ছেলেবেলার প্রথম সাইকেল চালানোর গল্প || 🦊 (10% Beneficiaries to @shy-fox)🦊||
আমার নতুন একটি পোস্টে সবাইকে সুস্বাগতম
# আমার সাইকেল চালানো শেখার গল্প
আপনারা সবাই কেমন আছেন আশা করি মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই সুস্থ আছেন এবং ভাল আছেন। আমি ইমন আছি আপনাদের সাথে আর আজকে আমি আলোচনা করব আমার ছেলেবেলার প্রথম সাইকেল চালানো শেখা। সাইকেল চালানো এটি আমার জীবনে অনেক স্মরণীয় হয়ে রয়েছে কেননা অনেক ছোট বয়স থেকেই আমি সাইকেলের প্রতি আগ্রহী হয়ে যাই । যখন মানুষ রাস্তা দিয়ে সাইকেল চালিয়ে নিয়ে যেতো তখন তা দেখে আমার মনে হতো আমি যদি সাইকেল চালাতে পারতাম কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তখন আমার হাত পাও অনেক ছোট ছিল অর্থাৎ আমার বয়স অনেক ছোট ছিল বিধায় আমি সাইকেলের প্যাডেল ছোয়া পেতাম না সাইকেল চালাতে পারতাম না । তখন আমার বয়স আনুমানিক ৭থেকে ৮ বছর ।
সাত থেকে আট বছর আমার মনে হয় এই বয়স টা অনেক মজাদার কাটে মানুষের শৈশবকালে । কেননা এই বয়সে তেমন একটা দুনিয়া সম্পর্কে বুঝে আসেনা শুধু ভাললাগে খেলাধুলা করতে এবং নিজের মনমতো স্বাধীন হয়ে বেড়াতে । আসলে আমরা যদি আবার ছেলেবেলায় ফিরে যেতে পারতাম এটা কার মনে কেমন লাগে সেটা বলতে পারবো না তবে আমার মনে হয় আমি যদি ছোটবেলায় ফিরে যেতে পারতাম তাহলে অবশ্যই অনেক ভালো হতো। তখন মা বকা দিত তখন মনটা অনেক খারাপ হয়ে যেত তখন হয়তো আমার এমন মনে হতো যে কখন বড় হব, কবে বড় হব আর কতদিন লাগবে বড় হতে আমি যখন বড় হয়ে যাব তখন আমার মা আমাকে আর বকবে না আমি আমার মতো চলতে পারব তখন হয়তো বুঝতাম না বাস্তব দুনিয়াটা কল্পনার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন।
ছেলেবেলায় আমার প্রথম সাইকেল ছিল ব্রেক না থাকা একটা সাইকেল যাকে অনেকে ২২ সাইকেল নামেয় চেনে । এটি মূলত অনেক পুরনো একটি সাইকেল সেটি আমার হয়তো ভাগ্যে ছিল তাই হয়তো আমি সেটা থেকেই প্রথম সাইকেল চালানো শুরু করেছিলাম। সাইকেল চালানো আমার কাছে অনেক কঠিন ছিল কেননা আমি প্রথমেই বলেছি যে তখন আমার পা দিয়ে সাইকেলের প্যাডেল ছোঁয়া পেতাম না সুতরাং আমাকে নিচে থেকেই সাইকেল চালানো শিখতে হত নিচ থেকে সাইকেল চালানো শেখা আসলে অনেক কষ্টসাধ্য ছিল সেটা পরে বুঝেছি পেরেছিলাম। উপর থেকে সাইকেল চালানো অনেক বেশি সোজা। যাই হোক আমি যখন প্রথম প্রথম সাইকেল চালাই তখন তো শুধু ধপ ধপ করে পড়ে যেতাম। একবার আমার মনে আছে আমার সাইকেল এবং আরো একটা সাইকেলের সাথে অ্যাকসিডেন্ট করলাম যার ফলে আমার সাইকেলের সামনের চাকা খুলে চলে গেল তারপরে আর কি আমার দাদু এল এবং তিনি সাইকেলের চাকা এবং সাইকেলসহ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আবার মেরামত শুরু করলেন। আমি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হলেও ছোটবেলায় অনেক আদরে মানুষ হয়েছি। হয়তো ব্যয়বহুল কোন কিছু ছিল না আমার কিন্তু আমার কাছে ছিল আমার বাবা-মা দাদা-দাদির ভালোবাসা যেটা মনে হয় আমার কাছে সব থেকে বেশি পাওয়া ছিল।
