DIY:- || বিলুপ্তপ্রায় মৃৎশিল্প // পর্ব :-৫ [ পানি খাওয়া জগ তৈরি ] || ১০% @shy-fox এর জন্য
আমার বাংলা ব্লগে আপনাকে স্বাগতম
• বালিকাদা দিয়ে বিভিন্ন রকম জিনিসপত্র বানিয়ে আমরা মানুষের মধ্যে উপস্থাপন করতে পারি। বালিকাদা দিয়ে বিভিন্ন রকম জিনিস তৈরি করা যায় যেমন হাড়ি পাতিল থেকে শুরু করে টাকা রাখার ব্যাংক , কলসি ইত্যাদি প্রায় আমাদের ব্যবহৃত সকল কিছুই তৈরি করা যায়। আর এটাই হচ্ছে আমাদের ঐতিহ্য যেটি হচ্ছে মৃৎশিল্পের উদাহরণ। আমি গত পর্বে মৃৎশিল্প নিয়ে অনেক বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম, যেখানে আমি বলেছিলাম মৃৎশিল্প আমাদের মাঝ থেকে দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এটিকে আমাদের অবশ্যই ধরে রাখা উচিত তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এগুলো দেখার সুযোগ পাবে। এবং সেই নিয়ে আমি একটা সিরিজ চালু করেছিলাম এবং তার ধারাবাহিকতায় আজকে আমি পর্ব ৫ আপনাদের মাঝে পাবলিশ করতে যাচ্ছি, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে, আজকে আমি এই পর্বে আপনাদের দেখাবো বালিকাদা দিয়ে পানি খাবার জগ তৈরি করার প্রসেস ,তবে চলুন শুরু করা যাক।
# জগটি তৈরি করতে প্রয়োজনীয় উপাদান।
উপাদান | পরিমাণ |
---|---|
বালিকাদা | প্রয়োজন অনুযায়ী |
জগ তৈরীর প্রসেস
⬇️ ধাপ:-১ ↙️
প্রথমে বালিকাদখ হাতের তালু দ্বারা ভালোভাবে সেনে নিতে হবে।
⬇️ ধাপ:-২ ↙️
এবার দুই হাতের মধ্যে এক মুঠো কাদা নিয়ে ভালোভাবে গোল করে নিতে হবে।
⬇️ ধাপ:-৩ ↙️
এবার গোলাকৃতি কাদার উপর দিকে হালকা করে দুই আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিতে হবে, এবং জগ এর মাথার অনুরূপ তৈরি করার চেষ্টা করতে হবে।
⬇️ ধাপ:-৪ ↙️
কিছুক্ষণ চাপ দেওয়ার পরে অনেকটা জগের মাথার মতো দেখা যাচ্ছে, এবার যে ধারি গুলো উঠে আছে সেগুলো কে আলতো করে বাঁকা করে দিতে হবে।
⬇️ ধাপ:-৫ ↙️
এবার হাতে সামান্য পরিমাণ পানি মাখিয়ে ভালো করে নেপে নিতে হবে।
⬇️ ধাপ:-৬ ↙️
এবার সামান্য পরিমাণ কাদা দুই হাতের মাঝখানে রেখে অনেকটা সুতার মত করে নিতে হবে, এটি জগের হাতল হবে।
⬇️ ধাপ:-৭ ↙️
এবার হাতলটি তৈরি করা সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আমাদের কাঙ্ক্ষিত জগে এটি লাগিয়ে নিতে হবে।
⬇️ ধাপ:-৮ ↙️
এবার জগের উপরের অংশটুকু হাতের আঙ্গুলের মাধ্যমে চাপ দিয়ে একটু সুন্দর করে নিতে হবে।
⬇️ ধাপ: ৯ ↙️
এবার অনুরূপভাবে নিচের অংশটুকুতে দুই হাতের মাধ্যমে আলতো করে চাপ দিতে হবে এবং সুন্দর করে নিতে হবে।
⬇️ ধাপ:-১০ ↙️
এবার অবশেষে তৈরি হয়ে আমাদের বালিকাদার জগ।
🫂ধন্যবাদ!!!🤵
ফটোগ্রাফার | @emonv |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | VIVO Y12 A |
[[🔉প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]👩💻"ইমন ব্লগ"👩💻 এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক🏫 শিক্ষার্থী। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।
ওয়াও ভাইয়া আপনার মাটির তৈরি জগটি বেশ চমৎকার দেখাচ্ছে।আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে তুলে ধরছেন। সত্যি কথা বলতে আধুনিকায়নের সাথে আমাদের বাবা দাদা মৃৎশিল্প গুলো বিলুপ্তির দেখি।কারন মানুষ গুলো এখন আধুনিক হয়ে গেছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের দেশের বিলুপ্ত মৃৎশিল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। শুভ কামনা রইল।
সত্যি ভাইয়া অনেক ভালো লাগছে। আপনি মাটির তৈরি জিনিসপত্র আমাদের মাঝে তুলে ধরছেন। বিলুপ্ত পাত্র মৃৎশিল্প আজকে পানি খাওয়ার জগ দারুন ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরলেন। অনেক ভালো লাগলো। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। দেখার মত ছিল। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাই একটি গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
আপনি দেখছি প্রতিনিয়ত অনেক সুন্দর সুন্দর মৃৎশিল্প তৈরি করছেন আজকের পানি খাওয়া জগটাও বেশ দারুন হয়েছে ভাই। আপনার প্রশংসা করতে হয়। আমাকেও একটি বানিয়ে দিবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো
জি ভাই একটু চেষ্টা করেছি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক ভালো লাগলো মাটির তৈরি জিনিস দেখে। আপনি ঠিক বলেছেন মাটির তৈরি অনেক জিনিসপত্র রয়েছে। আর এই মাটির তৈরি জিনিস আমাদের থেকে আস্তে আস্তে আমাদের থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে মাটির তৈরি একটি জগ তৈরি করলেন। দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক সুন্দর মতামত করেছেন আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অসাধারন দারুন কাজ দেখলাম ভাই আপনার সৃজনশিলতা কে সম্মান জানাই এভাবে আরো মৃৎশিল্প দেখতে চায় আপনার থেকে ভাই।আমার সত্যি খুবই ভালো লেগেছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
শৈশব ফিরে এসেছে আপনার বানানো জগ দেখে খুব ভালো লাগলো।
আপনার মাটি দিয়ে তৈরি করা জিনিস পাতি গুলো অনেক সুন্দর হয় ভাই। গ্রামের বাসায় থাকতে ছোটবেলায় পুকুর পাড়ের মাটি দিয়ে এগুলো আমরাও বানতাম। আপনার মাটির তৈরি করা জগটি অনেক সুন্দর লাগছে দেখতে। ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যিই বাংলার এই মৃৎশিল্প এখন প্রায় মৃত তবে আপনার বানানো মাটির জগটি অসাধারণ হয়েছে। খুবই সুন্দর করে জগ টি বানিয়েছেন আপনি। বিলুপ্তপ্রায় একটি মাটির শিল্প কে এত সুন্দর করে সবার সামনে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।