পাবদা মাছ ও কচুর মজাদার রেসিপি || ১০% @ প্রিয়@shy-fox এর জন্য
আমার প্রিয় স্টিমিট বন্ধুরা,
আমি বাংলাদেশ থেকে @emonv
আজ মঙ্গলবার, মে ৩১/২০২২
আসসালামুয়ালাইকুম প্রিয় বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি মহান আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন আমিও অনেক ভালো আছি আজকে আমি অনেক দিন পর আপনাদের মাঝে পাবদা মাছের রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি পাবদা মাছ অনেক সুস্বাদু একটি মাছ এটি খেতে খুবই মজাদার । বিশেষ করে এই গ্রীষ্মের শুরুর দিকে এই মাছগুলো খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে এবং মাছ-ভাত আমারও অনেক প্রিয় খাবার। আজকে আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আপনারা কিভাবে খুব সহজেই পাবদা মাছের রেসিপি তৈরি করবেন । আমি এই রেসিপিটার সঙ্গে কচু ঝিঙ্গা এগুলো ব্যবহার করেছি আপনারা চাইলে অন্য ভাবেও এটি তৈরি করতে পারেন। তবে চলুন দেখে আসা যাক কিভাবে তৈরি করা যায় সুস্বাদু পাবদা মাছের মজাদার রেসিপি।
◆ প্রয়োজনীয় উপকরন সমুহ
ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | পাবদা মাছ | ৬০০ গ্রাম |
১ | ঝিঙ্গা | পরিমাণমতো |
৩ | হলুদ | পরিমাণমত |
৪ | লবণ | স্বাদ অনুযায়ী |
৫ | সয়াবিন তেল | পরিমান মত |
৬ | কাচা ঝাল | পরিমাণমত |
৭ | পেঁয়াজ বাটা | পরিমাণমত |
৮ | কচু | পরিমাণমত |
৯ | জিরা বাটা | পরিমান মত |
প্রথমে পাবদা মাছ গুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে খেয়াল রাখতে হবে যেন কোন ময়লা না থাকে । এই মাছগুলো আমাদের এলাকায় তেমন একটা পাওয়া যায় না তবে শহর অঞ্চলে থেকে খুব সহজেই এগুলো সংগ্রহ করা যায়।
প্রয়োজনীয় মশলাপাতি যেমন কাঁচা ঝাল, হলুদ, জিরা বাটা, পেঁয়াজ বাটা, এগুলো পাটায় বেটে প্রস্তুত করে নেওয়া হয়েছে, আপনারা চাইলে এগুলো মেশিন এর মাধ্যমেও প্রস্তুত করে নিতে পারেন।
এবার কচু গুলো ভালোভাবে কেটে পরিষ্কার পরিষ্কার করে নিতে হবে। এগুলো আমাদের গ্রাম থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে আমাদের এলাকায় এই সবজি গুলো অনেক উৎপাদন হয় ফলে আমরা অনেক টাটকা জিনিস খুব সহজেই আমাদের গ্রাম থেকে সংগ্রহ করতে পারি।
এবার অনুরূপভাবে প্রথমে ঝিঙ্গা গুলোকে ভাল ভাবে কেটে তারপরে পানির মাধ্যমে পরিষ্কার করে নিতে হবে। ঝিঙ্গা গুলো কেটে নেওয়ার পরে একটি পাত্রে আলাদা করে রেখে দিয়েছি যাতে পরবর্তীতে এগুলো রেসিপির কাজে ব্যবহার করতে পারি।
এবার সামান্য হলুদ ছিটিয়ে তারপর পাবদা মাছ গুলোকে ভালোভাবে গরম তেলে ভেজে নেওয়া হচ্ছে। পাবদা মাছ যদি রেসিপি করার পূর্বে ভালোভাবে তেল দিয়ে ভেজে নেওয়া হয় তাহলে এটি খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়।
এবার সামান্য পরিমাণ মশলাপাতি ছিটিয়ে দিয়ে ঝিঙ্গা এবং কচু গুলোকে মিশিয়ে নেওয়া হচ্ছে যাতে এর ভিতরে প্রয়োজনীয় মশলা পাতি গুলো ভালোভাবে প্রবেশ করে।
এবার পরিমানমতো সামান্য পানি দিয়ে এর ভিতর পাবদা মাছ ভাজি ঢেলে দিতে হবে তারপরে 15 মিনিট মতো সিদ্ধ করার জন্য রেখে দিতে হবে। এসময় চুলার জ্বাল একটু কম দিলে ভালো হয় তাহলে এগুলো প্রয়োজনীয় সময় নিয়ে ভালোভাবে সিদ্ধ হবে।
এবার সিদ্ধ হয়ে গেলেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু পাবদা মাছ দিয়ে কচুর মজাদার রেসিপি।
❤️ধন্যবাদ!!!❤️
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix hot 11s |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emonv |
[[প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]"ইমন ব্লগ" এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক শিক্ষার্থী। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।
পাবদা মাছ খেতে আসলে খুবই মজার। তবে এভাবে কখনোই কচুর সাথে ঝোল রান্না করে খাওয়া হয়নি। পাবদা মাছ পেঁয়াজ দিয়ে ভুনা করার খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তবে আপনার রেসিপিটি আজকে খুব ভাল লেগেছে। খুব সুন্দর ভাবে আপনিও ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে পাবদা মাছ কচুর অনেক মজাদার একটি যদি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পাবদা মাছের সাথে এ ধরনের রেসিপি এর আগে কখনো খাওয়া হয়নি ।আপনার এই রেসিপিটি আমার কাছে লোভনিয় মনে হয়েছে, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
কচু মুখী ও ঝিঙা দিয়ে একসাথে কখনো খাওয়া হয় নি।পাবদা মাছ আমার কাছে ভেজে খেতে ভালোই লাগে।রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভালোই হবে।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
আপনি অনেক চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পাবদা মাছের সংমিশ্রণে কচু ও ঝিঙে এভাবে রান্না করতে এই প্রথম দেখেছি। অনেক মজা হয়েছে আপনার রেসিপিটি। দেখে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আমাদের মাঝে ইউনিক এর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
পাবদা মাছ এবং কচুর মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন ।যেটা অনেক সুন্দর হয়েছে এত সুন্দর রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছে। দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। পাবদা মাছের মজাদার রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছিলেন। প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
পাবদা মাছ বরাবরই আমার খুব ফেভারিট আপনি লোভনীয় ভাবে রেসিপিটি প্রস্তুত করেছেন দেখেই জিভে জল চলে আসলো খেতে নিশ্চয়ই ভারি মজা হয়েছিল সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন রন্ধনপ্রণালী শুভকামনা রইল আপনার জন্য
পাবদা মাছ ও কচুর মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন দারুন হয়েছে। এভাবে রান্না করে খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। দেখে অনেক ভালো লাগলো। লোভ সামলাতে পারলাম না খেতে ইচ্ছা করছে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আহ্!! কি সুন্দর করে রেসিপি তৈরি করে একা একা খাচ্ছেন তা ও আবার অন্যদের দেখিয়ে।এইগুলা ঠিক না ভাইয়া।পরে পেট খারাপ করবে।
যাইহোক, আপনার পাবদা মাছ ও কুচুর রেসিপিটা দেখতে খুবই সুস্বাদু দেখাচ্ছে।আশা করি খেতে ও মজা পেয়েছেন।