আলমডাঙ্গা টু সৈয়দ মনসুর আলী রেলস্টেশন || আমার বাংলা ব্লগ
আজ - শুক্রবার
আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটা ছোট্ট ট্রাভেল পোস্ট শেয়ার করছি, আমার মনে হয় আপনাদের কাছে পোস্টটা অনেক ভালো লাগবে কারণ আমার লাইফের নতুন একটা অভিজ্ঞতা এই পোষ্টের মধ্যে শেয়ার করব। আমি আশা করি আজকের এই পোস্টটা আপনাদের ভাল লাগবে ইনশাল্লাহ। এইতো গত ২০ দিন আগে বাসায় গিয়েছিলাম ঈদ করার জন্য, ঈদ শেষে যখন ছুটি শেষ হলো আবার বাসা থেকে তো ফিরে আসতে হবে 🙃। বাসা থেকে ফিরে আসতে মন চায় না কিন্তু কি আর করার জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে পড়ালেখা করতে হবে অবশ্যই। তো এই জন্যই আর কি প্রিয় আত্মীয়-স্বজন ছেড়ে দূরে এসে নিজের শিক্ষাকে আরো মজবুত করার কাজ চলমান রেখেছি। আমার বাড়ি থেকে আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনে আসতে 60 টাকার মতো ভালো লাগে তো সকালে গোছগাছ করে চলে আসলাম আলমডাঙ্গা রেল স্টেশনে।
এবার রেল স্টেশনে আসার পরে জানতে পারলাম আজকে ট্রেন বারোটা ২৫ এ । কিন্তু আমি তো সকাল নয়টার দিকে এখানে পৌঁছে গেছি কারণ এর আগে একটু লেট করে আশাতে আমি ট্রেন মিস করে ফেলছিলাম তাই এমনটা যেন না হয় এর জন্য সকাল, সকাল বাসা থেকে রওনা দিয়েছিলাম এবার টিকিট কাউন্টারের টিকিট কাটার জন্য যখন দাঁড়ালাম তখন উনি বললেন যে চিত্রা এক্সপ্রেসের টিকিট ১১ টার পরে ছাড়া হবে। তো নয়টা থেকে ১১ টা অনেক লম্বা একটা সময় মোবাইলে ভিডিও দেখছিলাম এবং আপনাদের কমেন্টগুলো পড়ছিলাম এভাবেই সময় গুলো পার হয়ে গেল। এর মধ্যে আন্তঃনগর এক্সপ্রেস দেখলাম ছেড়ে দিয়েছে তখন টিকিট কাউন্টারে গিয়ে আমার টিকিটটা সংগ্রহ করে নিলাম। টিকিট যখন সংগ্রহ করছিলাম তখন ওখানে প্রচুর ভিড় ছিল তাও লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিটটা কেটে নিলাম কারণ এটা ট্রেনে ওঠার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
➡️➡️➡️➡️
তো যাই হোক এক সময় টিকিট ক্রয় করার পরে যখন ট্রেন আসলো তখন কোনমতে ট্রেনে উঠলাম । কিন্তু যখন দুই তিনটা রেলস্টেশন পার হয়ে গেল তখন চিত্রটা পুরোটাই আলাদা হয়ে গেল কারণ রেল স্টেশনে মাত্র কয়েকটা মানুষ নামছে কিন্তু একটা মানুষ নামলে সেখানে সাত থেকে আটটা মানুষ ট্রেনে উঠতেছে। কিন্তু ট্রেনে তো একেবারেই জায়গা নেই। আমি নিজেই ট্রেনের স্ট্যান্ড টিকিট কেটেছিলাম ট্রেনের কোন সিট পাইনি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বুঝতে পারলাম স্ট্যান্ড টিকিট কেটে ভালো হয়েছে কারণ যারা ট্রেনের ভিতরে সিটে রয়েছে তারা এমনও অনেকে রয়েছে তাদের স্টেশন চলে এসেছে কিন্তু তারা নামতে পারে নাই কারণ ভিতরে মানুষের প্রচুর ভিড় এমন অবস্থা একেবারে পা ফেলার জায়গা নেই। আমি ট্রেনের বেলকনিতে দাঁড়িয়েছিলাম, এবং যখন ট্রেন ঈশ্বরদী বাইপাসে এসে থামল তখন দুইটা মেয়ে জোর করে আমাদের বগিতে উঠে পরল হয়তোবা তারা ট্রেনের টিকিট কেটেছে তাই তাদের কিছু করার নেই।
