বড় ভাইয়ের সঙ্গে বাজারে একদিন || আমার বাংলা ব্লগ
আজ- শুক্রবার
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। দেখতে, দেখতে এই মাসটা শেষ হয়ে গেছে এখন মাস শেষ হলে প্রতি মাসের বাজার করার জন্য প্রত্যেকবারই আলাদা আলাদা ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সে ধারাবাহিকতায় এবার দায়িত্বটা আমার কাঁধে এসে পড়েছে। নতুন, নতুন দায়িত্ব নিতে আমি অনেক পছন্দ করি কারণ নতুন দায়িত্ব থেকে নতুন অভিজ্ঞতা পাওয়া যায় এবং সেখান থেকে জীবনের নতুন অনেক শিক্ষা অর্জন করা যায় এটা আমাদের জীবনের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। তো যাই হোক রাতে হোস্টেলে মিটিং হওয়ার শেষে দায়িত্বটা যখন আমার এবং আল মাহমুদ ভাই কে দেওয়া হল তখন আমাদের বলে দেওয়া হলো যে সকাল সাতটায় উঠে দুজনে লিস্ট নিয়ে বাজারে চলে যাওয়ার জন্য।
আমি যেহেতু এখানে নতুন ছিলাম তাই আমাকে আল মাহমুদ ভাইয়ের সঙ্গে পাঠানো হলো কারণ আমি এখানকার জায়গা তেমন একটা চিনি না সকাল হওয়ার পরে ঘুম থেকে উঠতে আমার একটু দেরি হয়ে গেছিল তখন আল মাহমুদ ভাই এসে আমাকে ডাক দিল এবং আমি উঠে একটু ফ্রেশ হয়ে দুজন মিলে চলে গেলাম হোস্টেলের বাজার করার উদ্দেশ্যে। বাজারে গিয়ে প্রথমেই আমরা আলু তেল মসলা এবং রান্না করার জন্য যাবতীয় যে সরঞ্জাম গুলো প্রয়োজন সেগুলো একটা দোকান থেকে ক্রয় করে নিলাম কিছুক্ষণ যাবৎ ওখানে দাঁড়িয়ে থাকার পরে দেখলাম বেশ ভিড় জমছে তাই আমরা এগুলো অর্ডার করার পরে মাছের বাজারের দিকে এগিয়ে গেলাম।
মাছের বাজারে গিয়ে দেখি বিভিন্ন ধরনের মাছ ।এখানকার মাছ আমাদের এলাকা থেকে অনেকটাই আলাদা কারণ এখানে নদীর মাছ বিক্রয় করা হয় এবং মাছের দাম ও অনেক চড়া দেখলাম। কিছু, কিছু মাছ 700 টাকা সাড়ে সাতশ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছিল এই মাছগুলো দেখতে অনেক লম্বা তবে গায়ের মাংস খুবই কম তবে এই মাছগুলো খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে আমাদের ম্যাচের বড় ভাই আমাদেরকে বলে দিয়েছিলেন যে তেলাপিয়া মাছ ক্রয় করার জন্য তবে আমরা অনেকক্ষণ যাবত দাঁড়িয়ে থাকার পরেও তেলাপিয়া মাছ বাজারে ঢুকছিল না অন্যদিকে আমার কলেজের সময় হয়ে যাচ্ছিল তাই আমরা খুব তাড়াহুড়া করেই রুই এবং কাতল মাছ ক্রয় করে দ্রুত ব্যাগে পুড়ে ফেললাম।
এবার আমাদের মাছের বাজার শেষ হোস্টেল থেকে বাজার করার জন্য মোট ১৫০০ টাকা দিয়েছিল সেখান থেকে ৮০০ টাকার মাছ ক্রয় করলাম এবার প্রথমে যেই সরঞ্জামগুলো ক্রয় করতে দিয়েছিলাম সেগুলার গোজগাছ করে হিসাব করে নেওয়া হল। তো পুনরায় আবার আমরা কাঁচা সবজির দোকানে চলে আসলাম এবং এসে দেখি উনি সুন্দর করে আমাদের লিস্ট অনুযায়ী সরঞ্জাম গুলো প্যাকেট করে রেখেছেন তখন আমি এবং মাহবুব ভাই সবগুলো ভালোভাবে বুঝে নিলাম এবং বিল পরিশোধ করে একটি ছোট্ট ভ্যানে চড়ে হাওয়া খেতে ,খেতে হোস্টেলে ফিরে আসলাম। আজকের অভিজ্ঞতাটা নতুন ছিল আমার জন্য কারণ এর পূর্বে আমি হোস্টেলের বাজার কখনো করা হয়নি যাইহোক এমন নতুন নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে আবারও দেখা হবে ততক্ষণ সবাই সুস্থ থাকুন ধন্যবাদ।
- ১০% বেনিফিসার প্রিয় @shy-fox কে দেওয়া হয়েছে।
🫂ধন্যবাদ!!!🤵
ব্লগার | @emonv |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix note 11 pro |
[[🔉প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]👩💻"ইমন ব্লগ"👩💻 এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক🏫 শিক্ষার্থী। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বাজার করার সুন্দর মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখি অনেক অনেক খুশি হলাম। যেখানে মাঝ থেকে শুরু করে মৃত্যু প্রয়োজনীয় সফল শাকসবজি খুব বেশি ফটোগ্রাফি করে দেখিয়েছেন এবং সেই সাথে সুন্দর বর্ণনা তুলে ধরেছেন বাজারের। আর আপনার এ ব্লগের মধ্য দিয়ে কিন্তু অনেক সুন্দর সুন্দর তথ্য পেয়ে গেলাম।
হোস্টেল বা মেস জীবনের এরকমই পরিস্থিতি হয়ে থাকে। আমি যখন মেসে ছিলাম তখনই আমাদেরও বাজার করার একটা ডেট আসতো। আর আমরা দুজন তিনজন করে এই বাজারে যেতাম। আজকে আপনি সকাল সাতটার দিকে এই বাজার করতে এসেছেন। আসলে বাজার করা সেই মুহূর্তগুলো আনন্দ হয়ে থাকে, কারণ দুজন মিলে ম্যাচের বাজার করা হয়।
আপনি জায়গাটি চিনেন না এই এই কারণে আপনাকে মাহমুদ ভাইয়ের সাথে বাজারে পাঠিয়েছিল এটা বেশ ভালো ব্যাপার। বাজারের ভেতরের দারুন দারুন ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখতে বেশ ভালো লাগলো ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।