একুশে ফেব্রুয়ারি পালন এর ছোটবেলার কিছু মুহূর্ত || ১০% বেনিফিসারী @shy-fox এর জন্য
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ বাসি
আমি বাংলাদেশ থেকে @emonv
আজ মঙ্গলবার , ফেব্রুয়ারী ২২/২০২২
প্রথমে আমাদের শহীদ ভাইদের স্মরণে তাদের প্রতি দোয়া প্রার্থনা করে আমার পোস্ট শুরু করতে যাচ্ছি। আমি একজন বাঙালি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা পেয়ে সত্যি আমি গর্বিত। আমরা আমাদের এই মাতৃভাষা খুব সহজেই এখন স্বাধীনভাবে বলতে পারছি তবে 1952 সালের দিকে এই ব্যাপারটি কিন্তু এত সহজ ছিল না । আমাদের শহীদ ভাইয়েরা স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আমাদের এই ভাষাকে আমাদেরকে উপহার দিয়ে গেছেন এটা সত্যি আমাদের জন্য অনেক গর্বের বিষয় এবং তাদের প্রতি অসংখ্য শ্রদ্ধা এবং দোয়া কামনা করি তাদের জন্যই আজকে আমরা আমাদের স্বাধীন মাতৃভাষায় কথা বলতে পারি নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারি। আমাদের মাতৃভাষা বাংলা করার যে ইতিহাসটি সেটা প্রায় সকল বাঙালি মোটামুটি জানেন । আমরাই প্রথম জাতি যারা তাদের মাতৃভাষার জন্য জীবন দিয়েছে এটা ইতিহাসের সত্যিই অনেক বিরল।
একুশে ফেব্রুয়ারি হলো আমাদের শহীদ ভাইদের স্মরণের একটি দিন। যারা এত ত্যাগ তিতিক্ষার মাধ্যমে আমাদের এই দেশকে স্বাধীন করেছিল তাদের স্মরণ এর একটি দিন। আমার মনে আছে যখন অনেক ছোট ছিলাম তখন আমাদের স্কুল থেকে এই দিবসটি অনেক সুন্দরভাবে পালন করা হতো যেমন আমরা সকালে ভোর বেলায় খাওয়া-দাওয়া সেরে স্কুলে চলে যেতাম খালি পায়ে এবং সেখানে আমাদের স্যার এবং ম্যাডাম আমাদেরকে আমাদের গ্রামের রাস্তা গুলোতে রিয়ালি করাতো । যেখানে আমরা খালি পায়ে হাঁটতাম এবং জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু এবং আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী আমি কি ভুলিতে পারি এই কথাটি বলতাম এগুলো সত্যি অনেক স্মৃতি শীল হয়ে আছে আমার এই জীবনে।
এভাবে প্রায় এক থেকে দুই ঘন্টা মতো আমরা রিয়ালিটি হাঁটাহাঁটি করতাম এবং আমাদের দেশের সম্পর্কে জয়ধ্বনি দিতাম এবং তার সাথে ,সাথে আমাদের স্যার এবং ম্যাডাম অনেক ভাবে আমাদেরকে সাহায্য করত এবং তারাও জয়ধ্বনি দিত। একপর্যায়ে এই রিয়েলি যখন শেষ হয়ে যেত তখন আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে একটি জায়গায় জড়ো হতাম তারপরে বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান করা হতো যেমন দেশাত্মবোধক গান দেশের জন্য কবিতা এবং বিভিন্ন রকম সেগমেন্ট চালু করা হতো । যেখান থেকে আমরা আমাদের দেশের সম্পর্কে দেশের উন্নয়নের সম্পর্কে আরো অনুপ্রাণিত হতাম এবং আমাদের ভাইদের ত্যাগ-তিতিক্ষার বিষয়টি অনেক ভালভাবে উপলব্ধি করতে পারতাম। আমাদের গুরুজন রা তখন বলতো যারা শহীদ হয়েছে তারা নাকি মরে না তারা আজীবন জীবিত থাকে এটা সত্যি একটা বাস্তব কথা। আমাদের যদি সুযোগ আসতে হয়তো আমরা আমাদের দেশের জন্য আমাদের প্রাণ ত্যাগ করতে দ্বিধা বোধ করতাম না।