আসলে তাদের সাথে অনেকগুলো সরঞ্জাম ছিল প্রায় তিন-চারটা ব্যাগ তো যেহেতু ভিতরে অনেক লোক ছিল তাই আমরা জায়গা দিতে পারছিলাম না কিন্তু ওনারা তো উঠবেই। উনারা দুইজন জোর করে আমাদের কাছে সরঞ্জামগুলো দিয়ে দিলেন এবং উঠে পড়লেন আসলে যেহেতু উনারা মেয়ে মানুষ ছিল তাই সম্মানের খাতিরে আমরা কোনমতে কষাকষি করে জায়গা দিয়ে ওগুলো হাতে নিয়ে তুলে নিলাম এবং বাকিরা যারা ছিল তারা হুটহাট করে ট্রেনের ছাদে উঠে পড়ল। আমি ট্রেনে হয়তোবা আজ পর্যন্ত 10 থেকে 15 বার জার্নি করেছি কিন্তু এত ভিড় এর মধ্যে কখনোই জার্নি করা হয়নি। এটাই আমার প্রথম অভিজ্ঞতা ছিল। আমার পাশে একজন ভদ্রলোক উঠেছিলেন উনি বলল যে এটা আমার প্রথম ট্রেনে জার্নি আমি আর ট্রেনে জার্নি করব না 😅, তারপরে যখন ট্রেন সৈয়দ মনসুর আলী রেলস্টেশন এসে থামল তখন তখন যেন গায়ে একটা শান্তির বাতাস লাগলো। যাই হোক ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য আবারও খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্টে দেখা হচ্ছে।
🫂ধন্যবাদ!!!🤵
ব্লগার | @emonv |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix note 11 pro |
[[🔉প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]👩💻"ইমন ব্লগ"👩💻 এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক🏫 । আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ট্রেন জার্নির কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরতে দেখে অনেক ভালো লেগেছে। অনেকদিন পর রূপপুরের সেই দৃশ্য দেখতে পারলাম। যেখানে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি রেললাইন মানুষজন আর সে সমস্ত বিষয়ের বর্ণনা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। তবে বলতে পারি ভিড়ের মধ্যে জার্নির মধ্যে রয়েছে নতুন অভিজ্ঞতা। অবশেষে কাঙ্খিত স্থানে পৌঁছে গেছেন এবং শান্তির বাতাস পেয়েছেন জেনে ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটা পড়ে যথার্থ মতামত করার জন্য।
বন্ধু তুমি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছ। তুমি আলমডাঙ্গা থেকে রেল স্টেশনে ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে তুমি মনসুর আলী রেলস্টেশনে গিয়েছিলে। তোমার পোস্টে দেখে খুবই ভালো লাগলো এবং বিষয়টি জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো। আর তোমার পোস্ট দেখে রেলস্টেশনে যাওয়ার বেশ কয়েকটি বিষয় জানতে পারবে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ বন্ধু শেয়ার করার জন্য।
ইমন ভাই খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। জার্নি র মধ্যে সবচেয়ে আরামদায়ক জার্নি হচ্ছে টেন জার্নি। তবে লোকাল ট্রেন জার্নিগুলোতে ভিড় বেশি হলে একটু অস্বস্তি করা লাগে। ট্রেনে বসে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছেন সেগুলো অসাধারণ সুন্দর হয়েছে। খুব সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলেই ভাই পরিবার ছেড়ে দূরে গিয়ে লেখাপড়া করা বেশ কষ্টের। যাওয়ার সময় অনেক কষ্ট হয়। ঈদের সময় হওয়াই এইরকম ভীড় হয়েছিল। আর আপনি পরবর্তীতে অনলাইনে ট্রেনের সময় সূচি দেখে নিবেন এবং তারপর বের হবেন। Www.bd railway e-ticket.com ওয়েব সাইটে গেলে বাংলাদেশের সকল ট্রেনের ইনফরমেশন দেখতে পারবেন।