যাই হোক আমি সাইকেল চালানো শেষ পর্যন্ত শিখেছিলাম একজনার কাছ থেকে যার নামটা আমি এখানে উল্লেখ করতে চাচ্ছি তার নাম হচ্ছে বাহাদুর, তিনি আমার বয়স থেকে ৪ থেকে ৫ বছরের বড় ছিলেন কিন্তু হঠাৎ একটি রোগে আক্রান্ত হয়ে অপারেশন করতে গিয়ে তিনি মারা যান। আসলে আমি অনেক দুঃখ পেয়েছিলাম যেদিন উনি মারা যান মাঝে মাঝে আমি যখন সাইকেল চালাই তখন ওনার কথা মনে পড়ে যায় যে ওই লোকটা ছিল যার হাত থেকে আমি সাইকেল চালানো শিখে ছিলাম। তাকে আমি কখনো ভুলতে পারবো না আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন। ছেলেবেলায় যেমন ভাঙা সাইকেলে উঠে মজা হতো আজ আমার কাছে একটা গিয়ার সাইকেল রয়েছে সেই গিয়ার সাইকেল ও তেমন একটা মজা নেই যে মজা সেই ভাঙা সাইকেলে পাওয়া যেত আসলে ছোটবেলার সেই স্মৃতি গুলো ভোলার নয়।
১০% বেনিফিসারী দেওয়া হয়েছে @shy-fox কে
আমার পরিচিতি | কিছু তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @emonv(ইমন) |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ১৮ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এ ব্লগিং করা |
আসলে আমিও ছোটবেলায় সাইকেল চালানোর জন্য অনেক কান্না করতাম ।অনেক ইচ্ছা ছিল। প্রথম আমার মামা বাড়িতে একটি সাইকেল থুয়ে গিয়েছিলো মামার সাইকেল ধরে আমি সাইকেল চালানো শিখছি। পাঁচ-ছয় বার পড়ে গেছে মাথা ফেটে গিয়েছিল অনেক কষ্টের পরও শিখছি। আপনি অতীতের কথা মনে করিয়ে দিলেন খুবই ভাল লাগল। আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার শৈশব কালের কথা মনে পড়ে গেল। আপনার জন্য শুভকামনা রইল অনেক ভাল ছিল পোস্টটি।
ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য
তোমার পোস্ট টি দেখে, আমার ছোটো বেলার কথা মনে পড়ে গেলো। সাইকেল চালানো শিখা অতীত গুলা সব ভেসে উঠলো। ধন্যবাদ তোমাকে এমন ছোটো বেলার কথা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। শুভ কামনা রইল তোমার জন্য।
ধন্যবাদ
বাহাদুরের আত্মার জন্য মাগফেরাত কামনা করছি। আসলে আমাদের অনেকের সাইকেল চালানোর পেছনে কেউ না কেউ রয়েছে এবং আপনি যেকোন কাউকে জিজ্ঞেস করলেই তার সাইকেল চালানো স্মৃতি একটা অন্যরকম স্মৃতি শুনতে পারবেন। অনেক ভালো লাগলো আপনার পোষ্টটি পড়ে এবং অনেক ধন্যবাদ এত চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য
"বাস্তব দুনিয়াটা কল্পনার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন।" আসলেই তাই একদম সত্যি কথা বলছেন । ধন্যবাদ আপনার অতীত মূহুর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনাকে যে সাইকেল চালানো শিখিয়েছে তার ব্যাপারটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।
আসলে আপন কেও আমাদের ছেড়ে চলে গেলে আমাদের খুব খারাপ লাগে। এই খারাপ লাগাটা মুখে প্রকাশ করা সম্ভব না তা বুঝি।
ভালো লাগলো পড়ে।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য