এক পর্যায়ে আমাদের সব অনুষ্ঠান গুলো শেষ হয়ে যেত এবং তখন আমরা সবাই নীরব হয়ে আমাদের শহীদ ভাইদের জন্য দোয়া করতাম এবং শহীদ মিনারে গিয়ে তাদের জন্য ফুল দিয়ে আসতাম এই মুহূর্তগুলো সত্যিই অনেক চমৎকার ছিল । দিনশেষে আমি দোয়া করি আমাদের শহীদ ভাইয়েরা যেন জান্নাত বাসি হতে পারে তাদের ত্যাগ-তিতিক্ষার জন্যই আমরা আজকে এই পর্যায়ে আসতে পেরেছি। নিজের মাতৃভাষায় কথা বলতে পেরে সত্যি অনেক ভালো লাগে এবং নিজেকে গর্বিত মনে হয়। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে বসবাস করে আমরা যেমন শান্তি অনুভব করি এর পুরোটাই ক্রেডিট যায় হচ্ছে আমাদের শহীদ ভাই , বোন এবং আমাদের সরকারদের । ভালো থাকুক আমাদের সেই শহীদ ভাই বোনেরা তাদের জন্য আমরা গর্ববোধ করি।
- ১০% বেনিফিসার প্রিয় @shy-fox কে দেওয়া হয়েছে।
🫂ধন্যবাদ!!!🤵
ফটোগ্রাফার | @emonv |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | VIVO Y12 A |
[[🔉প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]👩💻"ইমন ব্লগ"👩💻 এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক🏫 শিক্ষার্থী। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।
আপনি খুব সুন্দর করে ছোট বেলার মাতৃভাষা পালনের বর্ণনা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। খুব ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। আসলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন এগুলো ধরে রাখতে পারে সেটা আমাদের করতে হবে। আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হবে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জি ভাই এটা আমাদের সত্যি দায়িত্ব যে এই ইতিহাস যেন আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম ধরে রাখতে পারে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
টুইটার শেয়ার লিংক
একুশে ফেব্রুয়ারি পালন এর ছোটবেলার কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন অনেক ভালো লেগেছে পোস্টটি পড়ে সত্যি ছোটবেলায় অনেক মজা করতাম একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে কিন্তু এখন সেই রকম উৎসব দেখা যায় না এই দিন টা আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার ছোট বেলার কথা খুব মনে পড়ে গেল ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ঠিক বলেছেন ভাই ছোটবেলায় যেভাবে মজা করতাম এখন সত্যিই তেমন আর মজা করা হয় না। ধন্যবাদ আপনাকে।
এত কষ্ট করে আমরা ভাষা অর্জন করেছি তার পরেও আমরা এখনো বাংলা ভাষা ভালোভাবে বলতে কিংবা লিখতে পারিনা। এটা সত্যি আমাদের প্রত্যেকের জন্য একটা ব্যর্থতার বিষয়। আমাদের অবশ্যই সঠিক বাংলা ব্যবহার করতে হবে এবং এর ব্যবহার জানতে হবে।
ফটো সংগ্রহ গুলো অনেক ভাল লাগার মত
জি ,ভাই অনেকেই রয়েছে আমাদের মধ্যে বাঙ্গালী হয়েও বাংলা ঠিকভাবে লিখতে পারে না এটি সত্য অনেক দুঃখজনক। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ২১ শে ফেব্রুয়ারি পালনে ছোট বেলার অনুভূতি গুলো জেনে ভালো লাগলো। আমার ছোট বেলার কথা গুলাও মনে পরে গেলো। আমি ছোট বেলায় সকালে ঘুম থেকে উঠে স্কুলে চলে যেতাম। তখন হয়ত ফুল কেনার টাকা থাকতোনা ছুটির দিন বলে। আগে যারা ফুল দিয়েছিলো সেখান থেকে নিয়েই ফুল দিতাম।
ঠিক বলেছেন ভাই তখন ফুল কনার সত্যি টাকা থাকতো না একদম মনের একটা কথা বলেছেন আপনি। ❤️❤️
