেটে চেপে মহাকাশে উড়ে যায় এবং বিভিন্ন গ্রহ ভ্রমণ করে। এখানে একটা বিষয় লক্ষণীয় হচ্ছে এই মুভি থেকে আমরা আমাদের বিজ্ঞান সম্পর্কে অনেক অনেক বড় বড় তথ্যগুলো বাস্তবায়িত হওয়ার প্রক্রিয়া দেখতে পারি। যেমন বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের একটা বিখ্যাত থিওরি হচ্ছে থিওরি অফ রিলেটিভ এই থিওরিটা কিভাবে কাজ করে সেটা এই মুভিতে অনেক সুন্দর ভাবে দেখানো হয়েছে। এছাড়াও আমাদের ইউনিভার্স তারপরে ব্ল্যাক হোল কিভাবে কাজ করে এবং একটি জায়গা থেকে অন্য একটি জায়গায় খুব কম মুহূর্তে যাওয়া যায় এই বিষয়গুলোর অনেক সুন্দর ভাবে ধারণা দেয়া রয়েছে । যার ফলে এই মুভিটি আমার ফেভারিট একটা মুভি। যাহোক একপর্যায়ে তারা অনেক গ্রহ ভ্রমণ করে এবং কিছু মানুষ মারা যায় কিন্তু মিস্টার কপার বেঁচে থাকেন এবং পৃথিবীতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয় এক পর্যায়ে তিনি টাইম ট্রাভেল করেন এটা অনেক আশ্চর্য একটা বিষয় এবং শেষ পর্যন্ত পৃথিবী রক্ষা পায়।
মুভি থেকে পাওয়া শিক্ষা
এই মুভিটি আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে একদম অসাধারণ লেগেছে কেননা এমন আইডিয়া ভরা একটা মুভি দেখতে পেরে সত্যিই আমি মুগ্ধ। এই মুভিটি দেখি আমরা বুঝতে পারি যে সূর্যের চেয়ে গতিতে যদি কেউ চলতে পারে সেক্ষেত্রে সময় পিছে চলে যায়। এছাড়াও ব্ল্যাক হোলের ভিতরে কিভাবে সময় বাঁকা হয়ে যায় এ বিষয়টি অনেক সুন্দর ভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছি আমি এই মুভি থেকে। এছাড়াও আমাদের বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের থিওরি গুলো কিভাবে কাজ করে এই মুভিতে দেখলে খুব সহজে সেটা বোঝা যায়।
মুভিটির আইএমডিবি রেটিং
আমার ব্যক্তিগত রেটিং
- ১০% বেনিফিসার প্রিয় @shy-fox কে দেওয়া হয়েছে।
❤️ধন্যবাদ!!!❤️
[[প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]"ইমন ব্লগ" এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক শিক্ষার্থী। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।
আপনার এই পোস্টটা পড়ে খুবই উপকার হলো। আমি অনেক দিন যাবত এই মুভিটি দেখার কথা চিন্তা করছিলাম। আপনি যেহেতু ডাউনলোড লিংক দিয়েছেন এখন এখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবো। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি হলিউড মুভি দেখতে অনেক ভালোবাসি আপনার যদি কোন হলিউড মুভি ডাউনলোড করতে প্রবলেম হয় আমাকে ডিস্কট এ নক দিতে পারেন 5 মিনিটেই লিংক দিয়ে দিব। এই ফাইলটি ডুয়েল অডিও আপনি চাইলে এটি হিন্দিতে উপভোগ করতে পারেন। ধন্যবাদ প্রিয় ভাই ❤️❤️
ভাই সত্যি বলতে আমারও সাইন্স ফিকশন মুভি গুলো খুব ভালো লাগে। তাছাড়াও হ্যাকিং মুভি এবং চুরি ডাকাতির মুভি গুলো খুবই ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে মুভিটির রিভিউ করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
আপনার মুভি রিভিউ দেখে আমার খুব ভালো লাগলো একেবারে ধুম ধারাক্কা। সায়েন্স ফিকশন মুভি অথবা বই গুলো আমার খুব ভালো লাগে। আপনার মুভি রিভিউ দেখে আমার একটি বইয়ের কথা খুব মনে পরল সাইন্স ফিকশন একটি বই নাম নায়ীরা বইটি পড়ে আমার খুব ভাল লেগেছিল। ধন্যবাদ আপনার ভালোলাগার অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক সুন্দর একটি মুভি রিভিউ লিখেছেন আপনি। আসলে এই মুভিটি ক্রিস্টোফার নোলানের একটি মাস্টারপিস। আমি এই ছবিটি বেশ কয়েকবার দেখেছি। একদিকে যেমন ব্যাপক জনপ্রিয় এই ছবিটি তেমনি ছবিটিতে চিন্তার খোরাকও আছে অনেক। ছবিটি সম্পূর্ণ বুঝতে হলে বিজ্ঞানের খুঁটিনাটি অনেক কিছু সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। যাই হোক আপনার সম্পূর্ণ রিভিউটি পড়লাম। প্রায় সম্পূর্ণ কাহিনীই কভার করতে পেরেছেন। ছবিটি আমারও খুবই পছন্দের। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
এই মুভিটা আমি দেখিনি। কিন্তু আপনার ব্যাখ্যা দেখে মনে হচ্ছে খুব অসাধারণ একটি মুভি। এ ধরনের মুভিগুলো আমার এত বেশি দেখা হয় না কিন্তু কেউ যদি রিভিউ দেব তখন আমি মুভি দেখার চেষ্টা করি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মুভি রিভিউ পোস্ট আমাদের শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য।
মুভিটি দেখতে পারেন ভাই জাস্ট অসাধারণ ছিল। এটা দেখার মাধ্যমে মহাকাশ সম্পর্কে অনেক জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে ধন্যবাদ।
টুইটার শেয়ার লিংক
ক্রিস্টোফার নোলান এর মুভি মানেই ধামাকা। ক্রিস্টোফার নোলানের সবগুলো মুভি আমার খুবই ভালো লাগে। এই মুভিটি আমি দেখেছি এই মুভিটি আমার কাছে খুব বেশি ভালো লেগেছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে পুরো মুভিটির রিভিউ আমাদের সামনে উপস্থাপনা করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মুভি রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
মুভিটি থেকে সত্যি আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে ভাই, ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
আপনার দেখা বিখ্যাত মুভিটি কখনো দেখি নাই তবে মুভিটি রিভিউ পড়ে মুভি সবকিছু বুঝলাম । আপনি অনেক সুন্দর ভাবে মুভিটি রিভিউ করেছেন ।
আশা করি পরবর্তীতে আরো সুন্দর সুন্দর মুভি রিভিউ আমাদের সামনে নিয়ে আসবেন
সময় পেলে মুভিটি একবার দেখতে পারেন অনেক কিছু উপলব্ধি করতে পারবেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সাইন্স ফিকশন মুভি তেমন একটা দেখা হয়না।তবে এই ধরনের মুভিগুলো আমাদের দেখা উচিত।ইন্টারস্টেলার মুভির রিভিউ আপনি খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি সিনেমার রিভিউ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
জি ,ভাই সবাই বলে এটি দেখতে পারেন অনেক মজা পাবেন।
সাইন্স ফিকশন মুভিগুলো আমার খুব ভালো লাগে।এই মুভিটা দেখা হয়নি।রিভিউ পোস্ট পড়ে ভালই লাগল।দেখে নেবো খুব শীঘ্রই।ধন্যবাদ আপনাকে।