আপনি খুব চমৎকার করে আপনার ছোটবেলার একুশে ফেব্রুয়ারি পালনের স্মৃতিগুলো বর্ণনা করেছেন। আসলে আমাদের প্রত্যেকেরই একই রকম ভাবে ফেব্রুয়ারি পালন করার স্মৃতি রয়েছে। আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার ছোটবেলার স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল। একুশ আমাদের চেতনা সেই একুশের চেতনায় আমরা বারবার উজ্জীবিত হই। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন ভাই একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করার অনেকেরই স্মৃতি রয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
শব্দটি হবে সম্ভবত র্যালিটি।
আমি অবশ্য ছোটবেলায় কখনো একুশে ফেব্রুয়ারীতে স্কুলের অনুষ্ঠানে যোগ দেইনি। আমি এবং কিছু বন্ধু-বান্ধব মিলে আমরা আশেপাশের শহীদ মিনার গুলোতে ঘুরে বেড়াতাম। আর এই ঘোরাঘুরি শুরু হতো আগের রাত থেকে। সকালে যখন শহীদ মিনার গুলো ফুলে ফুলে ছেঁয়ে থাকতো তখন দেখতে অসাধারণ লাগত। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার শৈশবের স্মৃতি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
জি ভাইয়া একদম ঠিক বলেছেন এটাই সঠিক ছিল। টাইপ করতে গিয়ে ছোট মিসটেক হয়ে গেছিল। ধন্যবাদ আপনাকে ভুলটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ❤️❤️
মাতৃভাষাকে ঘিরে খুব সুন্দর করে লিখেছেন আপনি আজকে ভাই। আপনার লেখা গুলোর মধ্যে এক ধরনের মায়া কাজ করছে। ছোটবেলার মুহূর্তগুলো আসলেই খুবই স্মরণীয় এবং সেগুলো আজীবন আমাদের মনে থাকবে। এখন ব্যস্ততার কারণে হয়তো তেমন সময় হয়ে ওঠে না তবে মন থেকে চিরদিন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা থাকবে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাই আমার।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাই চমৎকার এই মন্তব্য করার জন্য।
আপনার পোস্ট দেখে আমার নিজের ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেলো। ২১শে ফেব্রুয়ারি নিয়ে দুই দিন আগে থেকেই একটা জলপনা কল্পনা থাকতো। এ জন্য ফুল জোগাড় করে বোতলের পানিতে গোড়া ভিজিয়ে রাখতাম। আসলে ২০ ফেব্রুয়ারিতে তেমন ফুল পাওয়ার যেত না তাই। সেগুলো আজ শুধু স্মৃতির পাতায় আছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ অসাধারণ পোস্ট লিখার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আপনার মূল্যবান মতামতটা শেয়ার করার জন্য। ❤️❤️
আপনার এই পোস্ট টি পড়ে আমারও ছোটবেলার একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটি উদযাপন এর কথা মনে পড়ে গেল। আপনার মত আমাদের স্কুলেও এভাবে রেলি করা তো আর দেখা যেত গ্রামের যত আনাচে কানাচে রাস্তা আছে সব গুলো দিয়েই মোটামুটি হাটা হতো অবশ্যই স্কুলে ফিরে আসার পরে এক প্যাকেট নাস্তা দিয়ে কিছু স্বাধীনতা বিষয়ক ভাষণ,গান,কৌতুক এর মাধ্যমে সমাপ্ত করা হতো এই একুশে ফেব্রুয়ারি দিনের উদযাপন।
জি আপু ছোটবেলায় আমারও এভাবেই একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন করতাম আপনি একদম মনের একটা কথা বলেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।